বাখারুদ্দিন ইউসুফ হাবিবি | |
---|---|
ইন্দোনেশিয়ার ৩য় রাষ্ট্রপতি | |
কাজের মেয়াদ ২১ মে, ১৯৯৮ – ২০ অক্টোবর, ১৯৯৯ | |
উপরাষ্ট্রপতি | নেই |
পূর্বসূরী | সুহার্তো |
উত্তরসূরী | আবদুর রহমান ওয়াহিদ |
ইন্দোনেশিয়ার ৭ম উপ-রাষ্ট্রপতি | |
কাজের মেয়াদ ১০ মার্চ, ১৯৯৮ – ২১ মে, ১৯৯৮ | |
রাষ্ট্রপতি | সুহার্তো |
পূর্বসূরী | ট্রাই সুতৃষ্ণ |
উত্তরসূরী | মেঘবতী সুকর্ণপুত্রী |
৪র্থ ইন্দোনেশিয়ার গবেষণা ও প্রযুক্তিবিষয়ক মন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ২৯ মার্চ, ১৯৭৮ – ১৬ মার্চ, ১৯৯৮ | |
পূর্বসূরী | সৌমিত্র জোজোহাদিকোসোমো |
উত্তরসূরী | রাহার্দি রামেলান |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | পারেপারে, দক্ষিণ সুলাওয়েসি, ডাচ ইস্ট ইন্ডিজ | ২৫ জুন ১৯৩৬
মৃত্যু | ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ জাকার্তা, ইন্দোনেশিয়া | (বয়স ৮৩)
রাজনৈতিক দল | গোলকার |
দাম্পত্য সঙ্গী | হাসরি আইনুন বেসারি, (বি. ১৯৬২-২০১০, মৃত্যু) |
সন্তান | ইলহাম আকবর হাবিবি (জ. ১৯৬৩) তারেক কামাল হাবিবি (জ. ১৯৬৭) |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | বান্দুং টেকনোলজি ইনস্টিটিউট (যান্ত্রিক প্রকৌশলী ১৯৫৪) আরডব্লিউটিএইচ (বি.ই. ১৯৫৫) আরডব্লিউটিএইচ (ইং. ১৯৬২) |
পেশা | প্রকৌশলী, রাজনীতিবিদ |
ধর্ম | সুন্নি |
স্বাক্ষর |
বাখারুদ্দিন ইউসুফ হাবিবি, এফআরইং ( ; ( ২৫ জুন, ১৯৩৬ – ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৯) দক্ষিণ সুলাওয়েসি প্রদেশের পারেপারে এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ইন্দোনেশিয়ার প্রকৌশলী ও বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ।[১] সাবেক রাষ্ট্রপতির সুহার্তোর পরিবর্তে ১৯৯৮ থেকে ১৯৯৯ মেয়াদে ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন। সুহার্তো যুগের অবসানের পর তার আমলে ইন্দোনেশিয়ার গণমাধ্যমে স্বাধীনতা আসে, রাজনৈতিক দলের জন্য আইন প্রণীত হয়। ১৯৯৯ সালে গণতান্ত্রিক পন্থায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ফলশ্রুতিতে তার রাষ্ট্রপতিত্ব শেষ হয়ে যায়। তার আমল দেশ স্বাধীনতার পর সর্বাপেক্ষা স্বলকালীন ছিল।
আলউই আব্দুল জলিল হাবিবি ও আর. এ. তুতি মারিনি পুষ্পয়ারদোজো দম্পতির সন্তান তিনি। ১৪ বছর বয়সে তার পিতার দেহাবসান ঘটে। বোগরে অধ্যয়নকালীন তার পরিবারের স্বাক্ষাৎ ঘটেছিল। বাবা কৃষিবিদ ও মা বিশিষ্ট জাভানীয় মহিলা ছিলেন।
নেদারল্যান্ডের ডেফট বিশ্ববিদ্যালয়ে বিমান ও বিমান পরিচালনবিদ্যায় অধ্যয়নকালীন নেদারল্যান্ড-ইন্দোনেশিয়ার মধ্যকার পশ্চিম নিউ গিনির বিষয়ে মতবিরোধের প্রেক্ষিতে পড়াশোনায় ব্যাঘাত ঘটে। এরপর তিনি জার্মানির আচেনে পড়াশোনা করেন।[২] ১৯৬০ সালে প্রকৌশল বিষয়ে ‘ডিপ্লম-ইঞ্জেনিয়ার’ ডিগ্রী লাভ করেন। এরপর হান্স এবনারের অধীনে গবেষণা সহকারী হিসেবে ডক্টরাল ডিগ্রী পান।[৩] ১৯৬২ সালে অসুস্থতার কারণে দেশে ফিরে আসেন। ১৯৯০ সালে রয়্যাল একাডেমি অব ইঞ্জিনিয়ারিং কর্তৃক ফেলো মনোনীত হন।[১]
এতে গবেষণা ও প্রযুক্তিমন্ত্রী হাবিবি’র স্বাক্ষাৎকার নেয়া হয় যাতে তিনি রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব না নেয়ার কথা বলেন। সুহার্তোর আমলে জ্যেষ্ঠ সরকারি নির্বাহী হিসেবে গোলকার সংস্থার সদস্য হন। ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৯ পর্যন্ত প্রতিদিন তিনি নির্বাহী সভার সভাপতির দায়িত্ব পালন করতেন। ১৯৯৪ সালে এবিসি নিউজের এক প্রতিবেদনে সুহার্তো ১৯৯৮ সালে তাঁর অবসরের কথা ঘোষণা করেন।
