আহমদ জাইনি দাহলান أحمد زَيْني دَحْلان | |
---|---|
উপাধি | শায়খুল ইসলাম[১] |
ব্যক্তিগত তথ্য | |
জন্ম | ১৮১৬ |
মৃত্যু | ১৮৮৬ (বয়স ৬৯–৭০) |
ধর্ম | ইসলাম |
জাতিসত্তা | আরব |
অঞ্চল | উসমানীয় সাম্রাজ্য |
আখ্যা | সুন্নি |
ব্যবহারশাস্ত্র | শাফিঈ |
ধর্মীয় মতবিশ্বাস | আশআরি |
প্রধান আগ্রহ | সুফিবাদ, ইতিহাস, আকীদা, কালাম (ইসলামি ধর্মতত্ত্ব), ফিকহ (ইসলামি আইনশাস্ত্র), উসুলে ফিকহ (আইনশাস্ত্রের মূলনীতি), হাদিস, তাফসীর, তাজবিদ, বাক্যতত্ত্ব, অলংকারশাস্ত্র, বীজগণিত |
উল্লেখযোগ্য কাজ | ফিতনাত আল-ওয়াহাবিয়া, আল-দুরার আল-সানিয়্যাহ ফি আল-রাদ 'আলা আল-ওয়াহাবিয়া, খোলাসাত আল-কালাম ফি বায়ান উমারা' আল-বালাদ আল-হারাম |
মুসলিম নেতা | |
যার দ্বারা প্রভাবিত
| |
আহমদ জাইনি দাহলান (আরবি: أحمد زَيْني دَحْلان) (১৮১৬-১৮৮৬) ছিলেন মক্কার শাফিঈ মাযহাবের প্রধান মুফতি,[২][৩] ও উসমানীয় সাম্রাজ্যের হেজাজ অঞ্চলে শায়খুল ইসলাম (উসমানীয় এখতিয়ারের সর্বোচ্চ ধর্মীয় কর্তৃপক্ষ),[৪] এবং ইমাম আল-হারামাইন (দুটি পবিত্র শহর, মক্কা ও মদিনার ইমাম),[৫] সেইসাথে একজন ঐতিহাসিক ও আশ'আরি ধর্মতত্ত্ববিদ। তিনি ওয়াহাবিবাদের চরম সমালোচনা এবং সুফিবাদের (অতীন্দ্রিয়বাদ) প্রতি তার প্রবণতার জন্য পরিচিত ছিলেন।[৬] ওয়াহাবি প্রভাবের বিরুদ্ধে তার গ্রন্থে দাহলান সুফিবাদকে ইসলামি অনুশীলনের একটি আইনি ও অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসাবে স্পষ্টভাবে দেখান - যার মধ্যে রয়েছে তাওয়াসসুল (মধ্যস্থকারীর মাধ্যমে আল্লাহর নিকট সাহায্য প্রার্থনা করা), তাবাররুক (ব্যক্তি বা জিনিসের মাধ্যমে দোয়া চাওয়া) এবং জিয়ারাত আল-কুবুর (মাজার ও কবর জিয়ারত)।[৭][৮][৯]
তিনি ছিলেন আবদুল কাদের জিলানীর বংশধর। তিনি ইতিহাস, ফিকহ ও সাধারণভাবে ইসলামি বিজ্ঞানের উপর অসংখ্য গ্রন্থ লিখেছেন এবং ব্যক্তিগতভাবে প্রকাশ করেছেন।
তিনি ১২৩১ বা ১২৩২ হিজরি = ১৮১৬ বা ১৮১৭ খ্রিস্টাব্দে মক্কায় জন্মগ্রহণ করেন।[১০]
তিনি আহমদ আল-মারজুকি আল-মালিকি আল-মক্কীর (আরবি: أحمد المرزوقي المالكي المكي) অধীনে অধ্যয়ন করেন।[১১]
তার ছাত্রদের সংখ্যা এত বেশি যে, তার পরে এমন একজন আলেম খুঁজে পাওয়া বিরল, যার বর্ণনার শৃঙ্খলে তাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়না। তার ছাত্রদের মধ্যে ছিলেন হুসাইন বিন আলী, মক্কার শরীফ যিনি তার থেকে কুরআন অধ্যয়ন করেছিলেন ও মুখস্থ করেছেন, ইমাম আহমদ রেজা খান কাদেরী বেরলভী,[১২] খলিল আহমদ সাহারানপুরি,[১৩] শেখ মোস্তফা, উসমান বিন ইয়াহিয়া, আরশাদ থাভিল আল-বানতানি, মুহাম্মদ আমরুল্লাহ এবং আহমদ বিন হাসান আল আত্তাস।[১৪]
তিনি এমন এক যুগে লিখতেন এবং শিক্ষা দিতেন যখন মক্কায় প্রথম ছাপাখানা আসে, দাহলান তার অনুগত ছাত্রদের মাধ্যমে সালাফিবাদের প্রতি তার চ্যালেঞ্জগুলি ছড়িয়ে দিতে সক্ষম হন। উদাহরণস্বরূপ, ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথম ত্রৈমাসিকে ওয়াহাবিদের শাসনামলে মক্কায় তাদের নিয়ে আসা দুর্দশার রূপরেখা নিয়ে একটি পুস্তিকা লিখেছেন, ফিতনাত আল- ওয়াহাবিয়্যাহ (আরবি: فتنة الوهابية, অনুবাদ 'ওয়াহাবি ফিতনা'), এবং সম্পূর্ণ ওয়াহাবি মতবাদ ও অনুশীলনকে খণ্ডন করে একটি গবেষণা সেটি হল আল-দুরার আল-সানিয়্যাহ ফি আল-রাদ্দ 'আলা আল-ওয়াহাবিয়্যাহ (আরবি: الدرر السَنِيَّة فى الرد على الوهابية, অনুবাদ 'The Pure Pearls in Answering the Wahhabis')।[১৫]
নিম্নে তার প্রকাশিত কিছু কাজের তালিকা দেওয়া হল:[১৬]
তিনি ১৩০৪ হিজরির মহররম মাসে = ১৮৮৬ খ্রিস্টাব্দে মদিনায় ইন্তেকাল করেন।[১৭]