আলফ্রেড লিটলটন | |
---|---|
![]() | |
উপনিবেশের স্টেট সেক্রেটারি | |
কাজের মেয়াদ ১১ অক্টোবর, ১৯০৩ – ৪ ডিসেম্বর, ১৯০৫ | |
সার্বভৌম শাসক | সপ্তম এডওয়ার্ড |
প্রধানমন্ত্রী | আর্থা বালফোর |
পূর্বসূরী | যোসেফ চ্যাম্বারলেন |
উত্তরসূরী | এলগিন আর্ল |
ওয়েস্টমিনস্টার সেন্ট জর্জের সংসদ সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ১৫ জুন, ১৯০৬ – ৫ জুলাই, ১৯১৩ | |
পূর্বসূরী | হেনেজ লেগ |
উত্তরসূরী | আলেকজান্ডার হেন্ডারসন |
ওয়ারউইক ও লিমিংটনের সংসদ সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ৭ আগস্ট, ১৮৯৫ – ৮ ফেব্রুয়ারি, ১৯০৬ | |
পূর্বসূরী | আর্থার পিল |
উত্তরসূরী | টমাস বেরিজ |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | ওয়েস্টমিনস্টার, লন্ডন | ৭ ফেব্রুয়ারি ১৮৫৭
মৃত্যু | ৫ জুলাই ১৯১৩ লন্ডন | (বয়স ৫৬)
জাতীয়তা | ব্রিটিশ |
রাজনৈতিক দল | লিবারেল ইউনিয়নিস্ট (১৮৯৫-১৯১২) ইউনিয়নিস্ট (১৯১২-১৯১৩) |
দাম্পত্য সঙ্গী | (১) লরা টেনান্ট (মৃত্যু: ১৮৮৬) (২) এডিথ বালফোর (মৃত্যু: ১৯৪৮) |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | ট্রিনিটি কলেজ, কেমব্রিজ |
ক্রিকেট তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | আন্ডার-আর্ম রাইট-আর্ম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | উইকেট-রক্ষক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ২৫) | ৬ সেপ্টেম্বর ১৮৮০ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১৩ আগস্ট ১৮৮৪ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ |
আলফ্রেড লিটলটন, কেসি (ইংরেজি: Alfred Lyttelton; জন্ম: ৭ ফেব্রুয়ারি, ১৮৫৭ - মৃত্যু: ৫ জুলাই, ১৯১৩) লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টার এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ও ফুটবলার ছিলেন। ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৮৮০ থেকে ১৮৮৪ সময়কালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন। এছাড়াও, ব্রিটিশ রাজনীতিবিদ ছিলেন তিনি। ১৯০৩ থেকে ১৯০৫ সময়কালে উপনিবেশের বিদেশমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন।
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে মিডলসেক্স ও কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ উইকেট-রক্ষক হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি আন্ডার-আর্ম রাইট-আর্ম বোলিং করতেন।
চতুর্থ ব্যারন লিটলটন জর্জ লিটলটন ও অষ্টম ব্যারোনেট স্যার স্টিফেন গ্লিনের কন্যা, প্রথম পত্নী মেরি’র দ্বাদশ ও কনিষ্ঠ পুত্র ছিলেন আলফ্রেড লিটলটন। এটনে অধ্যয়ন করেন। সেখানে পপের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন ও পরবর্তীতে কেমব্রিজের ট্রিনিটি কলেজে অধ্যয়ন করেন।[১] কেমব্রিজে থাকাকালে বিশ্ববিদ্যালয় পিট ক্লাবের সদস্য ছিলেন।[২] বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলায় কেমব্রিজের সদস্যরূপে অক্সফোর্ডের বিপক্ষে রিয়্যাল টেনিসে অংশ নেন।[৩]
