ইউলিউস ভাগনার-ইয়াউরেগ | |
---|---|
জন্ম | Julius Wagner ৭ মার্চ ১৮৫৭ |
মৃত্যু | ২৭ সেপ্টেম্বর ১৯৪০ | (বয়স ৮৩)
জাতীয়তা | Austrian |
অন্যান্য নাম | Julius Wagner |
মাতৃশিক্ষায়তন | University of Vienna |
পরিচিতির কারণ | Malariotherapy |
দাম্পত্য সঙ্গী | Balbine Frumkin (divorced 1903) Anna Koch (married 1899) |
সন্তান | Julia and Theodor |
পুরস্কার | Nobel Prize in Physiology or Medicine (1927) Cameron Prize for Therapeutics of the University of Edinburgh (1935) |
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন | |
কর্মক্ষেত্র | Pathology Psychiatry |
প্রতিষ্ঠানসমূহ | University of Vienna University of Graz State Lunatic Asylum at Steinhof |
অভিসন্দর্ভের শিরোনাম | L'origine et la fonction du coeur accélére (Origin and function of the accelerated heart) (1880) |
ডক্টরাল উপদেষ্টা | Salomon Stricker |
স্বাক্ষর | |
ইউলিউস ভাগনার-ইয়াউরেগ (জার্মান: Julius Wagner-Jauregg; আ-ধ্ব-ব:[ˈjuːli̯ʊs ˈvaːɡnɐ ˈjaʊʁɛk] ; ৭ই মার্চ, ১৮৫৭, ভেলস, অস্ট্রিয়া - ২৭শে সেপ্টেম্বর, ১৯৪০, ভিয়েনা, অস্ট্রিয়া) একজন অস্ট্রীয় মনোচিকিৎসক ও স্নায়ুরোগবিদ ছিলেন। তিনি কৃত্রিমভাবে ম্যালেরিয়া প্রবেশ করিয়ে উপদংশীয় ঝিল্লি-মস্তিকপ্রদাহ (সিফিলাইটিং মেনিঞ্জোসেফালাইটিস) নামক অনিরাময়যোগ্য রোগটির চিকিৎসা আংশিকভাবে চিকিৎসকের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন। তাঁর এই আবিষ্কারের জন্য তিনি ১৯২৭ সালে প্রথম মনোচিকিৎসক হিসেবে চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। "উন্মাদ ব্যক্তির সাধারণ পক্ষাঘাত রোগের চিকিৎসার জন্য ম্যালেরিয়ার জীবাণুরোপণের চিকিৎসাগত মূল্য আবিষ্কারের জন্য" তাঁকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়।[১] এছাড়া ভাগনার-ইয়াউরেগ বামন রোগ ও অন্যান্য থাইরয়েড গ্রন্থির বিকারজনিত রোগের বিশেষজ্ঞ হিসেবেও পরিচিত লাভ করেন।
ভিয়েনা বিশ্ববিদ্যালয়ে মনোচিকিৎসা বিভাগে কাজ করার সময় ভাগনার-ইয়াউরেখ লক্ষ করেন যে কিছু বিশেষ স্নায়ুরোগে রুগ্ন ব্যক্তিরা জ্বর-সৃষ্টিকারী সংক্রমণে সংক্রমিত হলে তাদের অবস্থার উন্নতি হয়। ১৮৮৭ সাল তিনি সুপারিশ করেন এই সংক্রামক রোগগুলি ইচ্ছাকৃতভাবে এক ধরনের চিকিৎসা হিসেবে উন্মাদ ব্যক্তিদের দেহে যেন সংক্রমিত করা হয়। তিনি বিশেষ করে ম্যালেরিয়া রোগ সংক্রমণ করার প্রস্তাব দেন, কেননা সেটিকে কুইনাইন নামক ঔষধ দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। এরপর অস্ট্রিয়ার গ্রাৎস বিশ্ববিদ্যালোয়ে ১৮৮৯ থেকে ১৮৯৩ সাল পর্যন্ত কাজ করার সময় তিনি মানসিক রোগীদের দেহে জ্বর আনানোর চেষ্টায় তাদের দেহে যক্ষ্মার জীবাণু টিউবারকল ব্যাসিলাসের নির্যাস টিউবারকুলিন প্রয়োগ করেন, কিন্তু তাঁর এই প্রচেষ্টাটি তেমন সফল ছিল না। এরপর তিনি আবার ভিয়েনা বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজ করা শুরু করেন ১৯১৭ সালে সেখানে স্নায়ু ও মানসিক রোগের জন্য কাজ করার সময় তিনি আংশিক পক্ষাঘাতগ্রস্ত মানসিক রোগীদের দেহে ম্যালেরিয়া রোগ সংক্রমণ করিয়ে নাটকীয় সাফল্য লাভ করেন। পরবর্তীতে ম্যালেরিয়া চিকিৎসার পরিবর্তে ব্যাকটেরিয়ারোধক (অ্যান্টিবায়োটিক) ঔষধ দিয়ে একই কাজ সম্পাদন করা হয়। ভাগনার-ইয়াউরেগের গবেষণাকর্মের সুবাদে বেশ কিছু মানসিক রোগের জন্য জ্বর-চিকিৎসা ও মানসিক আঘাত-চিকিৎসার বিকাশ ঘটে।