আসাম প্রদেশ (১৯১২ - ১৯৪৭) নর্থ-ইস্ট ফ্রন্টিয়ার (১৮৭৪ - ১৯০৫) | |||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
ব্রিটিশ ভারতের প্রদেশ | |||||||||||
২১ মার্চ ১৯১২–১৫ আগস্ট ১৯৪৭ | |||||||||||
১৯৩৬ সালে আসাম প্রদেশ | |||||||||||
রাজধানী | শিলং | ||||||||||
আয়তন | |||||||||||
• | ২,৪০,১১৮ বর্গকিলোমিটার (৯২,৭১০ বর্গমাইল) | ||||||||||
ইতিহাস | |||||||||||
• পূর্ব বাংলা ও আসামের দ্বিখণ্ডন | ২১ মার্চ ১৯১২ | ||||||||||
১৫ আগস্ট ১৯৪৭ | |||||||||||
|
আসাম প্রদেশ ব্রিটিশ ভারতের একটি প্রদেশ ছিল, যা ১৯১২ সালে পূর্ববঙ্গ ও আসাম প্রদেশ বিভক্তির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এর রাজধানী ছিল শিলংয়ে।
১৮৭৪ সালে 'উত্তর-পূর্ব সীমান্ত' অ-নিয়ন্ত্রণ প্রদেশ হিসাবে আসাম অঞ্চলটি প্রথম বঙ্গ থেকে পৃথক হয়েছিল। ১৯০৫ সালে এটি পূর্ব বঙ্গ ও আসামের নতুন প্রদেশ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল এবং ১৯১২ সালে এটি একটি প্রদেশ হিসাবে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়।
১৮২৪ সালে আসাম প্রথম অ্যাংলো-বার্মিজ যুদ্ধের পরে ব্রিটিশ বাহিনী কর্তৃক দখল হয়েছিল এবং ২৪ ফেব্রুয়ারি ১৮২৬-এ বার্মা এটি ১৮২৬-এর ইয়াণ্ডাবু সন্ধির মাধ্যমে ব্রিটেনের হাতে তুলে দেয়।[১] ১৮২৬ থেকে ১৮৩২ -সময়কালে মধ্যে আসামকে বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির অধীনে বাংলার অংশ করা হয়েছিল। ১৮৩২ থেকে ১৮৩৮ সালের অক্টোবর অবধি আসাম করদ রাজ্যটি উচ্চ আসামে স্থানান্তর করা হয়েছিল এবং ব্রিটিশরা নিম্ন আসামে রাজত্ব করছিল। ১৮৩৩ সালে পুরন্দর সিংহকে উচ্চ আসামের রাজা হিসাবে শাসন করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু সেই সংক্ষিপ্ত সময়কালে অসমকে ব্রিটিশরা বাংলার সাথে যুক্ত করে দেয়। ১৮৭৩ সালে ব্রিটিশ রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ পশ্চিম নাগা সম্প্রদায়ের উপর চাপিয়ে দেয়া হয়েছিল। ১৮৭৪ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি সিলেট সহ আসামকে বঙ্গ থেকে পৃথক করে আসামের প্রধান-কমিশনারশিপ গঠন করা হয়, যা 'উত্তর-পূর্ব সীমান্ত' নামেও পরিচিত। ১৮৭৪ সালের সেপ্টেম্বরে শিলংকে আসাম প্রদেশের রাজধানী হিসাবে নির্বাচন করা হয়েছিল। ১৮৯৭ সালে লুশাই পাহাড়কে আসামে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল।
নতুন কমিশনারশিপে, খাসি-জৈন্তিয়া পাহাড়, গারো পাহাড়, নাগা পাহাড়, গোয়ালপাড়া এবং সিলেট-কাছার সহ প্রায় ৫৪,১০০ বর্গ মাইল নিয়ে আসামের পাঁচটি জেলা অন্তর্ভুক্ত ছিল- (কামরূপ, নগাঁও, দরং, শিবসাগর এবং লখিমপুর)। কোচবিহার আসামের একটি ঐতিহাসিক অংশ ছিল, যা বাদ পড়ে।[২]