ইঙ্গ-জাঞ্জিবার যুদ্ধ | |||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
মূল যুদ্ধ: আফ্রিকা দখলের লড়াই | |||||||||
বোমা বর্ষণের পর বিধ্বস্ত রাজপ্রাসাদ | |||||||||
| |||||||||
বিবাদমান পক্ষ | |||||||||
ব্রিটিশ সাম্রাজ্য | জাঞ্জিবার সালতানাত | ||||||||
সেনাধিপতি ও নেতৃত্ব প্রদানকারী | |||||||||
হ্যারি রউসন লয়েড ম্যাথিউস |
খালিদ বিন বারঘাশ সালেহ্ | ||||||||
শক্তি | |||||||||
স্থলপথ: ১,০৫০ সমুদ্র: ৩টি ক্রুজিয়ার ২টি গানবোট |
স্থলপথ: ২,৮০০ ৪টি আর্টিলারি ১টি শ্যুর ব্যাটারি সমুদ্র: ১টি রাজকীয় তরী ২টি নৌকা | ||||||||
হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতি | |||||||||
একজন আহত[১] |
৫০০ আহত অথবা নিহত[২] একটি রাজকীয় প্রমদতরী ডুবে যায় দুটি নৌকা ডুবে যায় একটি শ্যুার ব্যাটারি ডুবে যায় |
ইঙ্গ-জাঞ্জিবার যুদ্ধ বা অ্যাংলো-জাঞ্জিবার যুদ্ধ সংগঠিত হয়েছিল যুক্তরাজ্য ও জাঞ্জিবার সালতানাতে মধ্যে ২৭ আগস্ট, ১৮৯৬ সালে। যুদ্ধটি মাত্র ৩৮ মিনিট (কেউ কেউ ৪০ মিনিট অথবা ৪৫ মিনিটও বলে থাকেন) স্থায়ী হয়েছিল[৩] এবং এই যুদ্ধকে ইতিহাসের সবচেয়ে কম সময়ের যুদ্ধ বলে আক্ষায়িত করা হয়।[৪][৫] জাঞ্জিবার সালতানাতের সুলতান হামিদ বিন তোয়াইনি ২৫ আগস্ট, ১৮৯৬ সালে মৃত্যুবরণ করলে সিংহাসনে বসেন খালিদ বিন বারঘাশ। কিন্তু ব্রিটিশরা সুলতান হিসেবে হামাদ বিন-মুহাম্মদকে বসাতে চেয়েছিল। ১৮৮৬ সালের এক চুক্তির আওতায় আশ্রিত রাজ্যের সুলতান হিসাবে হিংহাসনে বসতে হলে ব্রিটিশ কাউন্সিলের অনুমতি নিতে হত। ১৮৯০ সালের ১৪ জুন জাঞ্জিবারের উপর একটি ব্রিটিশ প্রটেক্টরেট প্রবর্তনের চুক্তিতে সালতানাতে অন্তর্ভুক্তির জন্য একজন প্রার্থীর ব্রিটিশ কনসাল-এর অনুমতি নেওয়া উচিত, এবং খালিদ এই প্রয়োজনীয়তা পূরণ করেননি।[৬] কিন্তু বারঘাস ব্রিটিশদের এই চুক্তি অমান্য করায় ব্রিটিশরা তাকে ও তার সৈনিকদের রাজপ্রাসাদ ত্যাগ করার সময় বেঁধে দিয়েছিল। কিন্তু খালিদ ব্রিটিশদের কথা না শুনে প্রাসাদের চারপাশে সৈন্য সংখ্যা বৃদ্ধি করে তিনি প্রাসাদেই অবস্থান করেন। এখান থেকেই যুদ্ধের সূত্রপাত হয়।
ব্রিটিশদের বেধে দেওয়া সময়সীমা শেষ হয় পূর্ব আফ্রিকা সময় (ইএটি) অনুসারে ২৭ আগস্ট ৯.০০ টায়। অপরদিকে ব্রিটিশরা হার্বার এলাকায় তিনটি ক্রুজিয়ার, দুটি গানবোট, ১৫০ জন মেরিন সেনা ও নাবিক, এবং ৯০০ জন জাঞ্জিবার বাসীকে একত্র করে যুদ্ধের প্রস্তুতি নেয়। যেখানে ব্রিটিশ বাহিনীর নেতৃত্বে ছিলেন রিয়ার অ্যাডমিরাল হ্যারি রাউসন এবং জাঞ্জিবার সেনাবাহিনী থেকে জাঞ্জিবারদের নেতৃত্বে ছিলেন বিগ্রেডিয়ার-জেনারেল লয়েড ম্যাথিউস (যিনি জাঞ্জিবারের প্রথম মন্ত্রী ছিলেন)।
