ধরন | জলখাবার |
---|---|
উৎপত্তিস্থল | ভারতীয় উপমহাদেশ |
অঞ্চল বা রাজ্য | উত্তর ভারত, দক্ষিণ ভারত, বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান |
পরিবেশন | গরম |
প্রধান উপকরণ | আলু, মটর, মশলা, ভেষজ |
ভিন্নতা | রাগদা প্যাটিস |
আলু টিক্কি ভারতীয় উপমহাদেশ থেকে উদ্ভূত একটি জলখাবার; উত্তর ভারত, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশে, এটি সিদ্ধ আলু, মটর এবং বিভিন্ন তরকারি মসলা দিয়ে তৈরি করা হয়। হিন্দি এবং মারাঠি ভাষায় "টিক্কি" শব্দের অর্থ বোঝায় একটি ছোট কাটলেট বা চপ। এটি গরম পরিবেশন করা হয় এবং সাথে চাটনি, তেঁতুল ও ধনিয়া-পুদিনা সস এবং কখনও কখনও দই অথবা ছোলা দেওয়া হয়। এটি একটি নিরামিষ বিকল্প খাবার।
ভারতের মুম্বাইয়ে আলু টিক্কির একটি জনপ্রিয় সংস্করণ রয়েছে যা মশলাদার তরকারি এবং বিভিন্ন চাটনি দিয়ে পরিবেশন করা হয়। একে "রাগদা প্যাটিস" বলা হয় এবং শহর জুড়ে এবং বিশেষত চৌপট্টি সৈকতে বিভিন্ন চাটের দোকানে খাবারটি বিক্রি হয়।
আলু টিক্কি ধনিয়া, মটর এবং মশলা মিশ্রিত, এটির আলু প্যাটিগুলি তেলে গভীর ভাজা হয়। কিছু উত্তর ভারতীয় ধাবা বা ক্যাফে ধাঁচের খাবারের দোকানে বনরুটির ভেতর আলু টিক্কি দিয়ে স্যান্ডউইচ তৈরি করা হয়। যুক্তরাজ্যে নিরামিষ টিক্কি বিভিন্ন খাবারের দোকানে পাওয়া যায়। এটি পূর্ব মিডল্যান্ডস অঞ্চলে খুবই জনপ্রিয়।
ভাষা এবং সংস্কৃতিভেদে এটি সমগ্র ভারত অঞ্চল জুড়েই খুঁজে পাওয়া যায়। তবে অঞ্চলভেদে এর "ভিন্নতা" লক্ষণীয়ভাবে বিদ্যমান। উদাহরণস্বরূপ, মুম্বাইয়ে আলু টিক্কি মূলত স্থানীয়ভাবে উত্থিত মশলা যেমন হলুদ দিয়ে তৈরি হয়, অপরদিকে বেঙ্গালুরুতে এর তাৎপর্য হল এতে ধনিয়ার মসলা বেশি দেওয়া হয়। দিল্লীতে উত্তর প্রদেশ আলু টিক্কি ও অন্যান্য চাটের জন্য পরিচিত।[১]
আলু ও কড়াইশুঁটি আলাদা আলাদা করে সেদ্ধ করে নেয়া হয়। একটি বড় বাটিতে আলু সেদ্ধ, কড়াইশুঁটি, পেঁয়াজ কুঁচি, আদা বাটা, কাঁচা মরিচ কুঁচি, ধনিয়া পাতা কুঁচি, ভাজা জিরা গুঁড়ো, মরিচ গুঁড়ো, পাতি লেবুর রস, চাট মশলা ও আমচুর গুড়ো একসঙ্গে ভাল করে মাখা হয়। তারপর সেই মিশ্রণ থেকে অল্প অল্প করে নিয়ে গোল গোল চ্যাপ্টা আকার করে আলু টিক্কি তৈরি করা হয়। এবার ননস্টিক তাওয়ায় তেল গরম করে আলুর টিক্কিগুলো এক এক করে তেলে দেওয়া হয় ও দু’পিঠ লালচে করে ভাঁজা হয়। তারপর বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে পরিবেশন করা হয়।[২]