আলিরাজপুর রাজ্য अलीराजपुर | |||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|
ব্রিটিশ ভারত দেশীয় রাজ্য | |||||||
১৪৩৭–১৯৪৮ | |||||||
ইম্পেরিয়াল গেজেটিয়ার অব ইন্ডিয়া থেকে প্রাপ্ত আলিরাজপুর রাজ্যের মানচিত্র | |||||||
রাজধানী | আলিরাজপুর | ||||||
আয়তন | |||||||
• ১৯৪১ | ২,১৬৫.২৪ বর্গকিলোমিটার (৮৩৬.০০ বর্গমাইল) | ||||||
জনসংখ্যা | |||||||
• ১৯৪১ | ১,১২,৭৫৪ | ||||||
ইতিহাস | |||||||
• প্রতিষ্ঠিত | ১৪৩৭ | ||||||
১৯৪৮ | |||||||
| |||||||
বর্তমানে যার অংশ | মধ্যপ্রদেশ,ভারত | ||||||
[১] |
আলিরাজপুর রাজ্য [২] ছিলো ব্রিটিশ শাসিত ভারতে অবস্থিত একটি ১১ তোপ সেলামী সম্মানপ্রাপ্ত দেশীয় রাজ্য, যা বর্তমানে ভারতের অন্তর্গত৷ ব্রিটিশ ভারতে এটি মধ্য ভারত এজেন্সির ভোপাবর এজেন্সিতে অবস্থিত রাজ্যগুলির মধ্যে একটি ছিলো। রাজ্যটির সদর ও প্রশাসনিক দপ্তর ছিল আলিরাজপুর শহরে, যা বর্তমান মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের আলিরাজপুর জেলায় অবস্থিত। রাজ্যটি ২,১৬৫ বর্গ কিলোমিটার ক্ষেত্রফল জুড়ে বিস্তৃত এবং ১৯০১ খ্রিস্টাব্দে রাজ্যটির জনসংখ্যা ছিলো ৫০,১৮৫ জন৷ ঐ বছরই রাজ্যটির গড় রাজস্বের পরিমাণ ছিলো ১,০০,০০০ ভারতীয় মুদ্রা৷[৩]
আলিরাজপুর রাজ্যের প্রারম্ভিক ইতিহাস অস্পষ্ট হলেও ধারণা করা হয় আনন্দ দেও বা উদে দেও এই রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেছিলেন৷ রাজ্যটির নাম এসেছে আলি দুর্গ এবং রাজধানী রাজপুরের নাম একত্রিত করে৷ আলিরাজপুরের শাসকরা নিজেদের যোধপুর রাজ পরিবারের বংশজ রাঠোর বলে দাবী করলেও যোধপুরের মহারাণা তা মান্যতা দিতে নারাজ৷ ১৮১৮ খ্রিস্টাব্দে রাজ্যটি ব্রিটিশ করদ রাজ্যে পরিণত হয়৷ [৪] আলিরাজপুরের শেষ রাজা সুরেন্দ্র সিং ছিলেন ১৯৮০ খ্রিস্টাব্দে ফ্রান্সে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত৷[৫] ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে ভারতের স্বাধীনতা লাভের পর এই আলিরাজপুর রাজ্য ভারতীয় অধিরাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়। স্বাধীন ভারতে প্রাথমিকভাবে ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দে এটিকে মধ্যভারত ও পরে ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দের পয়লা নভেম্বর তারিখে নবগঠিত মধ্যপ্রদেশ রাজ্যে অংশীভূত করা হয়।
পূর্বতন রাজ্যটির পতাকায় ছিলো একান্ত এক বারটি লাল ও সাদা অনুভূমিক ডোরাকাটা দাগ৷ আবার রাজার ব্যক্তিগত ব্যবহারে পাঁচটি ভিন্ন ভিন্ন রঙ বিশিষ্ট পাতার ব্যবহার ছিলো৷[৬]
আলিরাজপুর দেশীয় রাজ্যের শাসকগণ ছিলেন হিন্দু রাঠোর রাজপুত৷ ১৯১১ খ্রিস্টাব্দে তারা রাজা উপাধি পান৷ [৭]