ইত্তেফাক | |
---|---|
পরিচালক | যশ চোপড়া |
প্রযোজক | বি. আর. চোপড়া |
রচয়িতা | সংলাপ: আখতার-উল-ইমান |
চিত্রনাট্যকার | জি. আর. কমত |
কাহিনিকার | জি. আর. কমত |
উৎস | জর্জ ইংলান্ড কর্তৃক সাইনপোস্ট টু মার্ডার |
শ্রেষ্ঠাংশে | |
সুরকার | সলিল চৌধুরী |
চিত্রগ্রাহক | কে. জি. কোরেগাঁওকর |
মুক্তি |
|
স্থিতিকাল | ১০৫ মিনিট |
দেশ | ভারত |
ভাষা | হিন্দি |
আয় | ₹ ৩০ কোটি (ইউএস$ ৩.৬৭ মিলিয়ন)[১] |
ইত্তেফাক বি. আর. চোপড়া প্রযোজিত এবং তাঁর ভাই যশ চোপড়া পরিচালিত ১৯৬৯ সালের ভারতীয় হিন্দি ভাষার রহস্য থ্রিলার চলচ্চিত্র। এতে শ্রেষ্ঠাংশে অভিনয় করেন নন্দা ও রাজেশ খান্না এবং পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করেন সুজিত কুমার, বিন্দু, মদন পুরি ও ইফতেখার। এটি ১৯৬৫ সালের মার্কিন চলচ্চিত্র সাইনপোস্ট টু মার্ডার অবলম্বনে নির্মিত,[২] যা এর আগে সরিতা জোশী অভিনীত গুজরাতি নাটক ধুম্মাস-এ উপযোগ করা হয়েছিল।[৩]
এটি নওজওয়ান (১৯৫১), মুন্না (১৯৫৪) ও কানুন (১৯৬০) চলচ্চিত্রের পর কোন গান না থাকা চতুর্থ হিন্দি চলচ্চিত্র।,[২] আরেকটি বিষয় হল গানবিহীন কানুন চলচ্চিত্রটিও বি. আর. ফিল্মসের ব্যানারে নির্মিত এবং এতেও প্রধান নারী চরিত্রে অভিনয় করেন নন্দা। কানুন ও ইত্তেফাক দুটি চলচ্চিত্রের আবহসঙ্গীত পরিচালনা করেন সলিল চৌধুরী।[৪] এছাড়া এটি কোন মধ্য বিরতি ব্যতীত প্রথম হিন্দি চলচ্চিত্র।[৩] এটি যশ চোপড়ার তাঁর ভাইয়ের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের অধীনে পরিচালিত সর্বশেষ চলচ্চিত্র, এরপর তিনি তাঁর নিজস্ব প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান যশ রাজ ফিল্মস গঠন করে এর ব্যানারে চলচ্চিত্র নির্মাণ শুরু করেন।
চলচ্চিত্রটি ১৯৬৯ সালের ১০ অক্টোবর ভারতে মুক্তি পায় এবং বক্স অফিসে মধ্যম মানের ব্যবসা করে।[৫] এটি ১৭তম ফিল্মফেয়ার পুরস্কারে পাঁচটি বিভাগে মনোনয়ন লাভ করে এবং শ্রেষ্ঠ পরিচালক-সহ দুটি বিভাগে পুরস্কার অর্জন করে। এই চলচ্চিত্র থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে ২০১৭ সালে একই নামের একটি চলচ্চিত্র নির্মিত হয়।
মার্কিন সাইনপোস্ট টু মার্ডার (১৯৬৪) অবলম্বনে চলচ্চিত্রটির চিত্রনাট্য লিখেন জি. আর. কমত এবং সংলাপ লিখেন আখতার-উল-ইমান। প্রযোজক বি. আর. চোপড়া আদমি অউর ইনসান (১৯৬৯) চলচ্চিত্র নির্মাণকালে অভিনেত্রী সায়রা বানুর পা ভাঙ্গলে চলচ্চিত্রটি নির্মাণ বন্ধ রাখতে হয়। এই চলচ্চিত্রের ক্ষতি পোষাতে পরিচালক যশ চোপড়া আরেকটি স্বল্প নির্মাণব্যয়ের চলচ্চিত্র নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেন। শুরুতে নির্মাতারা প্রধান পুরুষ চরিত্রে শশী কাপুরকে চেয়েছিলেন, কিন্তু তিনি অভিনেত্রী চলচ্চিত্রের শুটিংয়ে ব্যস্ত থাকায় তার স্থলে রাজেশ খান্নাকে নেওয়া হয়। খান্না এই চলচ্চিত্রের জন্য ২,০০০ রুপী পারিশ্রমিক ও ৫০০ রুপী ভাতা পান। নন্দা এই চলচ্চিত্রের প্রধান নারী চরিত্রের জন্য নির্মাতাদের প্রস্তাব দেওয়া তৃতীয় অভিনেত্রী। চলচ্চিত্রটির চিত্রগ্রহণ ২৮ দিনে সমাপ্ত হয় এবং তিন মাস পরে মুক্তি দেওয়া হয়, যা সে সময়ের জন্য একটি রেকর্ড ছিল।[৩]
বিভাগ | গ্রহীতা | ফলাফল |
---|---|---|
শ্রেষ্ঠ পরিচালক | যশ চোপড়া | বিজয়ী |
শ্রেষ্ঠ অভিনেতা | রাজেশ খান্না | মনোনীত |
শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী | নন্দা | মনোনীত |
শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী | বিন্দু | মনোনীত |
শ্রেষ্ঠ শব্দ পরিকল্পনা | এম.এ. শেখ | বিজয়ী |
২০১৭ সালের সিদ্ধার্থ মালহোত্রা, সোনাক্ষী সিনহা ও অক্ষয় খান্না অভিনীত ইত্তেফাক চলচ্চিত্রটি এই চলচ্চিত্র থেকে অনুপ্রাণিত।[৭][৮] চলচ্চিত্রটি ২০১৭ সালের ৩ নভেম্বর মুক্তি পায়।[৯]