ইনুইয়াশা | |
戦国お伽草子–犬夜叉 (Sengoku Otogizōshi Inuyasha) | |
---|---|
ধরন | অ্যাকশন, রোমান্টিক, Jidaigeki#Sengoku-jidai |
মাঙ্গা | |
লেখক | রুমিকো তাকাহাশি |
প্রকাশক | শোগাকুকান |
ইংরেজি প্রকাশক | |
সাময়িকী | উইকলি শোনেন সানডে |
জনতাত্ত্বিক | শোনেন |
মূল প্রকাশ | ১৩ নভেম্বর, ১৯৯৬ – ১৮ জুন, ২০০৮ |
খণ্ড | ৫৬ |
অ্যানিমে | |
পরিচালক | মাসাশি ইকেদা ইয়াসুনাও আওকি |
প্রয়োজক | মিচিহিকো সুওয়া হিদেইয়ুকি তোমিওকা |
লেখক | কাৎসুইয়ুকি সুমিসাওয়া |
সুরকার | কাওরু ওয়াদা |
স্টুডিও | সানরাইজ |
লাইসেন্সকারী | |
মুক্তি | ১৬ অক্টোবর, ২০০০ – ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০০৪ |
অ্যানিমে | |
ইনুইয়াশা: দ্যা ফাইনাল অ্যাক্ট | |
পরিচালক | ইয়াসুনাও আওকি |
প্রয়োজক | তোমোইয়ুকি সাইতো মিতোমু আছাই নাওহিরো ওগাতা |
লেখক | কাৎসুইয়ুকি সুমিসাওয়া |
সুরকার | কাওরু ওয়াদা |
স্টুডিও | সানরাইজ |
লাইসেন্সকারী | |
মুক্তি | ৩ অক্টোবর, ২০০৯ – ২৯ মার্চ, ২০১০ |
চলচ্চিত্রসমূহ | |
ইনুইয়াশা (犬夜叉), (ইংরেজি: Inuyasha) এছাড়া ইনুইয়াশা: এ ফিউড্যাল ফেয়ারি টেল (জাপানি: 戦国御伽草子 犬夜叉 হেপবার্ন: Sengoku Otogizōshi Inuyasha), নামেও পরিচিত। ইনুইয়াশার স্রষ্টা রুমিকো তাকাহাশি যিনি এটি লিখেছেন এবং বিশদকরণ (Illustration) করেছেন। যা উইকলি শোনেন সানডে ম্যাগাজিনে ১৩ই নভেম্বর, ১৯৯৬ সালে প্রকাশ করা শুরু হয় এবং ১৮ই জুন, ২০০৮ সাল পর্যন্ত প্রকাশিত হতে থাকে। উক্ত সময়ের মধ্যে শোগাকুকান কর্তৃক ৫৬টি তানকোবোন খণ্ডে এটি সংগ্রহ করা হয়। সিরিজটি কাগোমে হিগুরাশি নামক ১৫ বছর বয়সী টোকিও শহরের একটি বালিকাকে ঘিরে, যে তাদের পারিবারিক মঠের (Shrine) একটি কূপের মধ্যে পড়ে গিয়ে সেনগোকু কালে ভ্রমণ করে। সেখানে সে ইনুইয়াশা নামক অর্ধ-দৈত্য (অর্ধেক মানব অর্ধেক দৈত্য) কুকুরের সাথে পরিচিত হয়। যখন সেসময়কালের একটি দৈত্য যাদুকরী শিকণ মণি (Shikon Jewel) ছিনিয়ে নিতে যায় যা কাগোমের শরীরের অভ্যন্তরে লুকোনো ছিল, দূর্ঘটনাবশত কাগোমের দ্বারা তা ভেঙ্গে চূর্ণ হয়ে সমগ্র জাপানে বিচ্ছুরিত হয়। ইনুইয়াশা এবং কাগোমে মণিটির অংশগুলো পুনরুদ্ধার করার জন্য যাত্রা শুরু করে যাতে তারা শক্তিশালী দৈত্য নারাকুর আগেই তা সংগ্রহ করতে পারে। যাত্রাপথে তারা শিপ্পো, মিরোকু, সাঙ্গো এবং কিরারা নামক কতিপয় সঙ্গীদের সাথে পরিচিত হয়।
