আলাউদ্দীন আলী শাহ | |
---|---|
লখনৌতির সুলতান | |
রাজত্ব | ১৩৩৮-১৩৪২ |
পূর্বসূরি | কাদের খান |
উত্তরসূরি | শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ |
জন্ম | আলি মুবারক |
মৃত্যু | ১৩৪২ বেঙ্গল সুলতানিয়া |
ধর্ম | ইসলাম |
আলাউদ্দীন আলী শাহ (ফার্সি: علی مبارک; ১৩৩৮–১৩৪২) ছিলেন বাংলায় লখনৌতির এক স্বাধীন সুলতান।[১] তিনি ছিলেন বেঙ্গল সুলতানিয়ার শেষ প্রতিষ্ঠাতা শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহের পালক ভাই।
আলাউদ্দীন আলী শাহের জন্ম হয়েছিল তুরস্ক-পার্সিয়ানের এক ঐতিহ্যবাহী সম্ভ্রান্ত এক মুসলিম পরিবারে যা দক্ষিণ এশিয়ায় প্রসারিত হয়েছিল। তিনি উত্তর ভারতের দিল্লি শহরে সুলতান ফিরুজের অধীনে কাজ করেছিলেন। পরে দিল্লি থেকে বহিষ্কার হওয়ার পরে আলী বাংলায় চলে আসেন যেখানে তিনি লখনৌতির রাজ্যপাল কাদের খানের আরিজ-ই-মুমালিক (সেনা প্রশাসক) হিসাবে কাজে যোগদান করেছিলেন। বাহরাম খানের মৃত্যুর পর ফখরুদ্দীন মুবারক শাহ এবং হাজী ইলিয়াস ১৩৩৮ খ্রিস্টাব্দে যথাক্রমে সোনারগাঁওএ স্বাধীন এবং সাতগাঁও এর সর্বময় শাসনকর্তা হন।[১] এভাবে বাংলা তিন ভাগে বিভক্ত হয় এবং সেখানে ফখরউদ্দীন, ইলিয়াস এবং আলী শাহ যথাক্রমে সোনারগাঁও, সাতগাঁও ও লখনৌতি শাসন করতে থাকেন।[১] যেহেতু রাজনৈতিক গুরুত্বের প্রেক্ষাপটে লখনৌতির বিশেষ মর্যাদা ছিল, সেহেতু এ তিনজনের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় যুদ্ধ শুরু হয়।[১] ইবনে বতুতা তাঁর এবং ফখরুদ্দীন শাহের মধ্যে লড়াইকে তিক্ত হিসাবে বর্ণনা করেছেন।[২] প্রায় তিন বছরের শাসনকালে তিনি তার রাজধানী লখনৌতি থেকে হজরত পান্ডুয়ায় স্থানান্তরিত করেন।[১]
১৩৪২ সালে শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহের বিরুদ্ধে যুদ্ধে তিনি পরাজিত হন এবং নিহত হন।[৩]