ইনসাইট | |||||
---|---|---|---|---|---|
নাম | Interior Exploration using Seismic Investigations, Geodesy and Heat Transport Geophysical Monitoring Station (GMS) Discovery # 12 | ||||
অভিযানের ধরন | মঙ্গলগ্রহে অবতরণ | ||||
পরিচালক | নাসা / জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরি | ||||
সিওএসপিএআর আইডি | ২০১৮-০৪২এ | ||||
এসএটিসিএটি নং | ৪৩৫৭ | ||||
ওয়েবসাইট | Mars.NASA.gov/InSight | ||||
অভিযানের সময়কাল | পরিকল্পনা: ৭০৯ sols (৭২৮ দিন)[১] অতিক্রান্ত সময়: ২১৯৮ sols (৬ বছর, ২ মাস, ৪ দিন) | ||||
মহাকাশযানের বৈশিষ্ট্য | |||||
প্রস্তুতকারক | লকহিড মার্টিন স্পেস সিস্টেমস | ||||
উৎক্ষেপণ ভর | ৬৯৪ কিলোগ্রাম (১,৫৩০ পাউন্ড) [২] | ||||
অবতরণ ভর | ৩৫৮ কিলোগ্রাম (৭৮৯ পাউন্ড) | ||||
আয়তন | ৬.০ × ১.৫৬ × ১.০ মিটার (১৯.৭ × ৫.১ × ৩.৩ ফুট) (বিস্তার) [৩] | ||||
ক্ষমতা | ৬০০ ওয়াট, সৌর / লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি | ||||
অভিযানের শুরু | |||||
উৎক্ষেপণ তারিখ | ৫ মে ২০১৮, ১১:০৫:০১ ইউটিসি | ||||
উৎক্ষেপণ রকেট | অ্যাটলাস ৫ ৪০১ [৪] | ||||
উৎক্ষেপণ স্থান | ভ্যান্ডেনবার্গ, এসএলসি-৩ই | ||||
ঠিকাদার | ইউনাইটেড লঞ্চ অ্যালায়েন্স | ||||
পরিষেবা চালু হয়েছে | ২৬শে নভেম্বর ২০১৮ | ||||
অভিযানের সমাপ্তি | |||||
সর্বশেষ যোগাযোগ | ডিসেম্বর ২০২২ (আনুমানিক) [৫] | ||||
মঙ্গল গ্রহ বিচরণ যান (রোভার) | |||||
Invalid parameter | ২৬ নভেম্বর ২০১৮, ১৯:৫২:৫৯ ইউটিসি[১] এমএসডি ৫১৫১ ০৫:১৪এএমটি | ||||
"location" should not be set for flyby missions | ইলিশিয়াম প্লানিশিয়া[৬] ৪°৩০′০৯″ উত্তর ১৩৫°৩৭′২৪″ পূর্ব / ৪.৫০২৪° উত্তর ১৩৫.৬২৩৪° পূর্ব | ||||
মঙ্গল পাশকাটানো উড়াল (ফ্লাইবাই) | |||||
মহাকাশযানের উপাদান | মার্স কিউব ওয়ান (মার্কো) | ||||
Invalid parameter | ২৬ নভেম্বর ২০১৮, ১৯:৫২:৫৯ ইউটিসি[১] | ||||
"distance" should not be set for missions of this nature | ৩,৫০০ কিলোমিটার (২,২০০ মাইল)[৭] | ||||
ইনসাইট মিশনের লোগো
|
ইনসাইট (ইংরেজি: InSight) মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা পরিচালিত একটি স্বয়ংচালিত অবতরণ যান (রোবটিক ল্যান্ডার), যেটিকে সৌরজগতের মঙ্গল গ্রহে অবতরণ করে গ্রহটির বিভিন্ন দিক সম্পর্কে আরও গভীরভাবে জানা এবং গবেষণা করার জন্য তৈরি ও প্রেরণ করা হয়েছে।[৮][৯] আদিতে যানটিকে ২০১৬ সালের মার্চ মাসে উৎক্ষেপণ করার পরিকল্পনার কথা থাকলেও আর্থিক সমস্যার ফলে এটিকে ২০১৮ সালের ৫ই মে অ্যাটলাস ভি ৪০১ রকেটে করে ১১ বেজে ৫ মিনিটে (সর্বজনীন সমন্বিত সময়) পৃথিবী থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়।[১০][১১][১২] নাসার পক্ষ থেকে অভিযানটি পরিচালনা করছে জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরি এবং যানটির প্রস্তুতকারক লকহিড মার্টিন স্পেস সিস্টেমস। ইনসাইট নামটি একটি আদ্যক্ষরা (অ্যাক্রোনিম); Interior Exploration using Seismic Investigations, Geodesy and Heat Transport (ভূকম্পন তদন্ত, ভূমিতি ও তাপ পরিবহন ব্যবহার করে অভ্যন্তরভাগ অনুসন্ধান) ইংরেজি শব্দবন্ধটির সংক্ষিপ্ত রূপ থেকে অবতরণ যানটির নাম রাখা হয় ইনসাইট (InSight)। ২৬শে নভেম্বর ২০১৮ তারিখে ৪৮ কোটি ৫০ লক্ষ কিলোমিটার (৩০ কোটি ১০ লক্ষ মাইল) পথ পাড়ি দেবার পর[১৩][১৪] ইনসাইট মহাকাশযানটি মঙ্গল গ্রহের এলিজিয়াম প্লানিশিয়া নামক স্থানে সফলভাবে অবতরণ করে।[৯][১৫][১৬][১৭] অভিযানটিতে শুরুতে ৬৭ কোটি ৫০ লক্ষ মার্কিন ডলার খরচ হওয়ার কথা থাকলেও এতে মোট ৮৩ কোটি মার্কিন ডলার খরচ হয়।[১৮]