মাঙ্গাটিকে নিয়ে সানরাইজ কর্তৃক দুটি আনিমে টেলিভিশন সিরিজ নির্মাণ করা হয়। যার প্রথমটি জাপানের ইয়োমিরু টিভিতে ১৬ই অক্টোবর, ২০০০ সাল থেকে ১৩ই সেপ্টেম্বর, ২০০৪ সাল পর্যন্ত ১৬৭টি পর্বে সম্প্রচার করা হয়। দ্বিতীয় সিরিজটি যা ইনুইয়াশা: দ্যা ফাইনাল অ্যাক্ট নামে পরিচিত তা প্রথম সিরিজটির পাঁচ বছর পর ৩রা অক্টোবর, ২০০৯ সালে মাঙ্গার অবশিষ্ট অংশের উপর ভিত্তি করে নির্মাণ করে সম্প্রচার করা হয়। ২৯শে মার্চ, ২০১০ সালে ২৬টি পর্বের মাধ্যমে এর পরিসমাপ্তি ঘটে। ইনুইয়াশা আনিমেকে নিয়ে ৪টি চলচ্চিত্র নির্মাণ করা হয়। ভিজ মিডিয়া মাঙ্গা, আনিমে সিরিজ দুইটি এবং চলচ্চিত্রগুলো উত্তর আমেরিকায় প্রচারের অনুমতিপ্রাপ্ত হয়।
আধুনিকযুগের টোকিও শহরে কাগোমে হিগুরাশি তাদের পারিবারিক শিন্টো মঠে(shrine) তার মা, দাদা এবং ছোটভাইয়ের সাথে একটি দো’তলা বাড়িতে বসবাস করে। তার ১৫তম জন্মদিনে যখন সে তার বিড়ালকে উদ্ধার করতে যায়, একটি শতপদী(centipede) দৈত্য সংরক্ষিত হাড় খাওয়া কূপ(Bone Eater's Well) (骨喰いの井戸 Honekui no Ido) থেকে বেরিয়ে এসে কাগোমেকে টেনে কূপের মধ্যে নিয়ে যায়।
কিন্তু কূপের ভিতরে পড়ে যাওয়ার বদলে কাগোমে জাপানের অতিতকালে ভ্রমণ করে যখন জাপানে সেনগোকু যুগ চলছিল। শতপদী দৈত্যটি শিকণ মণি (四魂の玉 Shikon no Tama, বা চারটি আত্নার মণি) খুঁজতে ছিল যা এক ধরনের হাতে নির্মিত বস্তু বিশেষ, যেটি বাহকের যে কোন ইচ্ছাই পূরণ করতে পারে। দৈত্যটি পূর্বে কিকিয়ো নামক এক যোদ্ধা ধর্মযাজিকার নিকট পরাজিত হয়েছিল এবং কাগোমে দেখতে প্রায় ধর্মযাজিকাটির মতোই। আসলে কিকিয়ো, কাগোমে রূপে পুনরায় জন্মগ্রহণ করেছে এবং শিকণ মণিটি কাগোমির দেহের অভ্যন্তরে ছিল। কাগোমে একটি যুবককে খুঁজে পায় যেকিনা একটি পবিত্র তীর দ্বারা গাছে আটকেছিল। কিছু হতাশার মুহূর্তের পর কাগোমে তাকে মুক্ত করে দেয় যাতে শতপদী দৈত্যটিকে হারানো যায়। যুবকটি ছিল ইনুইয়াশা, একজন অর্ধ-কুকুর দৈত্য যে মণিটি চুরি করার সময় কিকিয়ো তাকে গাছের সাথে আটকে রাখে। ঘটনাক্রমে শিকণ মণিটি কাগোমের দেহ থেকে বেরিয়ে আসে এবং কাক দৈত্যের সাথে লড়াইয়ের সময় সেটি বিভিন্ন অংশে বিভক্ত হয়ে সমগ্র প্রাচীন জাপান জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। যারা এর একটি কণা পায় তাদের শক্তি দ্বিগুণ হয়ে যায় এবং সে অমরত্ব লাভ করে।
