ইনসুলিন(ইংরেজি: Insulin), হলো অগ্ন্যাশয়ের প্রধান হরমোন,এক ধরনের পলিপ্যাপটাইড, যা গ্লুকোজকে রক্ত থেকে কোষের মধ্যে প্রবেশ করা নিয়ন্ত্রণ করে। ইনসুলিন অগ্ন্যাশয়ের ইনসুলিন[২] নিঃসরণকারী কোষগুলো (আইল্যেটস অব ল্যাঙ্গারহেন্স-এর বিটা কোষ) থেকে নিঃসৃত হয়। মূলত ডায়েবেটিস মেলাইটাস এ ইনসুলিন ব্যবহৃত হয়ে থাকে।[৩] ইনসুলিন খুব পুরানো প্রোটিন যা কয়েক বিলিয়ন বছর আগে উদ্ভাবিত হয়েছে।
ইনসুলিন ৫১টি অ্যামিনাে অ্যাসিড নিয়ে গঠিত ক্ষুদ্রাকার সরল প্রােটিন । দুটি পলিপেপটাই চেইন ( ২১টি অ্যামাইনাে অ্যাসিড নিয়ে গঠিত চেইন – A এবং ৩০টি অ্যামিনাে অ্যাসিড নিয়ে গঠিত চেইন – B ) দুটি ডাইসালফাইড বন্ডের মাধ্যমে সংযুক্ত হয়ে একটি ইনসুলিন অণু গঠন করে । এর রাসায়নিক সংকেত হলাে : । এর আণবিক ভর ৫৭৩৪ ।বর্তমানে মানুষের ইনসুলিন উৎপাদনকারী জিন E . coli তে স্থানান্তর করে ব্যাপক হারে ইনসুলিন উৎপাদন করা হচ্ছে । একটি ব্যাক্টেরিয়াম কোষে প্রায় দশ লক্ষ অণু ইনসুলিন তৈরি হয়ে থাকে । ইনসুলিন কৃত্রিমভাবে উৎপাদনের কারণে বর্তমান পৃথিবীর অধিকাংশ জৈবিক সমস্যা সমাধান সম্ভব হয়েছে। বর্তমানে বিজ্ঞানীরা এই বিষয়ে আরো ব্যাপক গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে ।
এই হরমোন যকৃত ও পেশী-কলায় গ্লুকোজ থেকে গ্লাইকোজেন সংশ্লেষে সাহায্য করে।
ইনসুলিন বিভিন্ন অ্যামিনো-অ্যাসিড একত্রিত করে প্রোটিন গঠনে সাহায্য করে।
ইনসুলিনের প্রভাবে গ্লুকোজ, ল্যাকটিক অ্যাসিড ইত্যাদি থেকে চর্বি ও স্নেহদ্রব্য উৎপন্ন হতে পারে।
ইনসুলিন কম ক্ষরিত হলে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে যায়। তখন মূত্রের সঙ্গে গ্লুকোজ বেরিয়ে আসে। এই অবস্থাকে মধুমেহ বা ডায়াবেটিস রোগ বলা হয়।
রক্ত থেকে বিভিন্ন কলার কোষে গ্লুকোজ অবশোষণে ইনসুলিন সাহায্য করে।
ইনসুলিন কোষের মধ্যে গ্লুকোজের জারণ বাড়িয়ে দেয়।
ইনসুলিনের সাহায্যে চর্বি সম্পূর্ণভাবে জারিত হয়, ফলে কিটোন বস্তু (যেমন, অ্যাসিটো-অ্যাসিটিক অ্যাসিড, অ্যাসিটোন ইত্যাদি) প্রস্তুত হতে পারে না।
ইনসুলিন যকৃৎ-কোষের মধ্যে কয়েকটি গ্লুকোজ বিপাকের উৎসেচককে নিয়ন্ত্রণ এমন কি পরিবর্তনকরতে পারে।
প্রোটিন সংশ্লেষ এবং বৃদ্ধির সময় ইনসুলিন এবং সোমাটোট্রফিক হরমোন (STH) যৌথভাবে একসঙ্গে কাজ করতে পারে।[৪]
|month=
উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)