ইনবুয়ান কুস্তি

ভারত-এর মিজোরাম এর আদিবাসী লোকেদের কুস্তির একটি রূপ হল ইনবুয়ান। কথিত আছে যে ইনবুয়ান ১৭৫০ সালে ডুংটলাং গ্রামে উদ্ভূত হয়েছিল। মিজো জনগণ যখন বার্মা থেকে লুসাই পাহাড়ে চলে আসে তার পর এটিকে একটি খেলা হিসাবে স্বীকৃত দেওয়া হয়েছিল।

ইতিহাস

[সম্পাদনা]

কথিত আছে যে ইনবুয়ান ১৭৫০ সালে ডুংটলাং গ্রামে উদ্ভূত হয়েছিল। মিজো জনগণ যখন বার্মা থেকে লুসাই পাহাড়ে চলে আসে তার পর এটিকে একটি খেলা হিসাবে স্বীকৃত দেওয়া হয়েছিল।[] ১৮৭১ থেকে ১৯৪০ সাল পর্যন্ত, ছেলেরা সন্ধ্যার খাবারের পরে গ্রামের ছাত্রাবাসে জড়ো হত এবং প্রায় প্রতি রাতেই তারা ইনবুয়ান খেলত। এমনকি যখন একজন অসুস্থ বা মৃত ব্যক্তির দেহ এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে নিয়ে যাওয়া হত তখন গ্রামের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে এই খেলার আয়োজন করা হত, যাকে বলা হত হ্লাং ইঞ্চুহ বা মিজাউন ইনচুহ।[]

বৈশিষ্ট্য

[সম্পাদনা]

ইনবুয়ান খেলার জন্য অত্যন্ত কঠোর নিয়ম মানতে হয়। এ খেলার নিয়মে লাথি মারা, বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসা এমনকি হাঁটু বাঁকানো নিষিদ্ধ করা হয়েছে।এই প্রতিযোগিতাটি কার্পেট বা ঘাসের উপর ১৫-১৬ ফুট ব্যাসের একটি বৃত্তে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। এই খেলার মুল লক্ষ্য হল উপরোক্ত নিয়মগুলো কঠোরভাবে মেনে চলে প্রতিপক্ষের পা মাটি থেকে তুলে নেওয়া। এই খেলাগুলোর প্রতিটি ৩০-৬০ সেকেন্ড সময়কালের তিনটি ধাপে অনুষ্ঠিত হয়, এই খেলাটি সাধারণত ততক্ষণ চলতে থাকে যতক্ষণ না পর্যন্ত একজন কুস্তিগির একটি নিয়ম ভঙ্গ করে অথবা তার পা মাটি থেকে উঠে যায়।

এই ধরনের কুস্তি খেলার আরেকটি বৈশিষ্ট্য হল কুস্তিগিরদের কোমরের চারপাশে ক্যাচ-হোল্ড বেল্ট পরান হয়। যা পুরো খেলা জুরে টানটান থাকতে হবে।

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Target PT 2020 in 100 days: UPSC Prelims: day 70-90 MCQs। GRASP IAS। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ডিসেম্বর ২০২০ 
  2. Material Culture of the Mizo। Firma KLM, on behlaf of Tribal Research Institute, Department of Art & Culture, Government of Mizoram, Aizawl, Mizoram। ১৯৯৮। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ডিসেম্বর ২০২০ 

বহিঃসূত্র

[সম্পাদনা]