রুমিকো তাকাহাশি রেনমা হাফ(Ranma ½) লেখা শেষ করা পরই ইনুইয়াশার কাজ শুরু করেন। তার পূর্ব কাজের অভিজ্ঞতা থেকে তিনি চাচ্ছিলেন কৌতুক সিরিজগুলো থেকে ভিন্নতর, গভীর কাহিনিসূত্র নির্ভর কিছু তৈরি করতে। হিংসাত্মক কর্মকান্ডগুলো সহজ ভাষায় বর্ণনা করার জন্য তিনি সেনগোকু কালকে বেছে নেন, যখন যুদ্ধ ছিল নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। লেখক সামুরাই বা রাজপ্রাসাদগুলোর গঠন ব্যক্ত করার জন্য তেমন উল্লেখযোগ্য গবেষণা করেননি বরং সেগুলোকে সাধারণজ্ঞান হিসেবেই বিবেচনা করেন। ২০০১ সালের জুন মাসে সিরিজটির সমাপ্তির ব্যাপারে স্পষ্ট কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি। কারণ তাকাহাশি ইনুইয়াশা এবং কাগোমের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক কীভাবে শেষ করবেন তা নিশ্চিত হতে পারছিলেন না। অধিকন্তু তিনি বলেন যে তার পূর্ববর্তী মাঙ্গাগুলোর শুরুতেও কোন সমাপ্তি ছিল না। সমাপ্তি কীভাবে করা হবে তা বুঝে উঠতে উঠতে সিরিজটির ধারাবাহিকতা চলতে থাকে[১]।
রুমিকো তাকাহাশি কর্তৃক লিখিত এবং বিশদকৃত, ইনুইয়াশা মাঙ্গা ১৩ই নভেম্বর, ১৯৯৬ সালে জাপানে সাপ্তাহিক শোনেন সানডেতে প্রকাশিত হয়[২][৩], যেখানে এটি এটির উপসংহার পর্যন্ত ১৮ই জুন, ২০০৮ সাল অবধি প্রকাশিত হতে থাকে[৪]। অধ্যায়গুলো শোগাকুকান কর্তৃক ৫৬টি তানকোবোন খণ্ডে সংগ্রহ করা হয়, যার প্রখম খন্ড প্রকাশিত হয় মে ১৯৯৭ সালে এবং শেষ খন্ড প্রকাশিত হয় ফেব্রুয়ারি ২০০৯ সালে[৫][৬]।
সানরাইজ কর্তৃক প্রস্তুতকৃত প্রথম ইনুইয়াশা আনিমেটি সম্প্রচারিত হয় জাপানের এ্যানিম্যাক্স চ্যানেলে ১৬ই অক্টোবর, ২০০০ সালে এবং ১৬৭টি পর্ব শেষ করে ১৩ই সেপ্টেম্বর, ২০০৪ সাল পর্যন্ত তা সম্প্রচারিত হতে থাকে। এছাড়াও এটি ইয়োমিরু টিভিতে এবং নিপ্পোন টেলিভিশনেও সম্প্রচার কার হয়[৭]। পূর্ব এশিয়া এবং দক্ষিণ এশিয়াতে এ্যানিম্যাক্সের ইংরেজি সংস্করণে এটি সম্প্রচারিত হয়। অ্যাভেক্স(Avex) জাপানে বিতরণকৃত সকল পর্বগুলো মোট ৭টি ডিভিডি আকারে সংরক্ষণ করে ৩০শে মে, ২০০১ থেকে ২৭শে জুলাই ২০০৫ সালের মধ্যে[৮][৯]।
