আলান্দুর ஆலந்தூர் | |
---|---|
চেন্নাইয়ের অঞ্চল | |
স্থানাঙ্ক: ১৩°০০′১১″ উত্তর ৮০°১২′১৪″ পূর্ব / ১৩.০০৩° উত্তর ৮০.২০৪° পূর্ব | |
রাষ্ট্র | ভারত |
রাজ্য | তামিলনাড়ু |
জেলা | চেন্নাই (পূর্বে চেঙ্গলপট্টু জেলা) |
মহানগর | চেন্নাই |
উচ্চতা | ১২ মিটার (৩৯ ফুট) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ১,৬৪,৪৩০ |
ভাষা | |
• দাপ্তরিক | তামিল |
সময় অঞ্চল | ভারতীয় প্রমাণ সময় (ইউটিসি+৫:৩০) |
যানবাহন নিবন্ধন | TN-22 (টিএন-২২) |
আলান্দুর দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের চেন্নাই জেলার গিণ্ডি বিভাগের একটি অঞ্চল৷ এর উত্তর ও পূর্ব দিকে রয়েছে গিণ্ডি, দক্ষিণ দিকে রয়েছে আদমবক্কম, দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে রয়েছে পালবন্তাঙ্গল এবং উত্তর-পশ্চিম দিকে রয়েছে সেন্ট থমাস মাউন্ট। আশা করা হচ্ছে ২০৩০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে আলান্দুরে লোক সমাগম তিন লক্ষ অতিক্রম করবে। এর আশে পাশে রয়েছে সেন্ট থমাস মাউন্ট ক্যান্টনমেন্ট, ভারতীয় সেনাবাহিনীর অফিসার্স ট্রেইনিং একিডেমি৷ তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এম জি রামচন্দ্রন ১৯৬৭ খ্রিস্টাব্দে আলান্দূর বিধানসভা থেকে জয়ী হয়ে নিজের রাজনৈতিক পদোন্নতি নিশ্চিত করেন৷[১] চেন্নাইয়ের দুটি উল্লেখযোগ্য স্থান নেহেরু মূর্তি ও কাতিপারা জংশন রয়েছে আলান্দুরেই৷
আলান্দুর সড়ক পথে অন্যান্য এলাকার সাথে সুসংবদ্ধ এবং সময়ানুসারে এখান থেকে বাস পরিষেবা উপলব্ধ৷ আলান্দুরের কাতিপারা জংশন থেকে দূরবর্তী বহু বাস পরিষেবাও রয়েছে৷ যানবাহন নিবন্ধন সংখ্যা টিএন-২২ (মীনমবক্কম), যার দপ্তর পূরাতন পুরসভা ভবনে অবস্থিত৷
নিকটবর্তী রেলস্টেশনটি হলো সেন্ট থমাস মাউন্ট রেলওয়ে স্টেশন৷ জন পরিবহনের পাঁচটি পন্থা যথা শহরতলি রেলওয়ে, দক্ষিণ রেল, মেট্রোরেল, এমআরটিএস এবং বাস পরিষেবাকে এই জংশনে একীভূত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে৷ সেন্ট থমাস মাউন্ট রেলওয়ে স্টেশনে ১,২০০ টি ব্যক্তিগত গাড়ী রাখার ব্যবস্থা করা হবে বলে প্রস্তাব৷
আলান্দুর ১৩°০২′ উত্তর ৮০°১৩′ পূর্ব / ১৩.০৩° উত্তর ৮০.২১° পূর্ব স্থানাঙ্কে অবস্থিত৷[২] সমুদ্রতল থেকে এই স্থান ১২ মিটার বা ৩৯ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত৷
বছর | জন. | ±% |
---|---|---|
১৯৮১ | ৯৭,৪৪৯ | — |
১৯৯১ | ১,২৫,২৪৪ | +২৮.৫% |
২০০১ | ১,৪৬,১৫৪ | +১৬.৭% |
২০১১ | ১,৬৪,৪৩০ | +১২.৫% |
২০১১ খ্রিস্টাব্দে ভারতের জনগণনা অনুযায়ী আলান্দুরের জনসংখ্যা ছিলো ১,৬৪,৪৩০ জন, যেখানে প্রতি হাজার পুরুষে নারী ৯৯৭ জন, যা জাতীয় গড় ৯২৯ থেকে অধিক৷[৪] ছয় বছর অনূর্ধ্ব শিশু সংখ্যা ১৬,০৭৪, যার মধ্যে শিশুপুত্র ৮,২৪৬ ও শিশুকন্যা ৭,৮২৮ জন৷ মোট ডানসংখ্যার ১১.৬২ শতাংশ তফসিলি জাতি ও ০.২৫ শতাংশ তফসিলি উপজাতির অন্তর্ভুক্ত৷ আলান্দুরের মোট সাক্ষরতার হার ৯৪.৪৬ শতাংশ, যেখানে পুরুষ সাক্ষরতার হার ৯৬.৮২ শতাংশ ও নারী সাক্ষরতার হার ৯২.১২ শতাংশ৷[৪] মোট পরিবার সংখ্যা ৪৩,৪১১ জন৷ মোট শ্রমজীবী সংখ্যা ৬৪,৬৯৮ জন, ২৯০ জন কৃষক, ৩১৯ জন মূল কৃষিজীবী, ৬৫০ জন গৃহস্থলী সংক্রান্ত শ্রমিক, ৫৬,৬৪৩ জন অন্যান্য শ্রমিক, ৬,৭৯৬ জন প্রান্তিক শ্রমজীবী, ১৪১ জন প্রান্তিক কৃষক, ১৪৬ জন প্রান্তিক কৃষিজীবী, ১৯৯ জন প্রান্তিক গৃহস্থলী সংক্রান্ত শ্রমিক এবং ৬,৩১০ জন অন্যান্য প্রান্তিক শ্রমজীবী৷[৫] ২০০১ থেকে ২০১১ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে আলান্দুরের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১২ শতাংশ৷[৬]
আলান্দুরের এমজিআর মার্কেট প্রায় দুশ বছর পুরানো৷ এটি এমকেএন সড়কের মাঝামাঝি গিণ্ডি ও মীনমবক্কমের মাঝে অবস্থিত৷ তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এম জি রামচন্দ্রন এই বাজারটি সাধারণের ডন্য উদ্বোধন করেছিলেন৷[৭]
আলান্দুর বিধানসভা নির্বাচন কেন্দ্রটি চেন্নাই দক্ষিণ লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত৷[৮]