শায়খুল হাদীস শায়খুত তাফসীর মুহাম্মদ ইউসুফ বানুরী | |
---|---|
محمد یوسف بنوری | |
ব্যক্তিগত তথ্য | |
জন্ম | ৭ মে ১৯০৮ মুহাবাত আবাদ, মারডান,পাকিস্তান |
মৃত্যু | ১৭ অক্টোবর ১৯৭৭ রাওয়ালপিন্ডি সামরিক হাসপাতাল | (বয়স ৬৯)
ধর্ম | ইসলাম |
জাতীয়তা | ব্রিটিশ ভারত পাকিস্তানি |
আদি নিবাস | মারডান, পাকিস্তান |
আখ্যা | সুন্নি |
যেখানের শিক্ষার্থী | দারুল উলুম দেওবন্দ জামিয়া ইসলামিয়া তালিমুদ্দিন,দাভেল |
যে জন্য পরিচিত | মা’আরিফ আস সুন্নাহ শরহে সুনান আত-তিরমিজী[১] |
১ম আচার্য, জামিয়া উলুমুল ইসলামিয়া | |
কাজের মেয়াদ ১৯৫৪ – ১৯৭৭ | |
উত্তরসূরী | মুফতি আহমদুর রহমান |
৩য় সভাপতি, বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া পাকিস্তান | |
কাজের মেয়াদ ১৯৭৩ – ১৯৭৭ | |
পূর্বসূরী | খাইর আহমদ জালান্দারি |
উত্তরসূরী | মুফতি মাহমুদ |
২য় সহ-সভাপতি বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া পাকিস্তান | |
কাজের মেয়াদ ১৯৫৯ – ১৯৭৩ | |
পূর্বসূরী | খাইর আহমদ জালান্দারি |
উত্তরসূরী | মুহাম্মদ শফি |
এর প্রতিষ্ঠাতা | জামিয়া উলুমুল ইসলামিয়া |
মুসলিম নেতা | |
শিক্ষক | আনোয়ার শাহ কাশ্মিরি শাব্বির আহমেদ উসমানি |
মুহাম্মদ ইউসুফ বানুরী বা ইউসুফ বিন্নুরী (১৯০৮ – ১৯৭৭) একজন পাকিস্তানি ইসলামি পণ্ডিত, জামিয়া উলুমুল ইসলামিয়ার প্রতিষ্ঠাতা এবং বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া পাকিস্তানের সাবেক সভাপতি এবং সহ-সভাপতি। [২][৩][৪] তার নেতৃত্বে ১৯৭৪ সালে পাকিস্তানে খতমে নবুয়ত আন্দোলন সংগঠিত হয়।
ইউসুফ বানুরী তাঁর পিতা ও মামার কাছ থেকে প্রাথমিক শিক্ষা পেয়েছিলেন। অতঃপর তিনি উচ্চতর ইসলামিক শিক্ষার জন্য ভারতের দারুল উলূম দেওবন্দে যান। জামিয়াহ ইসলামিয়া তালিমুদ্দিন, দাভেল থেকে তিনি আনোয়ার শাহ কাশ্মীরি ও শাব্বির আহমেদ উসমানির অধীনে দাওরায়ে হাদীস(মাস্টার্স) সম্পন্ন করেন। জামিয়া ইসলামিয়া তালিমুদ্দীন দাভেলে “শায়খুল হাদীস” এবং দারুল উলুম টান্ডো, সিন্ধিতে “শায়খুত তাফসির” হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৫৪ সালে জামিয়া উলুমুল ইসলামিয়া প্রতিষ্ঠা করেন। [৫][৬]
১৯৭৭ সালের ১৩ ই অক্টোবর তিনি ইসলামাবাদে ইসলামী মুশওয়ারতী কাউন্সিলের সভায় যোগ দিয়েছিলেন। সেখানে তার স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে এবং সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, রাওয়ালপিন্ডিতে নিয়ে যাওয়া হয়। শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগের সময়, তিনি হাসপাতালে উপস্থিতদের "আসসালামু আলাইকুম" বলে কালেমা তায়্যিবা পাঠ করেন এবং নিজেকে কিবলার দিকে ফিরিয়ে দেন। তাঁর লাশ করাচি নিয়ে আসা হয়। ডাঃ আবদুল হাই আরিফি জানাজার ইমামতি করেন এবং হাজার হাজার উলামা, ভক্ত, অনুসারী এবং শিক্ষার্থীদের মাঝে জামেয়া উলুমুল ইসলামিয়াতে তাঁকে দাফন করা হয়। [৫]
করাচির একটি আবাসিক এবং বাণিজ্যিক শহর, যার মূল নাম "নিউ টাউন"। বানুরীর সম্মানে এটির নামকরণ করা হয় আল্লামা বানুরী টাউন ।