জানুয়ারি, ১৯৯৮ সালে সপ্তম মেয়াদে রাষ্ট্রপতিপ্রার্থী হিসেবে উপ-রাষ্ট্রপতির মনোনয়নে শর্তাবলীর কথা ঘোষণা করেন। হাবিবি’র নাম উল্লেখ না করলেও বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিকে এ পদের উপযুক্ত মনে করতেন।[৪] ঐ বছর এশিয়ায় অর্থনৈতিক সঙ্কট দেখা দিলে রুপিয়ার পতন ঘটে। এছাড়াও, সাবেক মন্ত্রী এমিল সালিমের উপ-রাষ্ট্রপতি পদে আগ্রহ স্বত্ত্বেও মার্চ, ১৯৯৮ সালে তিনি উপ-রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পান।
আপদকালীন সময়ে দায়িত্ব পাবার পর হাবিবিকে পূর্ণাঙ্গ সময়ের জন্য রাষ্ট্রপতির আসনে থাকতে জুন, ১৯৯৮ সালে সংসদীয় নির্বাচন ঘোষণা করেন।[৫] ক্ষমতাসীন গোলকার দলের কাছ থেকেই তিনি বিরোধিতা পাচ্ছিলেন। মার্চ, ১৯৯৯ সালে গোলকার থেকে পাঁচজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র পায়।[৬] মে, ১৯৯৯ সালে তানজুংয়ের দিকেই ঝুঁকে পড়ে।
সামরিক সহযোগিতা নিয়ে জেনারেল উইরান্তোকে উপ-রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব দেয়ার আগ্রহ দেখালেও উইরান্তো তা প্রত্যাখ্যান করেন।[৭] ৩৫৫-৩২২ ভোটে তাঁর সমর্থন ব্যক্ত করার ভাষণ প্রত্যাখ্যাত হয়। ফলে হাবিবি তাঁর প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেন। এরপর থেকে ইন্দোনেশিয়ার পরিবর্তে জার্মানিতেই তিনি অধিক সময় ব্যয় করছেন। সুসিলো বামবাং ইয়ুধনো’র আমলে তিনি কিছুটা সক্রিয় ছিলেন।
জার্মানিতে অধ্যয়নকালীন সময়ে দেশে ফিরে আসার অল্প কিছুদিন পর ১২ মে, ১৯৬২ তারিখে আর. মোহাম্মদ বশরী’র কন্যা ও ডাক্তার হাসরি আইনুনের সাথে বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপন করেন।[৮] শৈশবকাল থেকেই একে-অপরকে চিনতেন। এ দম্পতি অবাফস্টবাখে অবস্থানের পূর্বে স্বল্পকালের জন্য আচেনে বসবাস করেন। মে, ১৯৬৩ সলে এ দম্পতির ইলহাম আকবর হাবিবি নামে এক সন্তান জন্মগ্রহণ করে। এরপর তারেক কামাল হাবিবি নামে আরও সন্তান জন্ম নেয়। হাসরি ২২ মে, ২০১০ তারিখে মৃত্যুবরণ করেন। স্ত্রীর মৃত্যুর পর ‘হাবিবি এন্ড আইনুন’ শিরোনামে গ্রন্থ প্রকাশ করেন। একই নামে ২০ ডিসেম্বর, ২০১২ তারিখে একটি চলচ্চিত্র মুক্তিলাভ করে।[৯]
তিনি ২০১৯ সালের ১১ সেপ্টেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।[১০][১১][১২][১৩][১৪]
Habibie, Bacharuddin Jusuf (December 2010). Habibie & Ainun (Cet. 2. ed.). Jakarta: THC Mandiri. আইএসবিএন ৯৭৮-৯৭৯-১২৫৫-১৩-৪.
রাজনৈতিক দপ্তর | ||
---|---|---|
পূর্বসূরী সুহার্তো |
ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতি ১৯৯৮-১৯৯৯ |
উত্তরসূরী আবদুর রহমান ওয়াহিদ |
পূর্বসূরী ট্রাই সুতৃষ্ণ |
ইন্দোনেশিয়ার উপ-রাষ্ট্রপতি ১৯৯৮ |
শূন্য Title next held by মেঘবতী সুকর্ণপুত্রী
|
পূর্বসূরী সৌমিত্র জোজোহাদিকোসোমো |
ইন্দোনেশিয়ার গবেষণা ও প্রযুক্তিবিষয়ক মন্ত্রী ১৯৭৮-১৯৯৮ |
উত্তরসূরী রাহার্দি রামেলান |
সরকারি দফতর | ||
নতুন পদবী | অ্যাসেসমেন্ট এন্ড এপ্লিকেশন অব টেকনোলজি এজেন্সি প্রধান ১৯৭৪-১৯৯৮ |
উত্তরসূরী রাহার্দি রামেলান |