ফুটবল ও ক্রিকেট - উভয় খেলাতেই সমান দক্ষতা প্রদর্শন করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে পাঁচটি খেলায় অংশ নিয়েছেন। ১৮৭৬ থেকে ১৮৭৯ সাল পর্যন্ত ক্রিকেট, ১৮৭৬ থেকে ১৮৭৮ সাল পর্যন্ত ফুটবল, ১৮৭৬ সালে অ্যাথলেটিক্সে হ্যামার থ্রো, ১৮৭৭ থেকে ১৮৭৯ সাল পর্যন্ত র্যাকেট ও ১৮৭৭ থেকে ১৮৭৯ সাল পর্যন্ত রিয়্যাল টেনিসে অংশ নেন। ফলে, সন্দেহাতীতভাবে তিনি তার সময়কালে সেরা সর্বক্রীড়াবিদের সম্মাননা লাভ করেছেন। ঐ সময়ে তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন অক্সফোর্ডের কুথবার্ট অটাওয়ে। এছাড়াও, প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে ইংল্যান্ডের পক্ষে ক্রিকেট ও ফুটবলে অংশ নিয়েছিলেন।
১৮৭৬ সাল থেকে ১৮৮৭ সাল পর্যন্ত আলফ্রেড লিটলটনের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। আলফ্রেড লিটলটন কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলায় অংশ নিয়েছিলেন। ১৮৭৯ সালে দলের অধিনায়কের মর্যাদাপ্রাপ্ত হন। বিশ্ববিদ্যালয় জীবন ত্যাগ করার পর মিডলসেক্সের প্রতিনিধিত্ব করেন। সেখানে তিনি উইকেট-রক্ষণে দৃঢ়তা দেখান। সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ২৭.৮৫ গড়ে ৪,৪২৯টি প্রথম-শ্রেণীর রান তুলেন। তন্মধ্যে, সাতটি সেঞ্চুরি ছিল। উইকেট-রক্ষক হিসেবে ১৩৪টি ক্যাচ ও ৭০টি স্ট্যাম্পিং করেন। ১৮৭৯ সালে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে জাতীয় গড়ে তৃতীয় স্থান দখল করেন। এ পর্যায়ে ২৮.৬৬ গড়ে ৬৮৮ রান তুলেছিলেন। মিডলসেক্সে খেলার পাশাপাশি ১৮৭৪-৮৫ সময়কালে ওরচেস্টারশায়ার দলের পক্ষে খেলেছিলেন। তবে, কোনটিই প্রথম-শ্রেণীর খেলা ছিল না।
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে চারটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন আলফ্রেড লিটলটন। ৬ সেপ্টেম্বর, ১৮৮০ তারিখে ওভালে সফরকারী অস্ট্রেলিয়া দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ১১ আগস্ট, ১৮৮৪ তারিখে একই মাঠে ও একই দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
১৮৮০-এর দশকের শুরুতে আলফ্রেড লিটলটন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে চারটি টেস্টে অংশ নেন। তন্মধ্যে, ১৮৮৪ সালে ওভালে সর্বাপেক্ষা স্মরণীয় খেলেন। ঐ খেলায় অস্ট্রেলিয়া দল ৫০০/৬ করে। ইংরেজ অধিনায়ক লর্ড হ্যারিস এতোটাই হতাশায় ডুবে গিয়েছিলেন যে, উইকেট-রক্ষক লিটলটনকে বোলিং করার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। লিটলটন আন্ডার-আর্ম বোলিংকালে ডব্লিউ. জি. গ্রেস উইকেট-রক্ষণের দায়িত্ব পালন করেন। চার বলে গড়া বারো ওভারে মাত্র ১৯ রান দিয়ে শেষ চার অস্ট্রেলীয় উইকেট দখল করেন।[৪] ১৮৯৮ সালে মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাবের প্রেসিডেন্ট হন।
