ইখওয়ান ( الإخوان , "ভ্রাতৃত্ব") (আখওয়ান বলেও পরিচিত)[১] ছিল একটি ওয়াহাবি মিলিশিয়া দল। এরা মূলত যাযাবর গোত্রীয় লোকদের নিয়ে গঠিত হয়। তারা ইবনে সৌদের পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ সামরিক শক্তি হিসেবে কাজ করে এবং আধুনিক সৌদি আরব প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা পালন করে।[২]
সর্বপ্রথম ১৯১৩ সালে ইখওয়ানরা আবির্ভূত হয়। বেদুইন গোষ্ঠীগুলোকে ভেঙে তাদের বিভিন্ন কূপ ও মরূদ্যানের আশেপাশে বসতি করার পরিকল্পনাকারী ওয়াহাবি ধর্মতাত্ত্বিকরা তাদের উদ্ভব ঘটান। তাদের দাবি ছিল যে যাযাবর জীবন ইসলাম অনুযায়ী জীবন যাপনের উপযুক্ত নয়। এসকল বেদুইন লোকেরা তাদের যাযাবর জীবন থেকে যোদ্ধা হিসেবে নিয়োগ পেত। ইখওয়ানের ধর্মীয় প্রধানরা ইসলামের বিশুদ্ধতা ও ঐক্যের প্রতি নিবেদিত ছিলেন। ইখওয়ানে যোগ দেয়া কিছু নতুন সদস্য তাদের আমির ইবনে সৌদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে ও তার বিরুদ্ধে ধর্মীয় শৈথিল্যের অভিযোগ করে। ১৯২৪ সালে হেজাজ জয়ের পর বর্তমান সৌদি আরবের সকল অঞ্চল ইবনে সৌদের হস্তগত হয়। এসময় তিনি নিজেকে ইখওয়ানের প্রতিপক্ষ অবস্থায় দেখতে পান। ১৯৩০ সালে সাবিলার যুদ্ধে তাদের ক্ষমতা নিঃশেষ করে দেয়া হয়।[৩] এরপর মিলিশিয়া বাহিনীকে সৌদি আরবিয়ান ন্যাশনাল গার্ড হিসেবে পুনর্গঠন করা হয়।[৪]
ডেভিড কুমিনসের মতে ১৯১৩ সালের দিকে ইবনে সৌদ আল হাসা পুনর্দখল করার পর ইখওয়ান (অর্থ ভ্রাতৃত্ব) নামক আন্দোলন শুরু হয়। ওয়াহাবি উলামারা বিভিন্ন গোত্রের লোকদের কাছে তাদের সৌদি সম্প্রসারণের জন্য সৈনিক হিসেবে যোগ দিতে বলেন। ইবনে সৌদের প্রতি আনুগত্যের চেয়ে ধর্মীয় উদ্দিপনা তাদের মধ্যে বেশি ছিল… এর ফলাফল স্বরূপ কিছু ইখওয়ান সদস্য তাদের প্রণেতার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে। তিনি তা দমন করেন এবং এর মাধ্যমে ধর্মীয় মিশনের উপর রাজবংশের ক্ষমতা পুনপ্রতিষ্ঠিত করেন।
নজদ অঞ্চল আল সৌদ কর্তৃক শাসিত হত। ওয়াহাবি আন্দোলন নামক ইসলামি পুনর্জাগরণবাদি আন্দোলন দ্বারা তারা এ অঞ্চল প্রভাবিত হয়। তবে ১৮ শতকের মধ্যভাগে এতে বিরতি পড়ে। ওয়াহাবি আন্দোলন মূলত ছিল শহরকেন্দ্রিক। এতে বেদুইন যাযাবর জীবনকে ধর্মীয় ক্ষেত্রে অসামঞ্জস্যপূর্ণ মনে করা হত।[৫] এ কারণে বেদুইনরা কৃষি বসতিতে স্থানান্তরিত হয়। এখানে তারা খামার, হস্তশিল্প ও বাণিজের উপর জ্ঞান লাভ করে।[৬][৭] ১৯২০ থেকে ১৯২৯ সালের মধ্যে এমন ৫২টি বসতি স্থানান্তরের ঘটনা ঘটে। আরব ঐতিহ্যবাহী কুফিয়ার পরিবর্তে ইখওয়ানরা সাদা পাগড়ি পরার জন্য পরিচিত ছিল। ইউরোপীয় বা সৌদি আরবের বাইরের আরবদের উপর আক্রমণ করার সময় তারা চেহারা ঢেকে রাখত।[৮]
