যেসব মৌল পর্যায় সারণীতে ইউরেনিয়ামের পরে অবস্থিত অর্থাৎ যাদের পারমাণবিক সংখ্যা ৯২ এর অধিক তাদেরকে ইউরেনিয়ামোত্তর মৌল বলা হয়।[১] সর্বশেষ ১০ নভেম্বর ২০১৬ তারিখে ১১৮ নং মৌলের নামকরণ সম্পন্ন করা হয়েছে। এতে করে ৭টি পর্যায় সম্পূর্ণতা লাভ করেছে।
এদের মধ্যে ১১টি মৌল অর্থাৎ নেপচুনিয়াম থেকে লরেনসিয়াম পর্যন্ত মৌলগুলো অ্যাক্টিনাইড সিরিজের অন্তর্ভুক্ত। অন্য মৌলগুলো যাদের পারমাণবিক সংখ্যা ১০৩ এর অধিক তাদেরকে ট্রান্সঅ্যাক্টিনাইড মৌল বলা হয়। সকল ইউরেনামোত্তর মৌলসমূহ অস্থিতিশীল এবং তেজস্ক্রিয়তার কারণে ক্ষয়শীল। এদের অর্ধায়ু লক্ষ লক্ষ বছর থেকে শুরু করে কয়েক সেকেন্ড পর্যন্ত হতে পারে।
এই মৌল সমূহের মধ্য কেবল দুটি প্রকৃতিতে পাওয়া যায়। এ দুটি হল নেপচুনিয়াম এবং প্লুটোনিয়াম। বাকিগুলো নিউক্লিয় বিক্রিয়ার মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। এই মৌলগুলো নিয়ে গবেষণার ফলে মৌলের অনেক গাঠনিক বৈশিষ্ট্য আবিষ্কার করা সম্ভব হয়েছে এবং পরবর্তী মৌল সম্বন্ধে ভবিষ্যদ্বাণী করা সম্ভব হয়েছে। এতে ধারণা করা হচ্ছে যে সর্বোচ্চ পারমাণবিক সংখ্যাবিশিষ্ট মৌলটির পারমিনবিক সংখ্যা ১৭০ থেকে ২১০ এর মধ্যে হবে।