ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | আলভিন এথেলবার্ট গ্রীনিজ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | বাথ ভিলেজ, ক্রাইস্টচার্চ, বার্বাডোস | ২০ আগস্ট ১৯৫৬|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি মিডিয়াম পেস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | ব্যাটসম্যান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সম্পর্ক | কেএস লেভেরক (ভ্রাতৃষ্পুত্র) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ১৬৬) | ৩১ মার্চ ১৯৭৮ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ২ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৯ বনাম ভারত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
একমাত্র ওডিআই (ক্যাপ ২৯) | ১২ এপ্রিল ১৯৭৮ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৭৪ - ১৯৮২ | বার্বাডোস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১৮ আগস্ট ২০২০ |
আলভিন এথেলবার্ট গ্রীনিজ (ইংরেজি: Alvin Greenidge; জন্ম: ২০ আগস্ট, ১৯৫৬) ক্রাইস্টচার্চের বাথ ভিলেজ এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৭০-এর দশকের শেষদিকে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটে বার্বাডোস দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে মিডিয়াম পেস বোলিং করতেন আলভিন গ্রীনিজ।
১৯৭৪-৭৫ মৌসুম থেকে ১৯৮৩-৮৪ মৌসুম পর্যন্ত আলভিন গ্রীনিজের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। মসাময়িক ওয়েস্ট ইন্ডিজের শীর্ষস্থানীয় উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান গর্ডন গ্রীনিজের নামের সাথে তার নামের মিল রয়েছে। তবে, বিখ্যাত ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটার গর্ডন গ্রীনিজের সাথে ব্যক্তিগতভাবে তার কোন সম্পর্ক নেই। বিশ্ব সিরিজ ক্রিকেটকে ঘিরে খেলোয়াড়দের শূন্যতা পূরণে তাকে দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল।[১]
দীর্ঘদেহী উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান আলভিন গ্রীনিজ বার্বাডোসের পক্ষে খেলতেন। ১৯৭৭-৭৮ মৌসুমে দল নির্বাচকমণ্ডলীর দৃষ্টি আকর্ষণে সক্ষম হন।
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ছয়টিমাত্র টেস্টে ও একটিমাত্র একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন আলভিন গ্রীনিজ। ৩১ মার্চ, ১৯৭৮ তারিখে জর্জটাউনে সফরকারী অস্ট্রেলিয়া দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ২ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৯ তারিখে কানপুরে স্বাগতিক ভারত দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি। এছাড়াও, ১২ এপ্রিল, ১৯৭৮ তারিখে কাস্ত্রিসে অস্ট্রেলিয়া দলের বিপক্ষে একটিমাত্র একদিনের আন্তর্জাতিকে অভিষেক ঘটে তার।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলার জন্যে মনোনীত হন। জর্জটাউনে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে তার অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। অর্ধ-শতরানের ইনিংস খেলেন তিনি। পোর্ট অব স্পেনের সিরিজের চতুর্থ টেস্টে খেলেন তিনি। ১৯৭৮-৭৯ মৌসুমে ভারত গমনার্থে তাকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে রাখা হয়। তবে, তিনি বেশ প্রতিকূলতার মুখোমুখি হন। অস্ট্রেলীয় ধনকুবের ক্যারি প্যাকারের ব্যবস্থাপনায় বিশ্ব সিরিজ ক্রিকেট থেকে বিদ্রোহী খেলোয়াড়দের প্রত্যাবর্তনে তাকে দল থেকে বাদ দেয়া হয়।
১৯৮০ সালে আবার বড় ধরনের আসরে খেলার জন্যে আমন্ত্রিত হন। হল্যান্ডে ক্লাব ক্রিকেট খেলতেন ও আঘাতগ্রস্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের সদস্যরূপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওভাল টেস্টে অংশ নেন।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে প্রত্যাখ্যাত হবার পরও বার্বাডোসের পক্ষে বেশ সুন্দর ক্রীড়ানৈপুণ্য প্রদর্শন করতে থাকেন। তবে, দল নির্বাচকমণ্ডলীর উপেক্ষার পাত্রে পরিণত হন। বিশ্ব সিরিজ শেষে খেলোয়াড়দের দলে প্রত্যাবর্তনের পাশাপাশি ১৯৮২-৮৩ মৌসুমে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিদ্রোহী দলের সদস্যরূপে তৎকালীন নিষিদ্ধঘোষিত দক্ষিণ আফ্রিকা গমনের প্রেক্ষিতে তার খেলোয়াড়ী জীবনের সমাপ্তি ঘটে। এরপর বার্বাডোসে তরুণ খেলোয়াড়দের প্রশিক্ষণের দায়িত্বে ছিলেন।