গোত্রসমূহের মধ্যে শান্তিস্থাপন সম্পূর্ণরূপে সফল হয়নি। প্রাক্তন যাযাবররা তাদের আক্রমণ বজায় রেখেছিল। এসময় তা ধর্মীয় ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হতে থাকে এবং তার মাত্রা বৃদ্ধি পায়। ১৯১৪ থেকে ১৯২৬ সালের মধ্যে ইবনে সৌদ ও তার মিত্র ওয়াহাবি ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ ইখওয়ানের প্রতি আহ্বান জানান যাতে তারা অন্যান্য যাযাবর ও নজদের শহরের লোকদের উপর হামলা না করে।[৯] ১৯২৬ থেকে ১৯৩০ সালের মধ্যে সংঘর্ষ আরো মারাত্মক রূপ ধারণ করে। এসময় বিদ্রোহ ও ইবনে সৌদকে ক্ষমতাচ্যুত করার প্রচেষ্টা চালানো হয়। [৯] ১৯২৫ সালে হেজাজ জয়ের পর ইবনে সৌদ তার আঞ্চলিক সম্প্রাসরণ সম্পূর্ণ করেন এবং প্রতিবেশী ব্রিটিশ প্রটেক্টরেট ট্রান্সজর্ডান, ইরাক ও কুয়েতের সাথে সীমান্ত চুক্তি নিয়ে আলোচনা হয়। কিছু ইখওয়ান নেতা এসকল অঞ্চলে অভিযান চালাতে ইচ্ছুক ছিলেন। তারা সেখানে আক্রমণ করেন। এ ঘটনার ফলে ইবনে সৌদকে এর জন্য দায়ী করা হয় এবং তা না থামলে ব্রিটিশ সামরিক শক্তির মুখোমুখি হওয়ার অবস্থা সৃষ্টি হয়।[৯]
সাধারণভাবে ইখওয়ানরা চাইত যাতে ইবনে সৌদ কঠোর ওয়াহাবি মূলনীতি প্রয়োগ করেন। অন্যদিকে ইবনে সৌদ বিশেষ করে নতুন বিজিত অঞ্চলে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে চাইছিলেন। আল হাসায় শিয়াদের জোর করে তাদের মতাদর্শ ত্যাগকে ওয়াহাবিরা সমর্থন করে। তবে ইবনে সৌদ তাদের বিশ্বাস মেনে নেয়ার পক্ষপাতি ছিলেন।[১০] মক্কা ও মদিনা জয় করার পর হজ্জযাত্রীদের উপর কোনো হয়রানি যাতে করা না হয় সে বিষয়ে তিনি সচেষ্ট ছিলেন।[১১] অন্যদিকে ইখওয়ানরা কঠোর ওয়াহাবি চর্চা চালুর পক্ষপাতি ছিল যেমন ধূমপান ও মাজারে গমনে নিষেধাজ্ঞা ইত্যাদি।[১২]
১৯২৬ সালে ইখওয়ান নেতাদের আল আরতাউয়িয়ায় সাক্ষাতের পর তারা ইবনে সৌদকে ধর্মীয় বিশ্বাস ও অবিশ্বাসের মধ্যে পার্থক্য ধরে না রাখার জন্য দায়ী করে। ইবনে সৌদ তার পুত্র ফয়সাল ইবনে আবদুল আজিজ ও সৌদ ইবনে আবদুল আজিজ কে যথাক্রমে ইংল্যান্ড ও মিশর পাঠানোয় “বিধর্মী দেশে” পাঠানোর অভিযোগ তার বিরুদ্ধে করা হয়। এছাড়া শিয়াদের প্রতি সহিষ্ণুতা, আধুনিক আবিষ্কার যেমন গাড়ি, টেলিফোন, টেলিগ্রাফ প্রচলন, ও যাযাবর গোষ্ঠীগুলোর উপর করারোপ নিয়ে তাদের মধ্যে অসন্তোষ ছিল। আবদুল আজিজ ইবনে সৌদ উলামাদের কাছে তাদের অভিযোগ উত্থাপন করে ইখওয়ানকে শান্ত করার চেষ্টা করেন। তারা ওয়াহাবি বহির্ভূত জনগোষ্ঠীর উপর আরো কঠোর নীতি প্রয়োগের ব্যাপারে একমত হয় তবে তাদের মত ছিল একমাত্র শাসকই জিহাদ ঘোষণা করতে পারেন এবং তা অন্যদের এখতিয়ার বহির্ভূত।
ইখওয়ান মূলত অনিয়মিত গোত্রীয় বাহিনী ছিল। তারা প্রথাগত যুদ্ধাস্ত্র যেমন বর্শা ও তলোয়ার এবং কখনো পুরনো ধাচের আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করত। তারা বেদুইন প্রথানুযায়ী ঝটিকা আক্রমণ চালাত। যোদ্ধাদের বাহন ছিল মূলত উট ও কিছু ক্ষেত্রে ঘোড়া।