অপরদিকে সুলতানের পক্ষে ২,৮০০ জাঞ্জিবার যুদ্ধা (যারা অধিকাংশই ছিলেন সাধারণ জনগণ) প্রাসাদ রক্ষায় যোগ দিয়েছিল। এদের নেতৃত্বে ছিল সুলতান খালেদের বাহিনীর বিভিন্ন সদস্যরা। এছাড়াও সুলতানের কয়েকশ দাস, দাসীও যুদ্ধে অংশ নিয়েছিল। সুলতান বাহিনী কিছু আর্টিলারি কামান ও কিছু ম্যাশিনগান নিয়ে প্রাসাদের সামনে অবস্থান নিয়েছিল। ব্রিটিশ বাহিনী ৯.০২ মিনিটে প্রাসাদ লক্ষ্য করে গোলাবর্ষণ শুরু করে ও কিছুক্ষনের মধ্যেই প্রাসাদে আগুন ধরে যায়। এদিকে ব্রিটিশদের আর একটি ছোট দল সুলতান বাহিনীর একটি ইয়ট ও দুটি যুদ্ধের ছোট নৌকা ডুবিয়ে দেয়। ব্রিটিশ বাহিনী যখন প্রাসাদের দিকে এগোচ্ছিল তখন সুলতান বাহিনী বিচ্ছিন্ন ভাবে তাদের উপর গুলিবর্ষণ করলেও শেষ পর্যন্ত তারা ব্রিটিশ বাহিনীর কাছে টিকতে পারেনি। ৯.৪০ মিনিটে ব্রিটিশরা প্রাসাদে ঢুকে পতাকা নামিয়ে আগুনে পুড়িয়ে দেয়।
যুদ্ধে সুলতান খালিদের ৫০০ লোক আহত (অথবা, নিহত) হয় অপরদিকে ব্রিটিশদের মাত্র একজন নাবিক আহত হয়। ব্রিটিশরা যুদ্ধের প্রায় পরপরই সুলতান হামাদকে ক্ষমতায় বসায়। এরপর থেকে জাঞ্জিবার এক নতুন যুগে প্রবেশ করে যেখানে ব্রিটিশদের প্রভাব সবচেয়ে বেশি ছিল।
জাঞ্জিবার হলো ভারত মহাসাগরের একটি দ্বীপ দেশ, যা টাঙ্গানিয়ায় অবস্থিত (বর্তমানে যা তানজানিয়ার অংশ)। ১৪৯৯ সাল থেকে প্রধান দ্বীপ উনগুজা বা জাঞ্জিবার পর্তুগীজদের অধীনে ছিলো।[১] ১৬৯৮ সালে ওমানের সুলতান পর্তুগীজদের উচ্ছেদ করে এই দ্বীপে তার শাসন প্রতিষ্ঠা করেন। ১৮৫৮ সালে সুলতান মাজিদ বিন-সাঈদ এই দ্বীপকে ওমানের থেকে স্বাধীন বলে ঘোষণা করে ও তখন ব্রিটিশরা তাকে স্বীকিৃতি দিয়েছিল।[১] মাজিদের পরের সুলতানরা ধীরে ধীরে জাঞ্জিবারকে তাদের রাজধানী শহরে পরিনত করে এবং সমুদ্রের কাছে একটি রাজপ্রাসাদ নির্মাণ করে। ১৮৯৬ সালের দিকে এই প্রাসাদটিতে আরো ভবন যুক্ত করা হয় যেগুলোকে বেইত আল হাকেম, বেইত আল আজাইব বা হাউস অফ ওন্ডারস নামে ডাকা হতো এবং এই প্রাসাদটি ছিল তখন পূর্ব আফ্রিকার সর্বপ্রথম বিদ্যুৎ ব্যবহৃত ভবন।[৭] ভবনটি স্থানীয় কাঠ দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছিল ও আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য এই ভবনে কোন প্রতিরক্ষার ব্যবস্থা রাখা হয়নি।[৮] প্রধান তিনটি ভবনই একে অপরের সাথে একই সাড়িতে তৈরি করা হয়েছিল ও ভবন গুলোর মাঝে সংযোগের জন্য কাঠের সেতু ব্যবহার করা হয়েছিল।[৯]
দীর্ঘ সময় জাঞ্জিবারের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রাখার পর ১৮৮৬ সালের দিকে ব্রিটিশরা ধীরে ধীরে জাঞ্জিবার ও এর সুলতানের উপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা শুরু করে।[১][১][১০][১১] ঊনবিংশ শতকের দিকে জার্মানিরা পূর্ব আফ্রিকা সম্পর্কে আগ্রহী হয়ে উঠে ফলে দুই পরাশক্তির মাঝে ব্যবসা-বাণিজ্যের নিয়ন্ত্রণ ও বসতি স্থাপন নিয়ে প্রতিযোগিতা শুরু হয়।[১২] সুলতান খলিফা সাঈদ কেনিয়ার অংশে ব্রিটিশদের ও ট্যাংগানিকার অংশে জার্মানিদের ব্যবসা করার অধিকার দেয়। সেই সাথে এই সব অঞ্চলে দাসপ্রথা বাণিজ্যের চরম প্রসার লাভ করে।