Eugen Goldstein | |
---|---|
![]() | |
জন্ম | ৫ সেপ্টেম্বর ১৮৫০ |
মৃত্যু | ২৫ ডিসেম্বর ১৯৩০ | (বয়স ৮০)
জাতীয়তা | German |
মাতৃশিক্ষায়তন | University of Breslau |
পরিচিতির কারণ | Discovery of canal rays |
পুরস্কার | Hughes Medal (1908) |
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন | |
কর্মক্ষেত্র | Physics |
ইউজেন গোল্ডস্টেইন ( /ˈɔɪɡən/ ; 5 সেপ্টেম্বর 1850 – 25 ডিসেম্বর 1930) একজন জার্মান পদার্থ বিজ্ঞানী। ডিচার্জ টিউব ব্যবহারকারী গবেষকদের মধ্যে তিনি প্রথম যুগের। তিনি অ্যানোড রশ্মি (যাকে আমরা ক্যানাল রশ্মি বলি) আবিষ্কার করেছিলেন। পরবর্তীতে এই রশ্মি হাইড্রোজেন ও অন্যান্য গ্যাসীয় পদার্থের ধনাত্মক আয়ন হিসেবে চিহ্নিত হয়েছিল। তিনি ভায়োলিনবাদক মিখাইল গোল্ডসটেইন এবং বরিস গোল্ডসটেইনের মহান জ্যাঠা মশাই ছিলেন।
পোল্যান্ডে সাইলেসিয়ার উপরের অংশে অবস্থিত গ্লিভিটজে একটি ইহুদি পরিবারে গোল্ডস্টেইন ১৮৫০ সালে জন্মগ্রহণ করেন । তিনিই প্রথমে ব্রেইসাউ এ পড়ালেখা করেন পরবর্তীকালে বার্লিনে হেলমহোল্টজের অধীনে পড়ালেখা করেন। ১৮৭৮ থেকে ১৮৯০ পর্যন্ত তিনি বার্লিন অবজারভেটরিতে কাজ করেছিলেন, কিন্তু তার কর্মজীবনের অধিকাংশ সময় তিনি পোটসড্যাম অবজারভেটরিতে অতিবাহিত করেন, যেখানে তিনি অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সেকশনের সেকশন-প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন, এই পদে তিনি অধিষ্ঠিত হয়েছিলেন ১৯২৭ সালে। যাইহোক, ১৯৩০ সালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন এবং তাকে বার্লিনে ওয়েইসেনসি কবরস্থানে সমাহিত করা হয়।
১৯০০ শতকের মধ্যভাগে গবেষক জুলিয়াস প্লাকার গ্যাস ডিচার্জ টিউব (কুরুক্স টিউব) থেকে নিঃসৃত/উৎপন্ন আলো এবং উৎপন্ন এই আলো বা আভার উপরে চুম্বকক্ষেত্রের প্রভাব পর্যবেক্ষণ করেন । পরবর্তীতে ১৮৬৯ সালে জোহান উইলহেলম হিটরফ ক্যাথোড বা ঋণাত্মক তড়িৎদার থেকে আলোক শক্তি উৎপাদনকারী ডিচার্জ টিউব পর্যবেক্ষণ করেন। এই রশ্মি তখনই প্রতিপ্রভ (ফ্লুরোসেন্স) উৎপাদন করতো যখন তারা টিউবের কাচের দেয়ালে আঘাত করত, এছাড়া এই রশ্মি কোন শক্ত বস্তু দ্বারা বাধাগ্রস্ত হতো তখন তার ছায়া সৃষ্টি করত।