১৯২২ ও ১৯২৪ সালে তৎকালীন ব্রিটিশ প্রটেক্টরেট ট্রান্সজর্ডান আমিরাতের উপর দুইটি উল্লেখযোগ্য হামলার ঘটনা ঘটে। ১৯২২ সালের আগস্টে ১,৫০০ জনের মত উষ্ট্রারোহী ইখওয়ান যোদ্ধা আকাব বিন মুহায়ার নেতৃত্বে ট্রান্সজর্ডান আক্রমণ করে। একটি বর্ণনা অনুযায়ী তাদের মূল লক্ষ্য রাজধানী আম্মান পৌছার আগেই তারা পিছু হটে। অন্য বর্ণনা অনুযায়ী ব্রিটিশ সাজোয়া যান ও বিমান কর্তৃক ধ্বংস হওয়ার আগে তারা দুইটি ছোট গ্রামের অধিবাসীদের হত্যা করে।
১৯২৪ সালের আগস্টে প্রায় ৪,৫০০ সদস্য নিয়ে গঠিত আরেকটি বড় আকারের ইখওয়ান সেনাদল নজদ থেকে ১,৬০০ কিমি দূরত্ব পার হয়ে আম্মানের ১৫ কিমি এর মধ্যে চলে আসে। এরপর তারা চিহ্নিত হয়ে পড়ে এবং ব্রিটিশ বিমানবাহিনী তাদের উপর আক্রমণ চালায়। ইখওয়ানদের পক্ষে ৫০০ জনের মত নিহত হয়। এসময় ব্রিটিশ বিমানবাহিনীর সাহায্য না আসলে আম্মান তাদের হস্তগত হত।
১৯২৭ সালে মুতায়র ও আজমান গোত্রের লোকেরা উলামাদের সিদ্ধান্ত ও ইবনে সৌদের কর্তৃত্বের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে এবং পার্শ্ববর্তী ট্রান্সজর্ডান, ইরাক ও কুয়েতে আক্রমণ চালায়। একটি ইরাকি পুলিশ চৌকি ধ্বংস হলে তা সৌদি-ইরাকি নিরপেক্ষ অঞ্চলের প্রত্যাখ্যানরূপে প্রতীয়মান হয় এবং আন্তর্জাতিক বিষয়ে পরিণত হয়। এই অঞ্চল ব্রিটিশ ও ইবনে সৌদের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ব্রিটিশরা পাল্টা আক্রমণ হিসেবে নজদে বোমাবর্ষণ করে। ১৯২৮ সালে ইবনে সৌদ একটি সভা আহ্বান করে তাতে বিদ্রোহের নেতা ইবনে হুমায়দ আদ দাউয়িশ ও ইবনে হিসলায়নকে পদচ্যুত করা হয়। ১৯২৮ সালের জানুয়ারিতে ইখওয়ান কুয়েতে আক্রমণ করে।
ইখওয়ান নেতৃত্বের সাথে দ্বন্দ্ব্বের অবস্থায় আবদুল আজিজ ইবনে সৌদ তার সেনাবাহিনীর নেতৃত্ব নিজ হাতে নেন। এসময় চারটি ব্রিটিশ যুদ্ধবিমান ও ২০০ সামরিক যানের একটি বহর তাদের সহায়তা দেয়। এসকল ঘটনা আধুনিকীকরণের চিহ্ন তুলে ধরে। ইখওয়ানরা এধরনের কাজের বিরোধী ছিল। সাবিলার যুদ্ধে পরাজয়ের পর ইখওয়ানদের মূল অংশ সৌদি-কুয়েতি সীমান্তে ব্রিটিশ বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে।
তাদের পরাজয়ের পর ইবনে সৌদ শাস্তি ও পুনর্বাসনের মাধ্যমে পরিস্থিতি পরিবর্তনের চেষ্টা চালান যাতে ইখওয়ানদের পক্ষের কিন্তু বিদ্রোহে যোগ না দেয়া লোকেরা উস্কানি না পায়। বিদ্রোহী নেতা দুউয়িশ ও ইবনে বুজাদ রিয়াদে বন্দী অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। তাদের অণুসারীদেরকে উট ও ঘোড়ার অংশ থেকে সিংহভাগ কেড়ে নেয়ার মাধ্যমে শাস্তি দেয়া হয়। বাকি ইখওয়ান সদস্যদের নিয়ে নতুন সৌদি সামরিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়। এরা পরবর্তীতে সৌদি আরবিয়ান ন্যাশনাল গার্ড নামে পরিচিতি পায়।
The significance of Ikhwan military power for the success of Ibn Saud's conquests is another disputed point.
