ইন্ট্রাক্রেনিয়াল রক্তক্ষরণ | |
---|---|
হঠাৎ করে সৃষ্ট (দুর্ঘটনামূলক নয়) ইন্ট্রাক্রেনিয়াল রক্তক্ষরণের অক্ষীয় সিটি স্ক্যান | |
বিশেষত্ব | জরুরী চিকিৎসাবিজ্ঞান |
ইন্ট্রাক্রেনিয়াল রক্তক্ষরণ (ইংরেজি: Intracranial hemorrhage) বা অন্তঃকরোটীয় রক্তক্ষরণ হচ্ছে মস্তিষ্কের করোটির অভ্যন্তরের সৃষ্ট রক্তক্ষরণ।[১] এটি ইন্ট্রাক্রেনিয়াল ব্লিড নামেও পরিচিত। করোটির অভ্যন্তরে বিভিন্ন ধরনের রক্তক্ষরণ রয়েছে যার মধ্যে রয়েছে ইন্ট্রাসেরিব্রাল রক্তক্ষরণ (যেমন ইন্ট্রাভেন্ট্রিকুলার রক্তক্ষরণ এবং ইন্ট্রাপ্যারেনকাইমাল রক্তক্ষরণ), সাবঅ্যারাকনয়েড রক্তক্ষরণ, এপিডুরাল হেমাটোমা, এবং সাবডুরাল হেমাটোমা।[২]
প্রতি বছর প্রতি দশ হাজার মানুষের মধ্যে গড়ে ২.৫ জন এ ধরনের রক্তক্ষরণে স্বীকার হন।[৩]
ইন্ট্রাক্রেনিয়াল রক্তক্ষরণ একটি গুরুতর অবস্থা এবং এক্ষেত্রে জরুরী ভিত্তিতে চিকিৎসা সেবা দেওয়া প্রয়োজন, কারণ করোটির অভ্যন্তরে এ ধরনের রক্তক্ষরণের ফলে অন্তঃকরোটি চাপ বৃদ্ধি পায়। যেহেতু মস্তিষ্ক ও করোটির মাঝে ফাঁকা অংশ নেই বললেই চলে তাই অন্তঃকরোটি চাপ সৃষ্টি হলে তা মস্তিষ্কের নাজুক স্নায়ুকোষ ও স্নায়ুকলার স্থায়ী ক্ষতিসাধন করতে পারে বা মস্তিষ্কের রক্ত সরবারহ সীমিত করতে পারে। এছাড়াও অন্তঃকরোটি চাপ অতিমাত্রায় বৃদ্ধি পেলে তা ব্রেইন হার্নিয়েশনের সৃষ্টি করতে পারে, সেক্ষেত্রে চাপের কারণে মস্তিষ্কের নির্দিষ্ট অংশ করোটির সাথে ঠেসে ধরার মতো অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে।
করোটির অভ্যন্তরে রক্তবাহিকা ফেটে গেলে বা ছিদ্র হয়ে গেলে ইন্ট্রাক্রেনিয়াল রক্তক্ষরণের সৃষ্টি হতে পারে। এ ধরনের সমস্যা কোনো দুর্ঘটনার ফলে সৃষ্ট মাথার জখমের কারণে হতে পারে বা জখম ছাড়াও অন্য কারণেও (যেমন রক্তক্ষরণমূলক স্ট্রোক বা ফেটে যাওয়া ইন্ট্রাক্রেনিয়াল অ্যানিউরিজমের কারণেও হতে পারে। রক্তের গাঢ়ত্ব হ্রাসকারী ওষুধ প্রয়োগ বা অ্যান্টিকোয়াগুলেন্ট থেরাপি ও রক্ত জমাট বাধার ব্যাধি বা কোয়াগুলোপ্যাথি থাকলে এ ধরনের জটিলতার ঝুঁকি বাড়তে পারে।[৪]
ইন্ট্রাক্রেনিয়াল রক্তক্ষরণের পর পুনরায় রক্ত পাতলাকারক প্রয়োগ শুরু করা অপেক্ষাকৃতভাবে নিরাপদ।[৫]