ব্যক্তিগত তথ্য | |||
---|---|---|---|
জন্ম | ১১ মার্চ ১৯৭৭ | ||
জন্ম স্থান | কোয়াথেমা, দক্ষিণ আফ্রিকা | ||
মৃত্যু | ২৮ এপ্রিল ২০০৮ | (বয়স ৩১)||
মৃত্যুর স্থান | কোয়াথেমা, দক্ষিণ আফ্রিকা | ||
মাঠে অবস্থান | মাঝ মাঠ | ||
জ্যেষ্ঠ পর্যায়* | |||
বছর | দল | ম্যাচ | (গোল) |
স্প্রিংস হোম সুইপার্স এফসি | |||
জাতীয় দল | |||
দক্ষিণ আফ্রিকা | |||
* কেবল ঘরোয়া লিগে ক্লাবের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা গণনা করা হয়েছে |
ইউডি সিমেলেন (১১ মার্চ ১৯৭৭ - ২৮ এপ্রিল ২০০৮) ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার একজন ফুটবলার। তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার জাতীয় নারী ফুটবল দলের হয়ে আন্তর্জাতিক নারী ফুটবল খেলতেন। এছাড়াও তিনি ছিলেন একজন সমকামী ও সমকামী বা এলজিবিটি-অধিকার কর্মী। তার এই যৌন অভিমুখীতার কারণে ২০০৮ সালের ২৮ এপ্রিলে এক দল লোক তাকে তার নিজ শহর উত্তরাঞ্চলীয় গুটেং প্রদেশের স্প্রিংসে অবস্থিত শহর কোয়াথেমায় ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়। [১]
১৯৭৭ সালের ১১ মার্চ তারিখে সিমেলেন উত্তরাঞ্চলীয় গুটেং প্রদেশের স্প্রিংসে অবস্থিত শহর কোয়াথেমায় জন্মগ্রহণ করেন। [২]
সিমেলেন দক্ষিণ আফ্রিকা মহিলা জাতীয় ফুটবল দলের পাশাপাশি নিজ শহরের ক্লাব স্প্রিংস হোম সুইপার্স এফসি দলের হয়ে মাঝ মাঠের খেলোয়াড় তথা মিডফিল্ডার হিসেবে খেলেছেন।[৩] ফুটবল খেলা থেকে অবসর গ্রহণ করার পর তিনি মোট চারটি দলের কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি ফুলবল ম্যাচের রেফারি হওয়ার জন্য পড়াশোনা করছিলেন। [৪]
সিমেলেনের আংশিক কাপড় পরা দেহটি কোয়াথেমাতে একটি খাঁড়িতে পাওয়া গেছে। তাকে অপহরণ করা হয়েছিল, গণধর্ষন করা হয়েছিল, মারধর করা হয়েছিল এবং মুখে, বুকে এবং পায়ে ২৫ বার ছুরিকাঘাত করা হয়েছিল। তিনি প্রথম মহিলাদের মধ্যে একজন যিনি কোয়াথেমাতে নারী সমকামী বা লেসবিয়ান হিসাবে প্রকাশ্যে বাস করেছিলেন।[১] দক্ষিণ আফ্রিকার মানবাধিকার কমিশন সমর্থিত আন্তর্জাতিক এনজিও অ্যাকশন এইডের একটি প্রতিবেদনে বলা হয় যে তার যৌন অভিমুখিতার কারণে তার হত্যা তার বিরুদ্ধে সংঘটিত ঘৃণামূলক অপরাধ।[১]
স্থানীয় সমকামী অধিকার সংস্থা দ্য ট্রায়াঙ্গেল প্রজেক্টের পড়েছে, যার মাধ্যমে পুরুষরা লেসবিয়ানদের তাদের যৌন অভিমুখিতা "নিরাময়" করার জন্য ধর্ষণ করে।[১]
২০০৯ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মপুমালাঙ্গার ডেলমাসে চার সন্দেহভাজন হামলাকারীর বিচার শুরু হয়।[৫] অভিযুক্ত চার হামলাকারীর মধ্যে একজন ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয় এবং তাকে ৩২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।[১] ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বরমাসে আরেকজনকে হত্যা, ধর্ষণ ও ডাকাতির দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হয় এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৩৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়, কিন্তু বাকি দুই আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।[৬]
২০০৯ সালে গাউটেং-এর স্প্রিংসের কোয়াথেমাতে তার সম্মানে একটি ক্ষুদ্র সেতু নির্মাণ করা হয়। [৭]