ইট হ্যাপেন্ড ওয়ান নাইট | |
---|---|
![]() প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির পোস্টার | |
পরিচালক | ফ্রাঙ্ক ক্যাপ্রা |
প্রযোজক |
|
রচয়িতা | স্যামুয়েল হপকিন্স অ্যাডামস |
চিত্রনাট্যকার | রবার্ট রিসকিন |
উৎস | স্যামুয়েল হপকিন্স অ্যাডামস্ কর্তৃক নাইট বাস |
শ্রেষ্ঠাংশে | |
সুরকার | |
চিত্রগ্রাহক | জোসেফ ওয়াকার |
সম্পাদক | জিন হ্যাভলিক |
পরিবেশক | কলাম্বিয়া পিকচার্স |
মুক্তি |
|
স্থিতিকাল | ১০৫ মিনিট |
দেশ | মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র |
ভাষা | ইংরেজি |
নির্মাণব্যয় | $৩২৫,০০০[২] |
আয় | $২,৫০০,০০০[৩] $২,০০০,০০০ (প্রেক্ষাগৃহে ভাড়া) |
ইট হ্যাপেন্ড ওয়ান নাইট (ইংরেজি: It Happened One Night) ১৯৩৪ সালের আমেরিকান রোমান্টিক কমেডি চলচ্চিত্র। এই খ্যাপা কমেডি চলচ্চিত্র পরিচালনা করেন ফ্রাংক কাপরা। যেখানে কেতাদুরস্ত সমাজের আদুরে মেয়ে এলি তাঁর বাবার হাত থেকে মুক্তি পেতে চেষ্টা করে, এবং একজন অসৎ প্রতিবেদক পিটারের প্রেমে পড়ে। চলচ্চিত্রটি স্যামুয়েল হপকিন্স অ্যাডামসে্র আগস্ট ১৯৩৩ সালের ছোট গল্প "নাইট বাস"-এর উপর ভিত্তি করে এর প্রেক্ষাপট নির্মিত হয়েছে।
কোটিপতি বাবার মেয়ে এলি তার পছন্দের মানুষ কিং ওয়েষ্টলিকে বিয়ে করতে চান, কিন্তু তার বাবা ওয়েষ্টলিকে একেবারেই অপছন্দ করেন। ক্ষুদ্ধ বাবা আলেক্সান্ডার এন্ড্রুস অবাধ্য মেয়ে এলিকে তার বিলাসবহুল প্রমোদতরীতে আটকে রাখেন এবং এলি সেখান থেকে পালিয়ে যায়। এদিকে এন্ড্রুস মেয়েকে খুঁজতে হুলিয়া জারি করেন, অন্যদিকে এলি নিউইয়র্ক গামী বাসে চড়ে বসেন। সেখানে নিউইয়র্কের এক পত্রিকার সাংবাদিক পিটার ওয়ার্নের সাথে তার পরিচয় হয়। ওয়ার্ন পত্রিকায় এলির নিখোঁজ সংবাদ দেখার কারণে তাকে চিনতে পারেন। ওয়ার্ন আকর্ষনীয় সংবাদের আশায় এলিকে প্রস্তাব দেন যে, একটি স্টোরি কাভার করার সুযোগ দিতে আর না হলে সে তার বাবার কাছে ধরিয়ে দেব। দুজনের চারিত্রিক বৈপরিত্য সত্ত্বেও তারা একত্রে যাত্রা শুরু করে। এলির খামখেয়ালি আর স্বেচ্ছাচারিতায় ওয়ার্ন শুরুতে বিরক্ত হলেও তাদের দুজনের মধ্যে ধীরে প্রেমময় অণুভূতি ক্রিয়া করতে শুরু করে। একসময় সংবাদ, অর্থ না প্রেম, কোনটিকে প্রাধান্য দেবে ওয়ার্ন এ-নিয়ে দ্বন্ধ্ব শুরু হয়।
চলচ্চিত্র একাডেমি পুরস্কারে পাঁচটি বিভাগের পুরস্কার জেতে:
পুরস্কার | ফল | বিজয়ী |
---|---|---|
সেরা চলচ্চিত্র | বিজয়ী | কলাম্বিয়া পিকচার্স (ফ্রাঙ্ক ক্যাপ্রা এবং হ্যারি কন) |
সেরা পরিচালক | বিজয়ী | ফ্রাঙ্ক ক্যাপ্রা |
সেরা অভিনেতা | বিজয়ী | ক্লার্ক গ্যাবল |
সেরা অভিনেত্রী | বিজয়ী | ক্লডিটে কোলবার্ট |
সেরা রচনা, অভিযোজন | বিজয়ী | রবার্ট রিসকিন |
ইট হ্যাপেন্ড ওয়ান নাইট জনসাধারণের উপর তাৎক্ষণিক প্রভাব তৈরি করেছে। একটি দৃশ্যে গ্যাবল শার্ট খুললে তার শরীর নয় বরং ভেতরের গেঞ্জি দেখা যায়। এই দৃশ্যের কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গেঞ্জি বিক্রি লক্ষণীয়ভাবে বেড়ে যায়; এবং চালু হয় শার্টের নিচে গেঞ্জি পড়ার ফ্যাশন।[৪] চলচ্চিত্রে এছাড়াও স্পষ্টরূপে একটি গ্রেহাউন্ড বাস দেখানো হয়, ফলে দেশব্যাপী বাস ভ্রমণের আগ্রহ বৃদ্ধি পায়।[৫]
এনিমেটর ফ্রিজ ফার্লেঙ্গ তার অপ্রকাশিত স্মৃতিকথায় একে তার তার প্রিয় চলচ্চিত্র হিসেবে উল্লেখ করেন। গ্যাবলের চকমচ করে গাজর চিবানোর একটি দৃশ্য থেকে পরবর্তীতে তিনি লুনি টুনস ধারাবাহিক বাগস বানির মতো বিখ্যাত কার্টুন চরিত্রের সৃষ্টি করেন।[৬]
ইওসিফ স্তালিন এই চলচ্চিত্রের একজন অণুরাগী ছিলেরম,[৭] যেমন ছিলেন আডলফ হিটলার।[৮]
এই চলচ্চিত্রের অণুকরণে বলিউডে দুটি চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েচে। আমির খান এবং পূজা ভাট অভিনীত মহেশ ভাট পরিচালিত দিল হ্যায় কে মানতা নেহি (১৯৯১) এবং রাজ কাপুর এবং নার্গিস অভিনীত অনন্ত ঠাকুর পরিচালিত চোরি চোরি (১৯৫৬)।
টীকা
গ্রন্থতালিকা
স্ট্রিমিং অডিও