আহমদ হাসান দানী | |
---|---|
জন্ম | |
মৃত্যু | ২৬ জানুয়ারি ২০০৯ | (বয়স ৮৮)
জাতীয়তা | পাকিস্তানি |
মাতৃশিক্ষায়তন | বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় |
পরিচিতির কারণ | সিন্ধু উপত্যকার সভ্যতার উপরে গবেষণাকর্ম |
পুরস্কার | হিলাল-ই-ইমতিয়াজ (২০০০) সিতারা-ই-ইমতিয়াজ (১৯৬৯) বুন্ডেসফের্ডিন্স্টক্রয়েৎস লেজিওঁ দনর পাল্ম আকাদেমিক |
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন | |
কর্মক্ষেত্র | প্রত্নতত্ত্ব], ইতিহাস, ভাষাবিজ্ঞান |
প্রতিষ্ঠানসমূহ | কায়েদ-এ-আজম বিশ্ববিদ্যালয় |
আহমদ হাসান দানী (উর্দু: احمد حسن دانی) এফআরএএস, এসআই, এইচআই (২০ জুন ১৯২০ - ২৬ জানুয়ারি ২০০৯) ছিলেন একজন পাকিস্তানি বুদ্ধিজীবী, প্রত্নতত্ত্ববিদ, ইতিহাসবিদ এবং ভাষাতাত্ত্বিক।[১][২] তিনি মধ্য এশিয়া ও দক্ষিণ এশিয়ার প্রত্নতত্ত্ব ও ইতিহাস বিষয়ে বিশ্বের সর্বাগ্রগণ্য পণ্ডিতদের একজন ছিলেন।[৩][৪] তিনি পাকিস্তান ও তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে (বর্তমান বাংলাদেশ) উচ্চশিক্ষা স্তরে প্রত্নতত্ত্বকে একটি পাঠ্যবিষয় হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করায় মূল ভূমিকা পালন করেন।[৫] সমগ্র কর্মজীবন জুড়ে দানী বিভিন্ন উচ্চশিক্ষায়তনিক পদ ও আন্তর্জাতিক সমাজসমিতির বিশিষ্ট সভ্যের পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। তিনি বহুসংখ্যক প্রত্নতাত্ত্বিক খননকার্য ও গবেষণা পরিচালনা করেন। তিনি বিশেষ করে উত্তর পাকিস্তানে অবস্থিত প্রাক-সিন্ধু উপত্যকা সভ্যতা ও গান্ধারার উপরে তার প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণাকর্মের জন্য সুপরিচিত।
দানী ১৯৫০-এর দশকের পুরোটা জুড়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে এবং একই সাথে ঢাকা জাদুঘরের পরিচালক (কিউরেটর) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[৩]
বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম মুসলিম ছাত্র হওয়া সত্ত্বেও দানি স্নাতক পরীক্ষায় সর্বোচ্চ স্কোর করেন এবং ১৯৪৪ সালে সেই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জে কে স্বর্ণপদক লাভ করেন।[৪] জাতীয় পুরস্কারের মধ্যে দানি ১৯৬৯ সালে সিতারা-ই-ইমতিয়াজ, ১৯৯২ সালে আইজাজ-ই-কামাল এবং ২০০০ সালে পাকিস্তান সরকারের কাছ থেকে হিলাল-ই-ইমতিয়াজ লাভ করেন। ২০০৪ সালে উচ্চশিক্ষা কমিশন তার অবদান ও কৃতিত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে 'বিশিষ্ট জাতীয় অধ্যাপক' উপাধিতে ভূষিত করে।
আন্তর্জাতিকভাবে, প্রত্নতত্ত্ব, ভাষাবিজ্ঞান এবং প্রাচীন ইতিহাসে তার পরিষেবাগুলো বিভিন্ন মর্যাদাপূর্ণ সম্মান এবং পুররস্কারের মাধ্যমে প্রশংসিত হয়েছিল যেমন:
আহমাদ হাসান দানির কৃতিত্বে ৩০টিরও বেশি গ্রন্থ এবং অসংখ্য জার্নালো নিবন্ধ প্রকাশিত হয়। তিনি ৩৫টি ভাষা ও উপভাষায় কথা বলতেন এবং বাংলা, ফরাসি, হিন্দি, কাশ্মীরি, মারাঠি, পশতু, ফার্সি, পাঞ্জাবি, সংস্কৃত, সেরাইকি, সিন্ধি, তামিল, তুর্কি এবং উর্দু ভাষায় সাবলীল ছিলেন।[৮][৪] তিনি এ ভাষাগুলোর বেশিরভাগেই বিভিন্ন গ্রন্থও প্রকাশ করেছিলেন।