শিল্প | ক্রীড়া সম্প্রচার |
---|---|
প্রতিষ্ঠাকাল | ৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৯ |
সদরদপ্তর | , |
বাণিজ্য অঞ্চল | ইউরোপ এবং এশিয়া (খানিক অংশ) |
মার্কাসমূহ | ইউরোস্পোর্ট ১,
ইউরোস্পোর্ট ২, ইউরোস্পোর্ট প্লেয়ার |
মালিক | ডিসকভারি, ইনক |
ওয়েবসাইট | corporate.eurosport.com |
ইউরোস্পোর্ট একটি ইউরোপীয় টেলিভিশন ক্রীড়া নেটওয়ার্ক। এটি ডিসকভারি ইনকর্পোরেশনের পরিচালনা ও মালিকানাধীন। ডিসকভারি ২০১২ সালের ডিসেম্বরে ২০ শতাংশ সংখ্যালঘিষ্ঠ শেয়ার কিনে নেয়।[১] ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে টিএফওয়ান এর সঙ্গে একত্রে এটি ইউরোস্পোর্টের ৫১% শেয়ার ক্রয় করে।[২] ২০১৫ সালের ২২ জুলাই ইউরোস্পোর্ট টিএফওয়ানের অবশিষ্ট ৪৯% শেয়ার কিনে নিতে সম্মত হয়। [৩]
ইউরোস্পোর্টের অনেকগুলো খেলার অধিকার বিদ্যমান, অলিম্পিক সহ। ২০১৫ সালে ইউরোস্পোর্ট ১.৩ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করে এর সম্প্রচারস্বত্ব কিনে নেয়। এর ফলে ২০১৮ সালে ইউরোপের অধিকাংশ এলাকা ও ২০২২ সালে যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সে অনুষ্ঠিত অলিম্পিক ম্যাচ সম্প্রচারের অধিকার লাভ করে। [৪] ইউরোপের বিভিন্ন দেশে এটি একই ফুটেজ সম্প্রচার করে। উপস্থাপকের পরিবর্তে পর্দায় দৃশ্যমান নয় এরূপ ধারাভাষ্যকার চ্যানেলটি ব্যবহার করে থাকে। এর ফলে একই ভিজুয়াল ফিড বা দৃশ্যমান চিত্র একাধিক ভাষায় সম্প্রচার করা সম্ভব হয়। এতে করে প্রযোজনা ব্যয়ও হ্রাস পায়।
ইউরোস্পোর্ট অল ইংল্যান্ড ক্লাবের সাথে কৃত চুক্তির আওতা সম্প্রসারণ করেছে। এর ফলে আরো ১৬টি দেশে সরাসরি উইম্বলডন ম্যাচ সম্প্রচার করা সম্ভব হবে। এই চুক্তির মেয়াদ তিন বছর। এর ফলে দর্শকরা ইউরোস্পোর্টের সাহায্যে চারটি গ্র্যান্ড স্লাম দেখতে সক্ষম হবেন। [৫]
৫৪টি দেশ ও ২০টি ভিন্ন ভিন্ন ভাষায় ইউরোস্পোর্ট সম্প্রচারিত হয়। ১৯৮৯ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি ইউরোপীয় স্যাটেলাইটে এটি প্রথম সম্প্রচারিত হয়। ১৯৯০ এর দশকে এটি দ্য কোয়ান্টাম চ্যানেলের সঙ্গে সময় ভাগাভাগি করে।
২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে ভারতে ডিসকভারি ডিএস স্পোর্টস নামে ক্রীড়া চ্যানেলের সম্প্রচার শুরু করে। ২০২০ সালে ইউরোস্পোর্ট নামে এটির পুনঃনামকরণ করা হয়। এসডি ও এইচডি সংস্করণেও চ্যানেলটি দেখা যায়।
ইউরোস্পোর্ট সৃষ্টির পূর্বেই ইউরোপীয় সম্প্রচার জোট (ইউরোপিয়ান ব্রডকাস্টিং ইউনিয়ন) বিভিন্ন খেলার সম্প্রচারস্বত্ব ক্রয় করতে শুরু করে। এতৎসত্ত্বেও এর সদস্যরা ক্রয়কৃত খেলাগুলোর সামান্য অংশই দর্শকদের দেখাতে সক্ষম হত। এ থেকেই ইউরোস্পোর্ট গঠনের সিদ্ধান্ত ক্রয় করা হয়। স্কাই টেলিভিশন পিএলসি বাণিজ্যিক অংশীদার হিসেবে বাছাই করা হয়। ১৯৮৯ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি স্কাই টেলিভিশন পিএলসি-কে বাণিজ্যিক অংশীদার হিসেবে নির্বাচন করা হয়। এটি ইউরোপীয় কেবল ব্যবস্থায় স্কাই চ্যানেলকে প্রতিস্থাপিত করার প্রত্যয় নিয়ে যাত্রা শুরু করে। অপরদিকে স্কাই চ্যানেল শুধু ইংল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ডে খেলা সম্প্রচারের দিকে অভিনিবেশ প্রদান করে।
|তারিখ=
(সাহায্য)
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য)
|তারিখ=
(সাহায্য)
|তারিখ=
(সাহায্য)