আসাদ্দর আলী ꠀꠍꠖ꠆ꠖꠞ ꠀꠟꠤ | |
---|---|
জন্ম | ১৯২৯ |
মৃত্যু | ১২ এপ্রিল ২০০৫ |
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
নাগরিকত্ব | বাংলাদেশ |
পরিচিতির কারণ | লেখক, গবেষক |
মুহম্মদ আসাদ্দর আলী (জন্ম:১৯২৯ - মৃত্যু:১২ এপ্রিল ২০০৫)। বেশি পরিচিত অধ্যাপক আসাদ্দর আলী নামে । তিনি একজন বাংলাদেশী লেখক, শিকড় সন্ধানী গবেষক এবং ঐতিহাসিক। যিনি বাংলাদেশের সিলেটের ইতিহাস বিষয়ে গবেষণা করেছেন। তার গবেষণা ও লিখালেখীর জন্য ২০০৪ সালে তিনি পেয়েছেন বাংলা একাডেমী পুরস্কার [১]। মুহম্মদ আসাদ্দর আলী তার গবেষণায় লোক সাহিত্য, মরমী সাহিত্যের অজানা ইতিহাস সহ উনিশটি গ্রন্থ লিখেছেন [২]।
মুহম্মদ আসাদ্দর আলী ১৯২৯ সালে সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলায় লুদরপুর গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মৌলভী মোহাম্মদ ওসমান উল্লাহ[২][৩]।
মুহম্মদ আসাদ্দর আলী তার পাশের গ্রাম সৈয়দপুর পাঠশালা থেকে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় দিত্বীয় স্থান লাভ করেন । প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করে তিনি সুনামগঞ্জ গভর্ণমেন্ট জুবিলী হাইস্কুলে মেট্রিকুলেশন লাভ করেন। এরপর সিলেট এম সি কলেজে আই এ ও বি এ শেষ করেন । মুহম্মদ আসাদ্দর আলী সিলেট এম সি কলেজে লেখা-পড়া শেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে এম এ এবং ঢাকা রিচার্স ট্রেনিং কলেজ থেকে টেলেন্ট স্কলারশীপ হোল্ডার হিসেবে প্রথম বিভাগে বি এড ডিগ্রী লাভ করেন[৩]।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রী অর্জনের পর তিনি কিছু দিন সিলেট মদনমোহন কলেজে শিক্ষকতা করেন । পরে শিক্ষকতা ছেড়ে দিয়ে জীবিকার জন্যে ব্যবসা ও নেশা হিসেবে গবেষণায় আত্মনিয়োগ করেন। গবেষণার প্রয়োজনে তিনি বিভিন্ন স্থানে যাতায়ত করে হাজার হাজার লোকের সাথে সাক্ষাত করেছেন, প্রাচীন বই-পুস্তক ও পান্ডুলিপি পাঠে ঐতিহাসিক তথ্য উদগাঠন করে তৈরি করেছেন বিভিন ঐতিহাসিক গ্রন্থ।[৪] মুহম্মদ আসাদ্দর আলী গবেষণা কর্ম ছাড়া শিক্ষা ও সমাজকর্মের সাথে জড়িত ছিলেন। সিলেটের ঐতিহ্য সৃষ্টিকারী সাহিত্য সংগঠন সংলাপ সাহিত্য-সংস্কৃতি ফ্রন্টের তিনি প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ছিলেন এবং দীর্ঘ এক যুগ এ দায়িত্ব পালন করেন। সিলেটের সাহিত্য-সাংস্কৃতিক আন্দোলনে সংলাপ এক সময় ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেছে। তিনি ছিলেন বাংলা একাডেমীর আজীবন সদস্য । সিলেটের কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের দীর্ঘকাল যাবত সহ সভাপতির দায়ীত্ব পালন করেন। তার ছাত্র জীবন থেকে বিভিন্ন সাহিত্য লাইব্রেরি ও পাঠাগার প্রতিষ্টার উল্লেখ জীবনী গ্রন্থে পাওয়া যায়। বাংলা সাহিত্যে আলোচিত বিখ্যাত ময়মনসিংহ গীতিকারভাষা বিশ্লেষণ ও স্থানাদির উপর আলোচনা করে তিনি ময়মনসিংহ গীতিকা হতে নয়টি গীতিকাকে সিলেট অষ্ণলের গীতিকা হিসেবে প্রমাণ দেখিয়েছেন।[৫] মধ্যযুগের কবি সৈয়দ সুলতানকে চট্রগ্রামের অধিবাসী হিসেবে দাবি করে ড. আহমদ শরীফ তার পি এইচ ডি থিসিস তৈরি করেন। গবেষণার মাধ্যমে মহাকবি সৈয়দ সুলতান ও শেখ চান্দ সিলেটের সন্তান উল্লেখ করে ডঃ আহমদ শরীফের লিখা পি এইচ ডি থিসিসে ভুল ধরিয়েছেন।[২]
অধ্যাপক মুহম্মদ আসাদ্দর আলী গ্রন্থের সংখ্যা উনিশটি । তার মধ্যে বিশেষ কয়েকটি হচ্ছেঃ-