[১] আরব অনেক শাসকরা এই ভাগের ফলে অসন্তুষ্ট হয়েছিল যার ফলে ওই এলাকায় পরবর্তীকালে বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছিল।[১] জার্মান কর্তৃপক্ষ তাদের অংশে জাঞ্জিবার পতাকা উড়াতে অপারগতা প্রকাশ করে এর ফলে জার্মান বাহিনী ও স্থানীয় জনগণের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।[১৩] এরকম এ সংঘর্ষে টাংগাং ২০ জন আরব মারা যায়।[১৩]
সুলতান খলিফা, বিগ্রেডিয়ার জেনারেল লয়েড ম্যাথিউসের নেতৃত্বে একদল সৈন্যকে টাংগানিকায় সুলতানের শাসন পুনরায় প্রতিষ্ঠা করতে পাঠান।[১৪] এই অপারেশন ব্যাপকভাবে সাফল্য পেয়েছিল কেননা স্থানীয় লোকজনের মাঝে ব্যাপক জার্মান বিরোধী মনোভাব দেখা গিয়েছিল।[১৩] আরো জানা যায় বাগামুই নামক ন্থানে জার্মান সেনারা ১৫০ জন স্থানীয়কে হত্যা করেছিল এবং ক্যাতুয়া নামক স্থানে জার্মান কিছু অফিসার ও তাদের দাস-দাসীদের মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।[১৪] খলিফা এরপর ব্রিটিশ ইস্ট আফ্রিকা কম্পানিকে একচেটিয়াভাবে ব্যবসার অধিকার দেয়। এসময় দাস ব্যবসা ছড়িয়ে পরে।[১৪] ১৮৯০ সালে খলিফা মৃত্যুবরণ করলে আলী বিন-সাঈদ সুলতান হন[১৫] এবং তিনি দাস বাণিজ্য বন্ধ করে দেন (বাণিজ্য কিন্তু মালিকানা নয়)। এছাড়া তিনি জাঞ্জিবারকে ব্রিটিশদের উপনিবেশ ঘোষণা করে এবং লয়েড ম্যাথিউসকে তার মন্ত্রী পরিষদের প্রথম মন্ত্রী হিসেবে মন্ত্রী পরিষদ পরিচালনার জন্য নিয়োগ দেন। ব্রিটিশরাও ভবিষ্যৎ সুলতান নির্ধারণের জন্য ভেটো দেওয়ার অঙ্গীকার করে।[১৬]
সুলতান আলীর পর ১৮৯৩ সালে সুলতান হন হামাদ বিন-তাওয়াইনি। তিনি সুলতান থাকা অবস্থায় ব্রিটিশদের সাথে ভালো সম্পর্ক রেখে চলতেন। কিন্তু সেখানে ব্রিটিশদের নিয়ন্ত্রণ একদল লোক দেখতে পারতনা কারণ ব্রিটিশরা সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রণ করত ও মুল্যবান দাসপ্রথা উচ্ছেদ করেন।[১৬] এই ভিন্নমতের লোকদের নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্রিটিশরা সুলতানকে ও প্রাসাদ রক্ষার জন্য ১০০০ লোকের একটি বাহিনী গেঠন করতে অনুমতি দেয়। কিন্তু কিছুদিন পরই এই বাহিনী ব্রিটিশ বাহিনীর সাথে বিভিন্ন সময় সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে।[১৭][১৮] জাঞ্জিবারের ইউরোপীয় বসবাসরত এলাকা থেকেও সুলতান বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ আসতে শুরু করে।[১৬]
সুলতান হামাদ হঠাৎ করেই ২৫ আগস্ট, ১৮৯৬ সালে ১১:৪০ ইএট (০৮:৪০ ইউটিসি) মিনিটে মারা যান।[১৬] তার ২৯ বছর বয়স্ক ভাতিজা খালিদ বিন বারঘাস জাঞ্জিবার শহরের সুলতানের প্রাসাদে প্রবেশ করে নিজেকে সুলতান ঘোষণা[১৬] করে কিন্তু ব্রিটিশরা বিকল্প সুলতান হিসেবে হামাদ বিন-মুহাম্মদকে নিয়োগ দিতে চেয়েছিল। এসময় খালিদকে ব্রিটিশ কুটনৈতিক বাসিল কেভ ও জেনারেল ম্যাথিউস সর্তক কের দেন।[১৮][১৯] এছাড়া তিন বছর আগে সুলতান আলীর মৃত্যুর পরও খালিদ সুলতান হতে চেয়েছিলেন কিন্তু তখনও তাকে এ ধরনের বিপদজ্জনক কাজ না করতে পরামর্শ দেওয়া হয়।[২০]