Rank and file Ikhwan fighters formed units in a new military institution, initially the White Army, eventually the National Guard ...
Wahhabi ulama had always viewed the nomads as bearers of religious ignorance, jahiliyya and thus as raw material for conversion to Islam. In this respect, the notion that Wahhabism developed from and somehow reflected a tribal nomadic setting is utterly wrong.
From 1914 to 1926, Ibn Saud and Wahhabi leadership exhorted the Ikhwan to moderate their attitude toward other Najdis living under Saudi rule. Second, between 1926 and 1930, a handful of Ikhwan leaders rebelled against and attempted to overthrow Ibn Saud.
... The Ikwan insisted that in domestic affairs their religious views should prevail, including the forced conversion of al-Hasa's Shiites. To implement that decision, Shiite religious leaders gathered before the Wahhabi qadi and vowed to cease observance of their religious holidays, to shut down their special places of worship and to stop pilgrimages to holy sites in Iraq. .... Wahhabi ulama ordered the demolition of several Shiite mosques and took over teaching and preaching duties at the remaining mosques in order to convert the population. .... some Shiites emigrated to Bahrain and Iraq. ... The intensive phase of Wahhabi coercion lasted about one year. When ibn Saud decided to curb the Ikhwan, he permitted the Shiites to drive away Wahhabi preachers. Thereafter, the Saudi ruler tolerated private Shiite religious ceremonies and permitted the Shiite religious establishment to serve their following without interference.line feed character in
|উক্তি=
at position 378 (সাহায্য)
With respect to religious policy, Ibn Saud aimed to absorb the Holy Cities in a way that reassured the Muslim world that a new Wahhabi regime would not disrupt the pilgrimage ... At the same time, he had to satisfy his Wahhabi constituency that idolatry would be stamped out. The region had been part of the Ottoman Empire for four centuries and consequently its religious culture was pluralistic, with the four Sunni legal schools, various Sufi orders and a tiny Shiite community around Medina. Therefore, Ibn Saud had to strike a balance between accommodating customary arrangements and upholding Wahhabi doctrine.
The Ikhwan pressed for strict adherence to Wahhabi norms, but Ibn Saud was willing to take a more relaxed approach to matters like smoking tobacco and worship at shrines.