উত্তর আমেরিকাতে ভিজ মিডিয়া আনিমেটির ইংরেজি সংস্করণ প্রকাশের অনুমতি পায়[১০]। সিরিজটি প্রথমে অ্যাডাল্ট সুইমে (যদিও এটিকে টুনামি চ্যানেলে সম্প্রচারের কথা) ৩১শে আগস্ট, ২০০২ সাল থেকে ২৭শে অক্টোবর, ২০০৬ সাল পর্যন্ত এবং পরবর্তীতে ২০০৬ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত সম্প্রচার করা হয়[১১]। টুনামি সিরিজটি সম্প্রচারের অধিকার হারানোর[১২] আগ পর্যন্ত অর্থাৎ নভেম্বর ২০০৬ থেকে ১লা মার্চ, ২০১৪ পর্যন্ত তা সম্প্রচার করে[১৩]। সিরিজটি কানাডার ওয়াইটিভিতে ৫ই সেপ্টেম্বর, ২০০৩ থেকে ১লা ডিসেম্বর ২০০৬ সাল পর্যন্ত প্রদর্শন করা হয়[১৪]। ভিজ মিডিয়া সিরিজটি মোট ৫৫টি ডিভিডি খণ্ডে সংগ্রহ করে, যখন সাতটি ডিভিডি বক্স সেট আকারে প্রকাশ করা হয়.[১৫][১৬]।
সাপ্তাহিক শোনেন সানডের ২০০৯ সালের ৩৪তম সংস্করণ যেটি ২২শে জুলাই, ২০০৯ সালে প্রকাশিত হয় তাতে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয় যে মাঙ্গাটির ৩৬ খন্ড থেকে শেষ খন্ড পর্যন্ত গল্প নিয়ে ২৬ পর্বের আনিমে সিরিজ তৈরি করা হবে প্রথম আনিমের একই কলাকুশলীদল দ্বারা এবং জাপানের ওয়াইটিভিতে তা সম্প্রচার করা হবে[১৭] । একই সপ্তাহে ভিজ মিডিয়া ঘোষণা দেয় তারা নতুন সিরিজটির জন্য অনুমতিপ্রাপ্ত হয়েছে যার নাম ইনুইয়াশা: দ্যা ফাইনাল অ্যাক্ট (犬夜叉 完結編 Inuyasha Kanketsu-hen).[১৮]। সিরিজটি ৩রা অক্টোবর, ২০০৯ সালে জাপানে প্রচারিত হয়, অন্যদিকে পর্বগুলো আমেরিকাতে হুলু এবং সাপ্তাহিক শোনেন সানডের মাধ্যমে সম্প্রচারিত হতে থাকে[১৯] । এশিয়ার অন্যান্য অংশে পর্বগুলো একই সপ্তাহে সম্প্রচারিত হয় এ্যানিম্যাক্স এশিয়ার মাধ্যমে[২০] । আনিমেটি ২৯শে মার্চ, ২০১০ সালে সম্প্রচার সম্পূর্ণ করে। আনিপ্লেক্স সিরিজটি ৭টি ডিভিডি আকারে সংগ্রহ করে যা ২৩শে ডিসেম্বর, ২০০৯ থেকে ২৩শে জুন, ২০১০ এর মধ্যে প্রকাশিত হয়েছিল[২১][২২]।
ভিজ মিডিয়া সিরিজটির ইংরেজি সংস্করণগুলো দুটি ডিভিডি অথবা ব্লু-রে সেট আকারে প্রকাশ করেছিল[২৩] । প্রথম ১৩টি পর্ব যা প্রথম সেট আকারে অংশীভূত করা হয়েছিল তা প্রকাশিত হয় ২০শে নভেম্বর, ২০১৩ সালে[২৪][২৫] এবং শেষ ১৩টি পর্ব প্রকাশিত হয় ১২ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সালে[২৬][২৭][২৮]।
একটি ৩০ মিনিটের অরিজিনাল ভিডিও অ্যানিমেশন(ওভিএ), ব্ল্যাক তেসসাইগা (黒い鉄砕牙 Kuroi Tessaiga) পরিবেশন করা হয় ৩০শে জুলাই, ২০০৮ সালে ইট’স এ রুমিক ওয়ার্ল্ড প্রদর্শিনীতে যেটি টোকিওর গিনযা শপিং এলাকার মাৎসুইয়া গিনযা বিপণীবিতানে আযোজিত হয়। পর্বটি আনিমেতে মূল কন্ঠদানকারীদের দিয়েই পরিবেশন করা হয়[২৯]। এটি ২০শে অক্টোবর, ২০১০ সালে জাপানে ডিভিডি এবং ব্লু-রে আকারে প্রকাশ করা হয়[৩০][৩১]।
