আলাভান্দান | |
---|---|
পরিচালক | সুরেশ কৃষ্ণ |
প্রযোজক | এস দানু |
রচয়িতা | কমল হাসান |
উৎস | উপন্যাস 'দয়াম', লেখকঃ কমল হাসান |
শ্রেষ্ঠাংশে | কমল হাসান রবীনা ট্যান্ডন মনীষা কৈরালা |
সুরকার | গান: শঙ্কর-এহসান-লায় আবহ সঙ্গীত: মহেশ মহাদেব |
চিত্রগ্রাহক | তিরু |
সম্পাদক | কশি বিশ্বনাথ কে এস রঘুনাথ (আনক্রেডিটেড) |
প্রযোজনা কোম্পানি | ভি ক্রিয়েশন্স |
মুক্তি | ১৪ নভেম্বর ২০০১ |
স্থিতিকাল | ১৬৪ মিনিট (তামিল সংস্করণ) ১২৯ মিনিট (হিন্দি সংস্করণ)[১] |
দেশ | ভারত |
ভাষা | তামিল |
নির্মাণব্যয় | ₹ ২০ কোটি (ইউএস$ ২.৪৪ মিলিয়ন)[২] |
আলাভান্দান (তামিল: ஆளவந்தான், অনুবাদ 'সে শাসন করার জন্য এসেছিলো') হচ্ছে ২০০১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি তামিল মনস্তাত্ত্বিক-রোমাঞ্চকর চলচ্চিত্র। যেটি পরিচালনা করেন সুরেশ কৃষ্ণ, এবং প্রযোজনা করেন এস দানু। চলচ্চিত্রটিতে কমল হাসান দ্বৈত চরিত্রে অভিনয় করেন, আরো ছিলেন রবীনা ট্যান্ডন, মনীষা কৈরালা, শরৎ বাবু, এবং মিলিন্দ গুণাজী সাহায্যকারী চরিত্রে ছিলেন। এটি হচ্ছে ভারতের অন্যতম পূর্ববর্তী 'যাদু বাস্তবতাবাদী' চলচ্চিত্র।
চলচ্চিত্রটিতে শঙ্কর-এহসান-লায় দ্বারা সুরারোপিত গান রয়েছে এবং মহেশ মহাদেব আবহ সঙ্গীত তৈরির কাজ করেন। চলচ্চিত্রটি হিন্দিতে অনুবাদ এবং কয়েকটি দৃশ্য নতুন করে তৈরি করে 'অভয়' নামে মুক্তি দেওয়া হয়[১][১][৩], তেলুগু ভাষাতেও একই নামে (অভয়) মুক্তি দেওয়া হয়, তবে শুধু অনুবাদ করে। এই চলচ্চিত্রটি অভিনেতা কামাল হাসানের এর নিজের লেখা তামিল উপন্যাস 'দয়াম'-এর চলচ্চিত্র-সংস্করণ, দয়াম ১৯৮৪ সালে লেখা হয়।[৪][৫] আলাভান্দান ভালো ব্যবসা করতে না পারলেও এটি 'শ্রেষ্ঠ বিশেষ ইফেক্টের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার' পুরস্কার লাভ করে এবং তখন থেকেই এটি একটি অর্চনামূলক চলচ্চিত্র হিসেবে বিবেচিত।
সন্তোষ কুমার নামের এক ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তার স্ত্রী এবং দুই পুত্রসন্তান আছে, কিন্তু সে একদিন জয়ন্তী নামের এক নারীকে বিয়ে করে ঘরে তুলে আনে, যেটা দেখে সন্তোষের প্রথম স্ত্রী আত্মহত্যা করে ফেলে, সন্তোষের পুত্র নন্দকুমার নন্দু এ ঘটনায় খুবই ব্যথিত হয় এবং জয়ন্তীকে ঘৃণা করা শুরু করে। সন্তোষ তার এই ছেলেকে খুবই প্রহার করে, একদিন সন্তোষ হার্ট এ্যাটাকে মারা গেলে নন্দ জয়ন্তীকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে মেরে ফেলে। নন্দকে পরে মানসিকরোগীদের কারাগারে নিয়ে যায় তার আপন মামা। নন্দকে একদিন তার যমজ ভাই বিজয় তার প্রেমিকাকে নিয়ে কারাগারে আসে, নন্দ বিজয়ের প্রেমিকাকে ডাইনী মনে করে এবং জয়ন্তীর এক রূপ বলে ধরে নেয়। কাহিনী এগুতে থাকে, নন্দ চালাকি করে জেল থেকে পালিয়ে বিজয়ের প্রেমিকাকে খুন করার জন্য হন্যে হয়ে ওঠে, মাঝখান দিয়ে সে নিজের প্রেমিকা শর্মিলীকেও জয়ন্তীর রূপ মনে করে মেরে ফেলে। সিনেমার শেষদিকে নন্দ আর বিজয়ের মধ্যে মারামারির এক পর্যায়ে নন্দ সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নিহত হয়।
এই চলচ্চিত্রে অভিনেতা কমল হাসানের নিতম্ব সংবলিত দৃশ্য ছিলো কিন্তু সেটা সেন্সর বোর্ড কেটে দিয়ে মুক্তি দিয়েছিলো।[৬][৭]