আলফ্রেড লিটলটন ফুটবলার হিসেবে দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। কেমব্রিজ ও ওল্ড এটনিয়ান্সের সদস্যরূপে খেলেন। ৩ মার্চ, ১৮৭৭ তারিখে ইংল্যান্ডের সদস্য হিসেবে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেন। খেলায় তিনি একটি গোল করলেও ১-৩ গোলে পরাজিত হয় তার দল। বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলোয়াড় হিসেবে তিনি হ্যাট্রিক করেন। ১৮৭৮ সালে অক্সফোর্ডের বিপক্ষে ঐ খেলায় কেমব্রিজ দল ৫-১ ব্যবধানে জয়ী হয়। ক্লাব খেলোয়াড় হিসেবে এটনিয়ান্সকে এফএ কাপের খেলায় নিয়ে যান। রয়্যাল ইঞ্জিনিয়ার্সের বিপক্ষে ফিরতি খেলায় তার দল পরাজয়বরণ করে।
কেমব্রিজ থেকে চলে আসার পর আইন জগতে প্রবেশ করেন। জানুয়ারি, ১৯০০ সালে কুইন্স কাউন্সেল উপাধিতে ভূষিত হন।[৫]
লিটলটন ও তার স্ত্রীদ্বয় বুদ্ধিজীবী দল হিসেবে পরিচিত দ্য সোলসের সদস্য ছিলেন। ১৮৮৫ সালে প্রথম ব্যারোনেট স্যার চার্লস টেনান্টের কন্যাকে বিয়ে করেন। ১৮৬২ সালে জন্মগ্রহণকারী লরা ১৮৮৬ সালে মারা যান। ১৮৮৮ সালে মৃত্যুবরণকারী এক পুত্র সন্তানকে জন্ম দেয়ার কয়েকদিনের মধ্যে তার মৃত্যু ঘটে।[৬] ১৮৯২ সালে আর্চিবল্ড বালফোরের কন্যা এডিথ সোফিকে দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন। এ দম্পতির দুই পুত্র জন্মগ্রহণ করে। তন্মধ্যে, নবজাতক অবস্থায় এক পুত্রের মৃত্যু হয়। জ্যেষ্ঠ পুত্র অলিভার বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী ছিলেন। ১৯৫৪ সালে ভিসকাউন্ট চান্ডোসে নামীয় সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন।
৫ জুলাই, ১৯১৩ তারিখে ৫৬ বছর বয়সে লন্ডনে আলফ্রেড লিটলটনের দেহাবসান ঘটে। তার মৃত্যুর পর ত্রিশ বছরেরও অধিক সময় দ্বিতীয় স্ত্রী বেঁচেছিলেন ও সেপ্টেম্বর, ১৯৪৮ সালে মৃত্যুবরণ করেন। লিটলটনের ভাই এডওয়ার্ড ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ফুটবল খেলায় অংশ নিয়েছিলেন।
আইন দফতর | ||
---|---|---|
পূর্বসূরী অজানা |
অক্সফোর্ড রেকর্ডার ? – ১৯০৩ |
উত্তরসূরী রেজিনাল্ড অ্যাকল্যান্ড |
যুক্তরাজ্যের সংসদ (১৮০১–বর্তমান) | ||
পূর্বসূরী আর্থার পিল |
ওয়ারউইক ও লিমিংটনের সংসদ সদস্য ১৯৮৫ - ১৯০৬ |
উত্তরসূরী টমাস বেরিজ |
পূর্বসূরী সম্মানীয় হেনিজ লেগ |
সেন্ট জর্জ, হ্যানোভার স্কয়ারের সংসদ সদস্য ১৯০৬ - ১৯১৩ |
উত্তরসূরী স্যার আলেকজান্ডার হেন্ডারসন, বিটি |
রাজনৈতিক দপ্তর | ||
পূর্বসূরী যোসেফ চ্যাম্বারলেন |
উপনিবেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ১৯০৩ - ১৯০৫ |
উত্তরসূরী দি আর্ল অব এলগিন |