ইজাম্বার্ড কিংডম ব্রুনেল

ইজাম্বার্ড কিংডম ব্রুনেল
ব্যক্তিগত তথ্য
নামইজাম্বার্ড কিংডম ব্রুনেল
জন্ম তারিখ(১৮০৬-০৪-০৯)৯ এপ্রিল ১৮০৬
জন্মস্থানপোর্টসমাথ, হ্যাম্পশায়ার, ইংল্যান্ড
মৃত্যুর তারিখ১৫ সেপ্টেম্বর ১৮৫৯(1859-09-15) (বয়স ৫৩)
মৃত্যুর স্থানওয়েস্টমিনস্টার, লন্ডন
শিক্ষা
দাম্পত্য সঙ্গীমেরি এলিজাবেথ হর্সলে (বি. ১৮৩৬)
পিতামাতা
সন্তান৩, হেনরি মার্কসহ
কর্মজীবন
প্রকৌশলের বিষয়
যে সংস্থার সদস্য
গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প
গুরুত্বপূর্ণ নকশারয়েল অ্যালবার্ট ব্রিজ

ইজাম্বার্ড কিংডম ব্রুনেল ( /ˈɪzəmbɑːrd ˈkɪŋdəm brˈnɛl/ IZZ-əm-bard KING-dəm broo-NELL ; ৯ এপ্রিল ১৮০৬ – ১৫ সেপ্টেম্বর ১৮৫৯[] ) ছিলেন একজন ইংরেজ পুর-প্রকৌশলী এবং যন্ত্র প্রকৌশলী[] যাকে "প্রকৌশল ইতিহাসের সবচেয়ে প্রতিভাবান এবং সমৃদ্ধ ব্যক্তিত্বদের একজন",[] "উনিশ শতকের প্রকৌশল মহারথীদের একজন",[] এবং "শিল্প বিপ্লবের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব" হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তিনি তার যুগান্তকারী নকশা এবং উদ্ভাবনী নির্মাণের মাধ্যমে ইংরেজ ভূদৃশ্যের চেহারা বদলে দিয়েছিলেন।[] ব্রুনেল ডকইয়ার্ড, গ্রেট ওয়েস্টার্ন রেলওয়ে (জিডব্লিউআর), প্রথম উদ্দেশ্য-নির্মিত ট্রান্সআটলান্টিক স্টিমশিপসহ একাধিক বাষ্পচালিত জাহাজ এবং অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ সেতু এবং টানেল তৈরি করেছিলেন। তার নকশাগুলি গণপরিবহন এবং আধুনিক প্রকৌশলে বিপ্লব এনে দেয়।

যদিও ব্রুনেলের প্রকল্পগুলি সবসময় সফল ছিল না, তবুও তাদের মধ্যে প্রায়শই দীর্ঘস্থায়ী প্রকৌশল সমস্যার উদ্ভাবনী সমাধান ছিল। ব্রুনেল তার কর্মজীবনে প্রকৌশলে অনেক প্রথম অর্জন করেছিলেন, যার মধ্যে ছিল তার বাবাকে একটি নৌযান চলাচলযোগ্য নদীর (টেম্‌স নদী) তলদেশে প্রথম সুড়ঙ্গ নির্মাণে সহায়তা করা এবং এসএস গ্রেট ব্রিটেন-এর নির্মাণ। এসএস গ্রেট ব্রিটেন প্রথম প্রপেলার-চালিত সমুদ্রগামী লোহার জাহাজ যা ১৮৪৩ সালে চালু হওয়ার সময় বৃহত্তম জাহাজ ছিল।[][]

জিডব্লিউআর-এ, ব্রুনেল একটি সু-নির্মিত রেলওয়ের জন্য মান নির্ধারণ করেছিলেন, গ্রেডিয়েন্ট এবং বক্ররেখা কমানোর জন্য সতর্কতার সাথে জরিপ ব্যবহার করেছিলেন। এর জন্য প্রয়োজন পড়েছিল ব্যয়বহুল নির্মাণকৌশল, নতুন সেতু, নতুন ভায়াডাক্ট এবং দুই-মাইল-লম্বা (৩.২-কিলোমিটার) বক্স টানেল। একটি বিতর্কিত বৈশিষ্ট্য ছিল "ব্রডগেজ" যার দৈর্ঘ্য ৭ ফুট  ইঞ্চি (২,১৪০ মিলিমিটার), যা "আদর্শ-গেজ" ৪ ফুট   ইঞ্চি (১,৪৩৫ মিলিমিটার) এর পরিবর্তে ব্যবহৃত হয়। তিনি বাষ্পচালিত, লৌহ-নির্মিত জাহাজ তৈরি করে জিডব্লিউআরকে পশ্চিমে উত্তর আমেরিকা পর্যন্ত প্রসারিত করার প্রস্তাব দিয়ে ব্রিটেনকে অবাক করে দিয়েছিলেন। তিনি তিনটি জাহাজের নকশা ও নির্মাণ করেছিলেন যা নৌপ্রকৌশলে বিপ্লব এনেছিল: এসএস গ্রেট ওয়েস্টার্ন (১৮৩৮), এসএস গ্রেট ব্রিটেন (১৮৪৩), এবং এসএস গ্রেট ইস্টার্ন (১৮৫৯)।

২০০২ সালে, "১০০ জন সেরা ব্রিটন" নির্ধারণের জন্য বিবিসির একটি গণ জরিপে ব্রুনেল দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন। ২০০৬ সালে, তার জন্মের দ্বিশতবার্ষিকীতে, ব্রুনেল ২০০ নামে তার জীবন ও কর্ম উদযাপনের একটি বড় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।[]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Chisholm 1911
  2. Encyclopedia Britannica 
  3. Spratt, H.P. (১৯৫৮)। "Isambard Kingdom Brunel": 1754–55। ডিওআই:10.1038/1811754a0অবাধে প্রবেশযোগ্য। সংগ্রহের তারিখ ১১ জুন ২০১৫ 
  4. Spratt, H.P. (১৯৫৮)। "Isambard Kingdom Brunel": 1754–55। ডিওআই:10.1038/1811754a0অবাধে প্রবেশযোগ্য। সংগ্রহের তারিখ ১১ জুন ২০১৫ 
  5. Rolt, Lionel Thomas Caswall (১৯৫৭)। Isambard Kingdom Brunel (first সংস্করণ)। Longmans, Green & Co। পৃষ্ঠা 245। 
  6. Wilson 1994, পৃ. 202–03।
  7. "Isambard Kingdom Brunel"। SS Great Britain। ২৯ মার্চ ২০০৬। ২৪ মার্চ ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জুলাই ২০০৯ 
  8. "Home"। Brunel 200। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুলাই ২০০৯ 

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]