১৮৭০ সালে গোল্ডসটেইন ডিচার্জ টিউবের থেকে আলো নিঃসরণ নিয়ে নিজস্ব পর্যবেক্ষণ/গবেষণায় প্রাপ্ত ফলাফল এবং উক্ত বিষয়ে অন্যদের দ্বারা সম্পন্ন গবেষণা ফলাফল বিচার-বিশ্লেষণ করেন এবং এই আলো নিঃসরণ প্রক্রিয়ার নাম দেন ক্যানালস্ট্রালেন বা ক্যানাল রশ্মি। তিনি ক্যাথোড রশ্মির বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য বা চরিত্র আবিষ্কার করেছিলেন, এই আবিষ্কার সর্বপ্রথম আবিষ্কৃত সাব এ্যটমিক পাটিকেল ইলেকট্রন কে চিহ্নিত করতে সহযোগিতা করে। তিনি দেখেছিলেন যে ক্যাথোড রশ্মি ধাতপৃষ্ট থেকে লম্বভাবে ভাবে নির্গত হয়, এবং এই রশিতে শক্তি বিরাজ করে। কুরুক্স ডিউব থেকে নিঃসৃত আভার স্পেক্ট্রাল লাইনের ডপলার শিফট পর্যবেক্ষণ করে তিনি ইলেক্ট্রনের গতিবেগ নির্ণয়ের চেষ্টা করেছিলেন।
১৮৮৬ সালে তিনি আবিষ্কার করেছিলেন যে ছিদ্র বিশিষ্ট ক্যাথোডও ক্যাথোট-প্রান্তে আভা উৎপাদন করে বা নির্গত করে। গোস্টেইন সিদ্ধান্তে পৌঁছেছিলেন যে ইতোমধ্যে জ্ঞাত ক্যাথোড রশ্মি যা পরবর্তীতে ঋণাত্মক আধান বিশিষ্ট ইলেকট্রন(যা ক্যাথোড প্রান্ত থেকে ধনাত্মক আধান বিশিষ্ট অ্যানোড প্রান্তে চলমান বা ধাবমান) হিসেবে চিহ্নিত হয়, সেই রশ্মি ছাড়াও আরো এক ধরনের রশ্মি বিদ্যমান ভিন্ন ধর্মী এই রশ্মি টি ভিন্ন প্রান্তে বা বিপরীত দিকে ভ্রমণ করে। যেহেতু এই রশ্মি গুলো ছিদ্রের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে গোলসটেই ন এই রশ্মির নাম দিয়েছিলেন ক্যানালসট্রালেন বা ক্যানাল রশ্মি। এই রশিটি পজিটিভ বা ধনাত্মক আয়ন দিয়ে তৈরি এবং যাদের প্রকৃতি বা বৈশিষ্ঠ নির্ভর করে টিউবে ব্যবহৃত গ্যাসের উপরে। হেলমুনচ এর আরেকজন ছাত্র উইলহেম ভিন, যিনি পরবর্তীতে ক্যাথোড রশ্মির উপরে বিস্তারিত পর্যবেক্ষণ এবং পরীক্ষণ সম্পন্ন করেছিলেন এই সময়ে এই কর্মকাণ্ড মাস স্পেক্টোমিটারের ভিত্তি হতে পারতো।
সবচাইতে বেশি e/m অনুপাত বিশিষ্ট এ্যনোড রশ্মি এসেছিল হাইড্রোজেন ((H2) গ্যাস থেকে এবং এটা হাইড্রোজেন আয়ন দিয়ে গঠিত। অন্য কথায় এই রশ্মি প্রোটন দিয়ে গঠিত। এ্যনোড রশ্মির প্রোটন নিয়ে গোল্ডসটেইন সম্পাদিত কাজ বাস্তবিক অর্থে সর্বপ্রথম প্রোটন পর্যবেক্ষণ কে নির্দেশ করে। যথার্থ বলতে গেলে যদিও এটা যুক্তি দেখানো যেতে পারে যে ওয়েনই প্রোটনের e/m এর অনুপাত পরিমাপ করেছিলেন এবং এই আবিষ্কারের কৃতিত্ব তাকেই দেয়া উচিত।
গোল্ডসটেইন ধুমকেতু পর্যবেক্ষণেও ডিচার্জ টিউব ব্যবহার করেছিলেন। কাচ অথবা লোহা দিয়ে তৈরি ছোট্ট একটি গোলাকার বস্তু ক্যাথোড রশ্মির পরিভ্রমণ পথে স্থাপন করলে বস্তুটির ধারের দিকে গৌণ নিঃসরণ সৃষ্টি হয় যা অনেকটা ধূমকেতুর লেজের ন্যায় দেখায়। আরোও তথ্যের জন্য হেডেনাসের কর্মকাণ্ড এবং ছবি দেখতে পারো। [১]