ইনসাইট প্রথমে "জিইএমএস" (GEMS = Geophysical Monitoring Station; অর্থাৎ ভূ-পদার্থবৈজ্ঞানিক পরিবীক্ষণ কেন্দ্র) নামে পরিচিত ছিল। পরবর্তীতে ২০১২ সালে নাসার অনুরোধে এটির নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় "ইনসাইট"।[১৯][২০][২১] ২০১২ এর আগস্ট মাসে মঙ্গলগ্রহের দিকে যাত্রা এবং নির্মাণের জন্য "ইনসাইট"-কে নির্বাচিত করা হয়।[২২]
লকহিড মার্টিন ১৯ মে ২০১৪ সালে অবতরণ যানটির নির্মাণ কার্যক্রম শুরু করে[২৩] এবং ২৭ শে মে ২০১৫ এ এটির প্রাথমিক পরীক্ষা করা হয়।[২৪][২৫]
৯ই মার্চ ২০১৬ তারিখে নাসা ঘোষণা করে যে, আর্থিক কারণে ইনসাইট এর মিশন যাত্রা ২০১৬ এর পরিবর্তে ২০১৮ সালে শুরু হবে।[১৬][২৬]
স্পেসক্রাফটটি ০৫ মে ২০১৮ তার পুনর্নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী ক্যালিফোর্নিয়ার আটলাস ভি ৪০১ রকেটে করে যাত্রা শুরু করে এবং ২৬ নভেম্বর ২০১৮ এ মঙ্গলে অবতরণ করে।[১৬][২৬][২৭][২৮]
২২শে নভেম্বর ২০১৭ এ ইনসাইটের তাপীয় শূন্য পরীক্ষা সম্পন্ন হয়, যেটি টিভিএসি নামে পরিচিত।[২৯][৩০]
২৮শে ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তারিখে, ইনসাইটকে বোয়িং সি-১৭ গ্লোবমাস্টার ৩ কার্গো বিমানে করে ভ্যান্ডারবার্গ এয়ার ফোর্স বেস এর ক্যালিফোর্নিয়াতে আনা হয়।[৩১] অবশেষে, ০৫ ই মে ২০১৮ এ অবতরণ যানটিকে উৎক্ষেপণ করা হয় এবং ২৬ নভেম্বর ২০১৮ আনুমানিক ১৯:৫৪ ইউটিসি সময়ে মঙ্গলে অবতরণ করে।
ইনসাইট অবতরণ যানটিকে মূলত ২টি বিশেষ লক্ষ্য নিয়ে পাঠানো হয়েছে। লক্ষ্যগুলো পূরণে মঙ্গলকে বিজ্ঞানের বিভিন্ন মাধ্যম দ্বারা যাচাই বাচাই করা হবে ইনসাইট দ্বারা।
এতদিন মঙ্গলের পৃষ্ঠ নিয়ে বিভিন্ন ধরনের গবেষণা চালানো হলেও ইনসাইট দিয়ে গবেষণা করার জন্য এর অভ্যন্তরে রয়েছে ক্রাস্ট, ম্যান্টল, এবং কোর। এর মাধ্যমে মঙ্গলের কোর কতটুকু বড় এবং এটি কি দিয়ে তৈরি তরল নাকি কঠিন পদার্থ দিয়ে এগুলো সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাবে। এছাড়া মঙ্গলের ক্রাস্ট এবং ম্যান্টল এর গঠন, এগুলো কি দিয়ে তৈরি এবং এদের পুরত্ব সম্পর্কে এই অভিযানের মাধ্যমে জানা যাবে। এসব পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে গ্রহের জন্ম এবং বিবর্তন সম্পর্কে আরও বুঝতে সক্ষম হবে।
এই অভিযানটির একটি বিশেষ লক্ষ্য হচ্ছে মঙ্গলের পৃষ্ঠ উল্কাপিন্ড দ্বারা কতটুকু আঘাত প্রাপ্ত হয় তা জানতে পারা এবং মঙ্গলে ভূমিকম্পের প্রভাব কতটুকু এসব বোঝা।
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |
ref name="NYT-20181126">Chang, Kenneth (২৬ নভেম্বর ২০১৮)। "NASA's Mars InSight Landing: Back to the Red Planet Once Again - The NASA spacecraft will arrive at the red planet today and attempt to reach its surface in one piece."। The New York Times। সংগ্রহের তারিখ ২৬ নভেম্বর ২০১৮।
ref name="NYT-20181126">Chang, Kenneth (২৬ নভেম্বর ২০১৮)। "NASA's Mars InSight Landing: Back to the Red Planet Once Again - The NASA spacecraft will arrive at the red planet today and attempt to reach its surface in one piece."। The New York Times। সংগ্রহের তারিখ ২৬ নভেম্বর ২০১৮।