তোমোকো কোমপারু ইনুইয়াশার স্বল্প দৈর্ঘ্যের উপন্যাস লিখেন এবং রুমিকো তাকাহাশি তা বিশদকরণ করেন যা শোগাকুকান কর্তৃক প্রকাশিত হয়[৩২]।
আনিমেটি প্রথম তৈরির সময়কালে জাপানের আকাসাকা অ্যাক্ট থিয়েটারে আনিমেটির একটি লাইভ-অ্যাকশন নাটক প্রদর্শন করা হয়। নাটকটি মূল মাঙ্গার আদলে প্রদর্শন করা হয়, শুধুমাত্র সময় বাঁচানো জন্য কিছু পরিবর্তন আনা হয়[৩৩]।
চীনা টিভি সিরিজ দ্যা হোলি পার্ল কিছুটা ইনুইয়াশার উপর ভিত্তি করে নির্মিত[৩৪][৩৫]।
শুধুমাত্র জাপানেই ইনুইয়াশা মাঙ্গা ৪ কোটি ৫০ লাখেরও বেশি সংখ্যকবার বিক্রি হয়[৩৬] । ইনুইয়াশা পৃথক খন্ডই জাপানে বেশি জনপ্রিয়, যা মাঙ্গাটিকে বিক্রিতালিকার প্রথমস্থানে নিয়ে আসে[৩৭][৩৮]। ২০০১ সালে মাঙ্গাটি বছরের সেরা শোনেন খেতাব হিসেবে শোগাকুকান মাঙ্গা পুরস্কার পায়[৩৯]। মাঙ্গাটি উত্তর আমেরিকার দ্যা নিউইয়র্ক টাইমস[৪০][৪১] এবং ডাইমন্ড কমিক ডিসট্রিবিউটরসের[৪২][৪৩] বিক্রিরতালিকায় বিভিন্নবার শীর্ষস্থান অর্জন করে। এছাড়াও Lycos এর মতে ২০০৫ সালে এটিকে সবচেয়ে বেশিবার খোঁজা হয়[৪৪]।
জাপানের টিভি আসাহির করা অনলাইন জরিপে ১০০ সেরা আনিমে সিরিজগুলোর মধ্যে ইনুইয়াশা ২০তম স্থান অধিকার করে[৪৫]। ২০০৪ এবং ২০০৫ সালের আইসিভি’২ আনিমে পুরস্কার(ICv2's Anime Awards) অনুষ্ঠানে সিরিজটি প্রোপার্টি অব দ্যা ইয়ার বিভাগে বিজয়ী হয়[৪৬][৪৭]। আনিমেজের আনিমে গ্র্যান্ড নির্বাচনে সেরা আনিমে বিভাগে ইনুইয়াশা বিভিন্নবার নির্বাচিত হয় এবং ২০০৩ সালে ৩য় স্থান পায়[৪৮][৪৯]। ২০০৭ সালে আমেরিকান আনিমে পুরস্কারে ইনুইয়াশা সেরা অভিনয়(Cast), সেরা আনিমে বৈশিষ্ট্য এবং সেরা দীর্ঘ সিরিজ বিভাগে মনোনিত হয় কিন্তু ফুলমেটাল অ্যালকেমিস্ট এবং ফাইনাল ফ্যান্টাসি ৭: অ্যাডভেন্ট চিলড্রেন-এর নিকট হেরে যায়[৫০]। ২০০৩ সাল হতে সিরিজটির ইংরেজি ডিভিডি ১ মিলিয়নেরও বেশি কপি বিক্রি হয়, পাশাপাশি প্রথম চলচ্চিত্রের ডিভিডিটি নেলসন ভিডিওস্ক্যান আনিমে সেরা বিক্রয় তালিকায় টানা ৩ সপ্তাহ ধরে শীর্ষ স্থান ধরে রাখে[৫১][৫২]। ম্যানিয়া এন্টারটেনমেন্ট তাদের একটি প্রবন্ধে যে যে আনিমেগুলোর পুনরাবৃত্তি প্রয়োজন তার তালিকায় ইনুইয়াশার নাম যোগ করে[৫৩]।