খালিদ কেভের সতর্কতা উপেক্ষা করে তার বাহিনীকে ক্যাপ্টেন সালেহ্ এর তেত্বাবধানে দিয়ে তিনি প্রাসাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলেন।[১৯] দিনের শেষে তারা ২৮,০০ লোককে সৈনিক হিসেবে নিয়োগ দেন যাদের অধিকাংশকে স্থানীয় জনগণের মধ্যে থেকে বাছাই করা হয়েছিল।[১৯][২১] সুলতান বহিনীর কাছে কিছু আর্টিলারি, মেশিনগান, গেটলিং গান, একটি ব্রোঞ্জ কেনন যার সবগুলোই ব্রিটিশ জাহাজ লক্ষ্য করে হার্বারের দিকে তাক করা ছিল।[১৯][২১][২২] ১২ পাউন্ড ফিল্ড গান সুলতানকে উপহার হিসেবে দিয়েছিলেন জার্মান সম্রাট উইলহাম ২।[১৯] এছাড়াও সুলতানের সৈন্যরা জাঞ্জিবার নৌবাহিনী দলও গঠন করে।[২৩]
কেভ খালিদের সাথে আরো আলোচনা করে কিন্তু সকল চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যায় এবং রওসন সুলতান খালিদকে সময়সীমা বেধে দেয় ২৭ আগস্ট সকলাক ৯.০০ টার মধ্যে তাকে পতাকা নামিয়ে প্রসাদ থেকে চলে যেতে হবে না হলে সে হামলা করতে বাধ্য হবে। বিকেলের মধ্যে হার্বার থেকে সকল বাণিজ্য জাহাজ নিরাপদ স্থানে চলে যায়। ব্রিটিশ নারী ও শিশুদের নিরাপদ স্থানে রাখা হয়। কনসাল মোহান তার এক বিবৃতিতে লিখেছিলেন যে, সাধারনত অন্যন্য রাতে ড্রামের শব্দ শুনা যায় কিন্তু সে রাত ছিল একেবারে নিস্তব্দ।[২৪]
২৭ আগস্ট সকাল ৮.০০টায় খালিদের পক্ষ থেকে একজন বার্তাবাহক কেভের সাথে সাক্ষাত করে এবং তাদের যুদ্ধ প্রত্যাহার করতে বলে কিন্তু কেভ উত্তরে জানায় সুলতান যদি শর্ত মেনে নেয় তাহলেই কেবল তাদের পক্ষে যুদ্ধ ত্যাগ করা সম্ভব।[৮][২৫] ৮.৩০ মিনিটে সুলতানের পক্ষ থেকে আরেকজন বার্তাবাহক বলেন, আমরা পতাকা নামানোর কোন অর্থ দেখি না, কারণ আমরা জানি অঅপনারা হামলা চালাবেন না। উত্তরে কেভ বলেন, আমরা হামলা চালাতে চাইনা কিন্তু যতক্ষন পর্যন্ত আমরা যে শর্ত দিয়েছি তা পূরণ না হচ্ছে ততক্ষন পর্যন্ত আমাদের হামলা না করে উপায় নেই।[২৪] এদিকে ৮.৫৫ মিনিটে সুলতানের পক্ষ থেকে আর কোন বার্তাবাহক না অঅসায় সেন্ট জর্জ রওসন তার বাহিনীকে, যুদ্ধের জন্য তৈরি হতে বলেন।[২৬]
যুদ্ধটি ৩৮ মিনিট স্থায়ী হয়েছিল যা এই যুদ্ধকে ইতিহাসের সর্বাপেক্ষা কম সময়ের যুদ্ধ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে।[২৭] যদিও কেউ কেউ ৪০[২৮] এবং ৪৫ মিনিটের[২৯] কথাও বলে থাকে তবে ৩৮ মিনিটিই সর্বত্র ব্যবহার করতে দেখা যায়।[৩০][৩১] সময়ের এই অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে কারণ সকাল ৯.০০টায় সৈন্যদের প্রস্তুত হতে বলা হয় গুলি করার জন্য এবং ৯.০২ মিনিটে গুলি করা শুরু করে। আর যুদ্ধ শেষ হয় ৯.৪০ মিনিটে। এজন্য কেউ ৩৮ ও কেউ ৪০ মিনিট বলে থাকেন।