| |||||||
প্রতিষ্ঠাকাল | 2003 | ||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|
হাব | আবু ধাবি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর | ||||||
নিয়মানুযায়ী উড়ান পরিকল্পনা | Etihad Guest | ||||||
বিমানবহরের আকার | 67 | ||||||
গন্তব্য | 85 excl. subsidiaries 321 inc. codeshares | ||||||
প্রধান কার্যালয় | আবুধাবি, সংযুক্ত আরব আমিরাত[১] | ||||||
গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি |
| ||||||
ওয়েবসাইট | www.etihad.com |
ইতিহাদ এয়ারওয়েজ সংযুক্ত আরব আমিরাতের জাতীয় বিমান পরিবহন সংস্থা।[২] ২০০৩ এর জুলাইয়ে আরব আমিরাত সরকার আবুধাবি ভিত্তিক এই সংস্থাটি প্রতিষ্ঠা করে।[৩] ২০০৩ এর নভেম্বরে ইতিহাদ এয়ারওয়েজ ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরু করে। আরবি “ইতিহাদ” শব্দের অর্থ ঐক্য।[৪]
ইতিহাদ এয়ারওয়েজ ৫৫টি দেশের ৮৫টি গন্তব্যে প্রতি সপ্তাহে ১৩০০-এরও অধিক ফ্লাইট পরিচালনা করে। এর সংগ্রহে রয়েছে ৬৭টি এয়ারবাস এবং বোয়িং বিমান।[৩] ২০১১ সালে ইতিহাদ ৮.৩ মিলিয়ন যাত্রী পরিবহন করেছিল, যা পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় ১৭% বেশি।[৫] এতে ইতিহাদ ৪.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলা আয় এবং ১৪ মিলিয়ন ডলার লভ্যাংশ অর্জন করে।[৬] কৌশলগত পরিকল্পনার সাথে সামঞ্জস্য রেখে ২০১১ সালে ইতিহাদ তার ১৪ মিলিয়ন ডলারের পূর্ণ বার্ষিক নীট লাভ প্রকাশ করে।[৭]
যাত্রী পরিবহন ছাড়াও ইতিহাদ এয়ারওয়েজ ইতিহাদ হলিডেজ এবং ইতিহাদ কার্গো পরিচালনা করে।[৩] আবু ধাবি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ইতিহাদের কেন্দ্র।[৮] ২০১১ এর ডিসেম্বরে ইতিহাদ ঘোষণা করে এয়ার বার্লিনের ২৯.২১% স্বত্ব ক্রয় করেছে।[৯] এয়ার বার্লিন ইউরোপের ষষ্ঠ বৃহত্তম এয়ারলাইন্স। পরবর্তীতে সিমীত পরিমাণে ইতিহাদ অন্যান্য এয়ারলাইন্সেরও স্বত্ব কিনেছে; যেমন- ভার্জিন অস্ট্রেলিয়া (১০%)[১০], এয়ার লিঙ্গুস (২.৯৮৭%)[১১] এবং এয়ার সেশেল (৪০%)[১২]।
ইতিহাদ এয়ারওয়েজের নামকরণটি ইত্তিহাদ শব্দ হতে অনেকটা রোমানীকরণের মাধ্যমে করা হয়েছে।[১৩]
ইতিহাদ এয়ারওয়েজ ২০০৩ সালের জুলাই মাসে শেখ খলিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ান এর রাজকীয়(আমিরি) ফরমান অনুসারে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দ্বিতীয় পতাকাবাহী এয়ারলাইন হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়। বিমানসংস্থাটি ৫০০ মিলিয়ন আরব আমিরাত দিরহাম মূলধন নিয়ে এর যাত্রা শুরু করে। বিমানসংস্থাটি দ্বারা উদ্বোধনী ফ্লাইট ২০০৩ সালের ৫ নভেম্বর আল আইনে পরিচালিত হয়। ২০০৩ সালের ১২ নভেম্বর ইতিহাদ এয়ারওয়েজ বৈরুতে ফ্লাইট পরিচালনার মাধ্যমে তার বাণিজ্যিক যাত্রা শুরু করে। ইতিহাদ এয়ারওয়েজ এর প্রতিষ্ঠার পূর্বে আবুধাবী হতে পরিচালিত বিমানের অধিকাংশ ছিল গালফ এয়ার এয়ারলাইন্সের, যেখানে বাহরাইন এবং ওমান সালতানাত এর অংশীদারত্ব ছিল।
