ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | আলফ্রেড রেনফ্রিউ রিচার্ডস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | গ্রাহামসটাউন, দক্ষিণ আফ্রিকা | ১৪ ডিসেম্বর ১৮৬৭|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ১ সেপ্টেম্বর ১৯০৪ সলসবারি, রোডেশিয়া | (বয়স ৩৬)|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | - | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | ব্যাটসম্যান, অধিনায়ক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
একমাত্র টেস্ট (ক্যাপ ৩৭) | ২১ মার্চ ১৮৯৬ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৬ জুলাই ২০১৮ | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
রাগবি খেলোয়াড়ী জীবন | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
রাগবি ইউনিয়নে খেলোয়াড়ী জীবন | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আলফ্রেড রেনফ্রিউ রিচার্ডস (ইংরেজি: Alfred Richards; জন্ম: ১৪ ডিসেম্বর, ১৮৬৭ - মৃত্যু: ১ সেপ্টেম্বর, ১৯০৪) কেপ উপনিবেশের গ্রাহামসটাউনের জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা দক্ষিণ আফ্রিকান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ও অধিনায়ক ছিলেন।[১] এছাড়াও, রাগবি ইউনিয়নের খেলোয়াড় হিসেবে অংশগ্রহণ করেছেন। দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে ওয়েস্টার্ন প্রভিন্সের প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি। দলে মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন আলফ্রেড রিচার্ডস।
রাগবি ইউনিয়নে তিন খেলায় অংশ নিয়ে একবার দলকে নেতৃত্ব দেন। সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে একটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ হয় তার। ২১ মার্চ, ১৮৯৬ তারিখে টেস্ট অভিষেক ঘটে আলফ্রেড রিচার্ডসের। ঐ একই টেস্টে তিনি দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার শুরুরদিককার প্রাদেশিক কিছু খেলায় ওয়েস্টার্ন প্রভিন্সের পক্ষে খেলেছেন তিনি। ১৮৯৩-৯৪ মৌসুমে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ১০৮ রান তুলেছিলেন। ফলশ্রুতিতে নাটাল দলকে পরাজিত করে কারি কাপের শিরোপা জয়ে সবিশেষ ভূমিকা পালন করেন।
লর্ড হক একাদশের বিপক্ষে পরবর্তী প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশগ্রহণ করেন। ১৮৯৫-৯৬ মৌসুমে অনুষ্ঠিত ঐ খেলায় দলের সর্বমোট ১২২ রানের মধ্যে একাই ৫৮ রান তুলেছিলেন তিনি। এরফলে সিরিজের তৃতীয় প্রতিনিধিত্বমূলক খেলায় তার অংশগ্রহণের সুযোগ হয়। এ খেলাটি পরবর্তীকালে টেস্ট খেলার মর্যাদা পায়। ২১ মার্চ, ১৮৯৬ তারিখে কেপ টাউনে সফরকারী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে প্রথমবারের মতো অংশ নেন। দলীয় সঙ্গী জিকে গ্লোভার, এডব্লিউ সেকাল ও প্রতিপক্ষীয় ইংল্যান্ডের ইজে টাইলারের সাথে একযোগে টেস্ট অভিষেক ঘটে তার।[২] রিচার্ডস দলের অধিনায়কের দায়িত্বে ছিলেন। কিন্তু, তিনি মাত্র ৬ ও ০ রান তুলতে পেরেছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকা ইনিংস ও ৩৩ রানের ব্যবধানে পরাভূত হয়েছিল। এটিই তার একমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ ছিল। এরপর আর তাকে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশ নিতে দেখা যায়নি।
১৮৯১ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে পোর্ট এলিজাবেথে আন্তর্জাতিক রাগবি খেলায় অভিষেক ঘটে আলফ্রেড রিচার্ডসের। ঐ বছর প্রথমবারের মতো ব্রিটিশ আইলস রাগবি দল দক্ষিণ আফ্রিকায় পদার্পণ করে। গ্রেট ব্রিটেন খেলায় জয় পায়। ২৯শে আগস্ট উত্তর কেপের কিম্বার্লিতে দলের অধিনায়কত্ব করেন। ঐ খেলায়ও সফরকারীরা জয় তুলে নেয়।
রিচার্ডসের জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা ডিকি রিচার্ডস ও যোসেফ ওয়েস্টার্ন প্রভিন্সের পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তন্মধ্যে, ডিকি ১৮৮৮-৮৯ মৌসুমে একটি টেস্টে অংশ নিয়েছিলেন।
১ সেপ্টেম্বর, ১৯০৪ তারিখে ৩৭ বছর বয়সে তৎকালীন রোডেশিয়ার সলসবারিতে (অধুনা: জিম্বাবুয়ের হারারে) আলফ্রেড রিচার্ডসের দেহাবসান ঘটে।