শেভচেঙ্কো ইউক্রেনের খমেলনিতস্কিতে জন্মগ্রহণ করেন এবং সেখানেই বড় হয়েছেন। [৬]
আন্না হুতসোল তার দুই বন্ধু খমেলনিতস্কি, ওলেক্সান্দ্রা শেভচেঙ্কো এবং ওকসানা শাচকোর সাথে ২০০৮ সালের ১০ এপ্রিলে তাদের শহর কিয়েভে ফেমেন গঠন করেন।[৭] তারা প্রাথমিকভাবে নারী শিক্ষার্থীদের প্রভাবিত করার বিষয়ে প্রতিবাদ করে, কিন্তু দ্রুত ইউক্রেনীয় নারীদের যৌন শোষণের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে।[৮] ২০০৯ সালের আগস্টের শেষের দিকে ওকসানা শাচকো এই দলের প্রথম সদস্য হিসেবে বিক্ষোভের সময় তার স্তন উন্মুক্ত করেন, কিন্তু ২০১০ সাল পর্যন্ত এই পদ্ধতি এফইএমইএন বিক্ষোভে স্বাভাবিক কৌশল হয়ে ওঠে নি, এই কারণে যে টপলেস বিক্ষোভের ফলে মিডিয়ার মনোযোগ ছাড়া তাদের বার্তা শোনা যাবে না।[৯]
২০১১ সালে আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থাগুলো নারীবাদী বিক্ষোভকারীদের এই অস্বাভাবিক দলের প্রতি আরো মনোযোগ দিতে শুরু করে।[১০][১১]
২০১১ সালের শেষের দিকে শেভচেঙ্কো, ইনা শেভচেঙ্কো এবং জেনিয়া ক্রাইজম্যানের সাথে আন্তর্জাতিক মঞ্চে তাদের প্রতিবাদ গ্রহণ করেন। ২০১১ সালের ৩১ অক্টোবর তারা ডমিনিক স্ট্রস-কানের বিরুদ্ধে প্যারিসে ফরাসি দাসীর পোশাক পরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।[১২] ৫ নভেম্বর ২০১১ তারিখে তারা রোমে সিলভিও বেরলুসকোনির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায়।[১৩] পরের দিন তারা সেন্ট পিটার্স বাহিরে পোপ বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায়[১৪] এবং ১০ নভেম্বর জুরিখে পতিতাবৃত্তির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিল। [১৫] ২০১১ সালের ৯ ডিসেম্বর শেভচেনকো মস্কোয়ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে ক্রাইস্ট দ্য সেভিয়র ক্যাথেড্রালের বাইরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছিলেন। [১৬]
২০১৩ সালে, শেভচেঙ্কো বার্লিনে ফেমেন জার্মানির জন্য একটি প্রশিক্ষণ সুবিধা প্রতিষ্ঠা করেন।
২০১৩ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি, শেভচেঙ্কো বার্লিন চলচ্চিত্র উৎসবে নারী যৌনাঙ্গ বিকৃত করার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন - তার খালি বুক জুড়ে 'স্টপ কাটিং মাই পুসি' শব্দগুলি লেখা ছিল।
৬ মার্চ ২০১৩ তারিখে ফরাসি লেখক গালিয়া একরম্যানের সহযোগিতায় ফেমেন এক্টিভিস্টরা (শেভচেঙ্কো সহ) ফরাসি ভাষায় কালামান-লেভি কর্তৃক প্রকাশিত 'ফেমেন' নামে তাদের প্রথম বই প্রকাশ করে। [১৭]
আগস্ট ২০১৩ সালে শেভচেঙ্কো ইউক্রেন থেকে পালিয়ে যান।
↑"The Femen Phenomenon", Gleb Garanich, Photographer's Blog, 1 March 2012, "Olexandra" is used here, in its original Ukrainian version and not translated into Russian. [Accessed 4 January 2020].