ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | সৈয়দ আসিফ মাসুদ শাহ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | লাহোর, পাঞ্জাব, পাকিস্তান | ২৩ জানুয়ারি ১৯৪৬|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি মিডিয়াম-ফাস্ট | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | বোলার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৫৭) | ২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১ জানুয়ারি ১৯৭৭ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ২) | ১১ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৩ বনাম নিউজিল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ১৬ অক্টোবর ১৯৭৬ বনাম নিউজিল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১২ মে ২০১৯ |
সৈয়দ আসিফ মাসুদ শাহ (উর্দু: آصف مسعود; জন্ম: ২৩ জানুয়ারি, ১৯৪৬) তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশের লাহোরে জন্মগ্রহণকারী সাবেক পাকিস্তানি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।[১][২][৩] পাকিস্তান ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৬৯ থেকে ১৯৭৭ সময়কালে পাকিস্তানের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর পাকিস্তানি ক্রিকেটে লাহোর দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি মিডিয়াম-ফাস্ট বোলিং করতেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে ডানহাতে কার্যকরী ব্যাটিংশৈলী উপস্থাপন করতেন আসিফ মাসুদ।
লাহোরের ইসলামিয়া কলেজে পড়াশোনা করেছেন তিনি। ১৯৬৩-৬৪ মৌসুম থেকে ১৯৭৬-৭৭ মৌসুম পর্যন্ত আসিফ মাসুদের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। এ পর্যায়ে লাহোর, পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স ও পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন তিনি।
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ১৬ টেস্ট ও ৭টি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পেয়েছিলেন আসিফ মাসুদ। ২১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৯ তারিখে লাহোরে সফরকারী ইংরেজ দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ১৯৬৮-৬৯ মৌসুমে টেস্ট অভিষেকের পর থেকে পরবর্তী সাত বছর দলের নিয়মিত খেলোয়াড়ে পরিণত হন। ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ায় দুইবার গমন করেন।
১৯৭১ সালে ইংল্যান্ড গমন করেন। বার্মিংহাম টেস্টে নিজস্ব সেরা খেলা উপহার দেন। ৫/১১১ ও ৪/৪৯ বোলিং পরিসংখ্যান গড়েন তিনি। ফলশ্রুতিতে, ১৯৭১-৭২ মৌসুমে বহিঃবিশ্ব একাদশের সদস্যরূপে মনোনীত হন।[৪]
ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ১৯৭৫ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের উদ্বোধনী আসরে পাকিস্তান দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন। ঐ প্রতিযোগিতায় তার দল গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেয়।[৫] তিনটি খেলার মধ্যে একটিতে অংশ নিয়ে ৭ বল মোকাবেলান্তে একটি চারের মার সহযোগে ৬ রান তুলেছিলেন।
১৯৭৭ সালে ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণ করেন। যুক্তরাজ্যে বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। সেখানে তিনি সফলতম ব্যবসায়ী হিসেবে আবির্ভূত হন। ল্যাঙ্কাশায়ারের বারির তৎকালীন ডাকঘরে প্রথম ভ্রমণ সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত তিনি। বর্তমানে তিনি বারিতে স্ব-পরিবারে চার সন্তান নিয়ে বসবাস করছেন।
দীর্ঘদেহী ও মজবুত গড়নের অধিকারী আসিফ মাসুদের ঘন কালো দাঁড়ি নিয়ে খেলায় অগ্রসর হতেন। মাথার চুলও ঝাঁকড়া প্রকৃতির ছিল। মূলতঃ নতুন বল নিয়ে বোলিং আক্রমণ পরিচালনা করতেন। আক্রমণ পরিচালনার লক্ষ্যে দৌঁড়ানোর কৌণিক দিকেরও ভিন্নতা নিয়ে আসতেন এবং বলে সুইং ও সিম আনয়ণে সক্ষমতা দেখাতেন।