আসিফ মাহমুদ | |
---|---|
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা | |
কাজের মেয়াদ ১৬ আগস্ট ২০২৪ – ১০ নভেম্বর ২০২৪ | |
পূর্বসূরী | নজরুল ইসলাম (প্রতিমন্ত্রী) |
উত্তরসূরী | এম. সাখাওয়াত হোসেন |
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা | |
দায়িত্বাধীন | |
অধিকৃত কার্যালয় ৯ আগস্ট ২০২৪[১] | |
পূর্বসূরী | নাজমুল হাসান (মন্ত্রী) |
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা[২] | |
দায়িত্বাধীন | |
অধিকৃত কার্যালয় ১০ নভেম্বর ২০২৪ | |
পূর্বসূরী | এ. এফ. হাসান আরিফ |
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা | |
দায়িত্বাধীন | |
অধিকৃত কার্যালয় ৮ আগস্ট ২০২৪ | |
রাষ্ট্রপতি | মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | মুরাদনগর উপজেলা, কুমিল্লা | ১৪ জুলাই ১৯৯৮
নাগরিকত্ব | বাংলাদেশী |
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
মাতা | রোকসানা বেগম |
পিতা | মো. বিল্লাল হোসেন |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | |
পেশা | ছাত্র নেতা, উপদেষ্টা |
আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া (১৪ জুলাই ১৯৯৮) হচ্ছেন একজন বাংলাদেশী আন্দোলনকর্মী, ছাত্রনেতা ও বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের একজন উপদেষ্টা।[৩][৪] তিনি এছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম একজন সমন্বয়ক, যার মাধ্যমে তিনি ২০২৪ সালে সংগঠিত কোটা সংস্কার আন্দোলন ও অসহযোগ আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র অধিকার পরিষদের সাবেক সভাপতি।[৫]
আসিফ ১৯৯৮ সালের ১৪ জুলাই কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার আকুবপুর ইউনিয়নের আকুবপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন ও মাতা রোকসানা বেগম। আসিফ মাহমুদ ঢাকার তেজগাঁও থানার নাখালপাড়া হোসেন আলী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করেন। তিনি আদমজী ক্যান্টমেন্ট কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও কলেজটির বিএনসিসি ক্লাবের প্লাটুন সার্জেন্ট ছিলেন। কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করে তিনি বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।[৬][৭]
২০২৪ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনে তিনি সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন এবং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। শিক্ষার্থীর হত্যা ও বিনা বিচারে আন্দোলনকারীদের নির্যাতনের জন্য অতি মানবীয় ভূমিকা পালন করেন তিনি এবং তার সংগঠন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। তিনি সহ উক্ত সংগঠনের আরো দুই গুরুত্বপূর্ণ সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম ও সারজিস আলম মিলে সারা দেশে একযোগে অসহযোগ আন্দোলন এবং পরিশেষে লংমার্চ টু ঢাকা কর্মসূচি সফলভাবে ডাক দেন। যার ফলশ্রুতিতে ক্ষমতাসীন স্বৈরাচারী সরকারের পতন হয়।
আসিফ ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনেও সক্রিয় ছিলেন। এরপরে ছাত্র অধিকার পরিষদের সঙ্গে রাজনীতি শুরু করেন। ২০২৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র অধিকার পরিষদের প্রথম সম্মেলনে সভাপতি নির্বাচিত হন তিনি। পরবর্তীতে সংগঠনের গঠনতন্ত্র লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে আসিফের নেতৃত্বে পুরো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কমিটি পদত্যাগ করে।[৭] ২০২৩ সালে ৪ অক্টোবর গণতান্ত্রিক ছাত্র শক্তির সূচনার পর সংগঠনটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়কের দায়িত্ব পান তিনি।[৬]
তিনি ২০২৪ সালের ৮ আগস্ট বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার এর উপদেষ্টা হিসেবে নিযুক্ত হন এবং ৯ আগস্ট যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পান।[৮] ২০২৪ সালের ১৬ আগস্ট তিনি শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পান।[৯]