২০০৪ সালের জুন মাসে, এয়ারলাইনটি ৮ বিলিয়ন ইউএস ডলার মূল্যের পাঁচটি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ইআরএস এবং ২৪টি এয়ারবাস এয়ারক্রাফট এর অর্ডার দেয়, এর মধ্যে আরও ছিল চারটি এ৩৮০-৮০০এস। প্রথম এ৩৮০ টি পৌঁছে ২০১৪ সালের ডিসেম্বর মাসে।
ইতিহাদ এয়ারওয়েজ ২০১১ সালে প্রথম এর পূর্ণ একবছরের মোট মুনাফার প্রতিবেদন প্রকাশ করে, তা ছিল ১৪ মিলিয়ন ইউএস ডলার, যা ২০০৬ সালে প্রধান নির্বাহী পরিচালক জেমস হোগানের নেওয়া কৌশলপূর্ণ ব্যবসায়িক পরিকল্পনার ফলে সম্ভব হয়।[১৪]
ইতিহাদ এয়ারওয়েজের সদর দপ্তর আবুধাবীর আবুধাবী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিকটে খলিফা সিটিতে অবস্থিত। ২০০৭ সালে ইতিহাদ এয়ারওয়েজ এর নতুন হেড অফিস এবং ট্রেনিং সেন্টার প্রতিষ্ঠার জন্য ১৮৩.৬ মিলিয়ন সংযুক্ত আরব আমিরাত দিরহাম(প্রায় ৫০ মিলিয়ন ইউএস ডলার) ব্যয় করে। নতুন সদর দপ্তরটি ২০০৭ সালের শেষ নাগাদ চালু করার পরিকল্পনা নেয়া হয়।
২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর মাস অনুসারে, ইতিহাদ এয়ারওয়েজ পরিচালিত বিমানসমূহ ১১৬টি(যাত্রীবাহী এবং কার্গো পরিবহনকারী) গন্তব্যস্থলে যাতায়াত করে থাকে। [১৫] এ গন্তব্যস্থলগুলো বিশ্বের ছয়টি মহাদেশ এশিয়া, আফ্রিকা, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া, উত্তর আমেরিকা এবং দক্ষিণ আমেরিকার বিভিন্ন দেশসমূহ। অন্যান্য অল্প কিছু এয়ারলাইন যেমন এয়ার চায়না, ব্রিট্রিশ এয়ারওয়েজ, ডেল্টা এয়ারলাইন্স, এমিরেটস, কোরিয়ান এয়ার, কোয়ান্টাস, কাতার এয়ারওয়েজ, সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স এবং সাউথ আফ্রিকান এয়ার যারা পৃথিবীর ছয়টি মহাদেশেই তাদের বিমান পরিচালনা করে থাকে, ইতিহাদ এয়ারওয়েজ তার মধ্যে অন্যতম।[১৬]
নিম্নের এয়ারলাইন্স গুলোর সাথে ইতিহাদ এয়ারওয়েজ এর কোড শেয়ার চুক্তি রয়েছে।(২০১৫ সালের জানুয়ারী মাস অনুসারে):
ইতিহাদ এয়ারওয়েজের বিমানবহরে নিম্নের বিমানগুলো রয়েছে(২০১৬ সালের জুলাই মাস অনুসারে):
এয়ারবাস এ৩১৯-১০০(২টি), এয়ারবাস এ৩২০-২০০(২৩টি), এয়ারবাস এ৩২১-২০০(১০টি), এয়ারবাস এ৩৩০-২০০(২০টি), এয়ারবাস এ৩৩০-৩০০(১০টি), এয়ারবাস এ৩৪০-৫০০(৩টি), এয়ারবাস এ৩৪০-৬০০(৭টি), এয়ারবাস এ৩৮০-৮০০(৮টি), বোয়িং ৭৭৭-২০০এলআর(৫টি), বোয়িং ৭৭৭-৩০০ইআর(২৪টি), বোয়িং ৭৮৭-৯(৯টি), এয়ারবাস এ৩৩০-২০০এফ(৪টি), বোয়িং ৭৪৭-৪০০এফ(১টি), বোয়িং ৭৪৭-৮এফ(১টি), বোয়িং ৭৭৭এফ(৫টি)।
ইতিহাদ এয়ারওয়েজের কেবিনগুলো হচ্ছে: দ্যা রেসিডেন্স, দ্যা এপার্টমেন্টস, ফার্স্ট ক্লাস স্টুডিও, বিজনেস স্টুডিও এবং ইকোনমি স্মার্ট।
ইতিহাদ এয়ারওয়েজের বিমানগুলোতে সব শ্রেণির যাত্রীদের জন্য অত্যন্ত সুস্বাদু এবং মানসম্মত খাবার এবং পানীয় পরিবেশিত হয়ে থাকে।
সাধারণভাবে ইতিহাদ এয়ারওয়েজের যাত্রীদের বিনোদনমূলক ভ্রমণের লক্ষ্যে অডিও, ভিডিও, মিউজিক, গেমস ইত্যাদির সুবিধা রয়েছে।