ইন্টারনেট |
---|
![]() |
ইন্টারনেট অধিগমন হচ্ছে এক ধরনের প্রক্রিয়া যা একক ব্যবহারকারী এবং সংগঠনকে ইন্টারনেটের সাথে সংযোগের সুবিধা দেয়। এই প্রক্রিয়াটি কম্পিউটার, কম্পিউটার টার্মিনাল, মোবাইল ডিভাইস এবং মাঝে মাঝে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক দিয়ে বাস্তবায়িত করা হয় । ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত হলেই যেকেউ ইন্টারনেটে প্রদত্ত সুবিধাসমূহ (যেমন: ইমেইল ও ওয়েব ব্রাউজিং) উপোভগ করতে পারে। ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী (ইংরেজিতে: Internet Service Provider সংক্ষেপে: ISP) সংস্থাসমূহ বিভিন্ন প্রযুক্তির সহয়তায় ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধাসমূহ, যা বিস্তৃত পরিসরে ডেটা সংকেত হারের (বেগ) প্রদান করে।
১৯৯০ এর দশকে ডায়েল-আপ ইন্টারনেট সুবিধার মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার জনপ্রিয়তা লাভ করে। একবিংশ শতাব্দীর প্রথম দশকে এসে উন্নত দেশসমূহের ব্যবহারকারীরা আগের তুলনায় দ্রুত, ব্রডব্যন্ড ইন্টারনেট সুবিধা সম্ভলিত প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু করে। ২০১৪ এর নাগাদ এটি সারা বিশ্বব্যপী ছড়িয়ে পরে। যার গড় সংযোগ বেগের মাত্রা ৪মেগাবিট/সে।[১]
ইন্টারনেট এসেছে আরপানেট থেকে। যুক্তরাষ্ট্রের সরকার দ্বারা আরপানেট প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এটি তখনকার যুক্তরাষ্ট্রের সরকার, কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় এবং গবেষণার পরীক্ষাগারের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করেছিল। কিন্তু যত সময় গেল এর ব্যবহার তত সম্প্রসারিত হতে লাগল, বিশ্বের বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয় এবং প্রযুক্তি কোম্পানির অস্ত্র গবেষণাগারগুলো এর আওতাভুক্ত হলো।[২][৩][৪] ১৯৯৫ সালে যখন এর ওপর থেকে বাণিজ্যিক ব্যবহারের নিষেধাজ্ঞা তুলে দেওয়া হলো তখন এটি ব্যপক ব্যবহারকারী দ্বারা ব্যবহৃত হতে লাগালো।[৫]
শুরু থেকে ১৯৮০ দশকের মধ্যভাগ পর্যন্ত, বেশিরভাগ ইন্টারনেট সুবিধাপ্রাপ্ত ছিল ব্যক্তিগত কম্পিউটার এবং ওয়ার্কস্টেশন, সরাসরি লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক অথবা মডেম এবং এনালগ টেলিফোন তার ব্যবহার করে ডায়েল-আপ ইন্টারনেট এর সাথে যুক্ত ছিল। ল্যান সাধারণত ১০ মেগাবিট/সেকেন্ড গতিসম্পন্ন ছিল, যখন ১৯৮০ দশকের শুরুতে মডেম এর ডেটা রেট ছিল ১২০০ বিট/সেকেন্ড গতিসম্পন্ন। যা ১৯৯০ এর দশকের শেষের দিকে এসে ৫৬ কিলোবিট/সেকেন্ডে উন্নীত হয়। শুরুর দিকে ডায়েল-আপ সংযোগ টার্মিনাল অথবা ল্যান এর কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত টার্মিনাল এমুলেটর সফটওয়ার দ্বারা নির্মিত হয়েছিল। এই ডায়েল-আপ সংযোগ ইন্টারনেট প্রোটোকল এর এন্ড-টু-এন্ড ব্যবহার সমর্থন করত না। এছাড়াও এটা শুধুমাত্র টার্মিনাল থেকে হোস্টের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করত। শুরুতে নেটওয়ার্ক অধিগমন সার্ভার সিরিয়াল লাইন ইন্টারনেট প্রোটকলকে সমর্থন করত। পরবর্তীতে এটি পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট ইন্টারনেট প্রোটকলে সম্প্রসারিত হয়। এর ফলে ডায়েল-আপ ব্যবহারকারীরা সম্পূর্ণ ইন্টারনেটের সুবিধা প্রাপ্ত হয়। যদিও তা কম ডেটা হারের জন্য ধীরগতিসম্পন্ন ছিল।
ব্রডব্যন্ড ইন্টারনেট সুবিধাকে অনেক সময় ছোট করে শুধু ব্রডব্যন্ড বলে ডাকা হয়। যাকে এমনভাবে সংজ্ঞায়িত করা যায়: "এটি এমন এক ধরনের ইন্টারনেট সুবিধা যা সবসময় চালু থাকে এবং যা ডায়েল-আপ অধিগমনের চেয়েও দ্রুত।"[৬][৭] তাই এটি প্রযুক্তির বিস্তৃত সীমাকে অন্তর্ভুক্ত করে। ব্রডব্যন্ড ইন্টারনেট সংযোগ তৈরিতে সাধারণত ব্যবহৃত হয় কম্পিউটারের বিল্ড-ইন ইথারনেট নেটওয়ার্কের সক্ষমতাকে অথবা নেটওয়ার্ক ইন্টারফেস নিয়ন্তা এর এক্সপেনসন কার্ড।
বেশিরভাগ ব্রডব্যন্ড ইন্টারনেট সেবাপ্রদানকারীরা চলমান "সর্বদা চালু" সংযোগ প্রদান করে। এখানে কোন ডায়েল-ইন এর প্রয়োজন পড়ে না। এছাড়াও এটি কন্ঠস্বর অথবা ফোন লাইনে হস্তক্ষেপ করে না। ব্রডব্যন্ড ইন্টারনেট সেবাপ্রদানকারীরা উন্নতর সুবিধা প্রদান করে। যেমন: