ইউটিউবার, বা ইউটিউব ভিডিও নির্মাতা হলেন, একজন ক্ষুদে চলচ্চিত্রকার যিনি ক্ষুদে চলচ্চিত্র বিনিময়ের ওয়েবসাইট ইউটিউবে নিজের বানানো চলচ্চিত্র প্রকাশ করেন। অধিকাংশ সময় ইউটিউবাররা নিজেরা নিজেদের চলচ্চিত্রে উপস্থাপিত হন।[১][২]
ইউটিউবার শব্দটি মূলত ইউটিউব ওয়েবসাইটের ভিডিও নির্মাতাদের অভিহিত করতে ব্যবহৃত হয়। এই শব্দটির ব্যবহার ২০০৬ সালে প্রথম শুরু হয়।[১]
প্রভাবশালী ইউটিউবারদের ক্ষুদে তারকা হিসাবে অভিহিত করা হয়।[৩] দৃশ্যত ইউটিউবাররা কোনো প্রতিষ্ঠিত বাণিজ্যিক খ্যাতিমান সংষ্কৃতির পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়াই স্বাধীন ও ব্যক্তি উদ্যোগে কর্মরত থাকেন। ফলে ইউটিউবকে ভিডিও প্রকাশের একটি তৃনমূল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে বিবেচনা করা হয়।[৪][৫] পাশাপাশি দর্শক ও শিল্পীর সরাসরি যোগাযোগের কারণে ইউটিউবারদের অধিক গ্রহণযোগ্য ও বিশ্বাসযোগ্য হিসেবে বিবেচনা হয়।[৩]
২০১৪ সালে সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় যুক্তরাষ্ট্রের ১৩ থেকে ১৮ বছর বয়সী ছেলে-মেয়েদের মধ্যে একটি সমীক্ষা পরিচালনা করে। সমীক্ষাটির বিষয় ছিল প্রথাগত দশ জন তারকা এবং দশ জন ইউটিউব তারকাদের মধ্যে কাদের প্রভাব বেশি। এই সমীক্ষার ফলাফলে প্রথম দশজনের পাঁচজন ছিলেন ইউটিউব তারকা এবং দ্বৈত ইউটিউব তারকা স্মশ সবচেয়ে প্রভাবশালী তারকা হিসেবে চিহ্নিত হন।[৬] একই সমীক্ষা ২০১৫ সালে পুনরাবৃত্তি করা হয় যেখানে প্রথম ছয়টি অবস্থান ইউটিউব তারকারা দখল করে রেখেছিল। এই সমীক্ষায় কেএসআই নামক ইউটিউব চ্যানেলকে সবচেয়ে প্রভাবশালী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।[৭]
জোয়েলা[৩] এবং পিউডিপাই[৮] এর মত কতিপয় প্রভাবশালী ইউটিউবারদের প্রভাব ছিল বৈজ্ঞানিক গবেষণার বিষয়। ২০১০ সালের শেষের দিকে প্রকাশিত অনেক গবেষণা প্রতিবেদনে দেখা গেছে শিশুদের কাছে ইউটিউব তারকা হওয়া সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত পেশা।[৯]
ইউটিউব ভিডিওর সাফল্য ইউটিউবারদের বাণিজ্যিক পৃষ্ঠপোষকতার লক্ষ্য হিসাবে পরিণত করেছে। যারা ইউটিউবারদের তৈরি ভিডিওতে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্য অর্থ প্রদান করে। ২০১৫ সালে, ফোর্বস জানিয়েছে যে ফেলিক্স কেজেলবার্গ, যিনি ইউটিউবে পিউডিপাই নামে পরিচিত, ২০১৪ সালে ১ কোটি ২ লক্ষ ডলার আয় করেছেন, যা ক্যামেরন ডিয়াজ বা গুইনেথ প্যাল্ট্রোর মতো জনপ্রিয় অভিনেতাদের চেয়ে বেশি। ২০১৫ সালে, এনএমই জানিয়েছিল যে ভ্লগিং বড় ব্যবসা হয়ে উঠেছে। ২০১৮ সালে ওয়ালমার্ট, নর্ডস্ট্রম এবং অন্যান্যরা ইউটিউব তারকাদের প্রভাবক হিসাবে চিহ্নিত করেছেন।
২০২২ সালে বাংলাদেশ ভিত্তিক ইউটিউব চ্যানেল ন্যাচারাল ফিশিং বিডি'র ইউটিউবার মিজানুর রহমান ইউটিউব থেকে মাসে সাড়ে তিন লাখ টাকা আয় করার কথা জানান।[১০]
|তারিখ=
(সাহায্য)
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |