ইণ্ডিগো হলো ভারতের স্বল্প-খরচের একটি বিমান সংস্থা; যার সদর দপ্তর ভারতের গুরগাঁতে অবস্থিত। যাত্রী পরিবহনের দৃষ্টিকোণ থেকে এটি ভারতে সর্ববৃহৎ বিমানসংস্থা; যার আগস্ট ২০১৫ এর তথ্য অনুসারে ব্যবসার পরিমাণ ভারতের বাজারের ৩৫.৩%। বিমানসংস্থাটি ৩৮ টি গন্তব্য এ ভ্রমণের জন্য দৈনিক ৬৪৭ টি উড্ডয়ন কার্যক্রম সম্পন্ন করে; যার মধ্যে ৫ টি বৈদেশিক গন্তব্য আছে। এর প্রাথমিক আস্তানা অবস্থিত ইন্দিরা গান্ধি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, দিল্লীতে।[৫] এটার বর্তমান বহরে বিমান সংখ্যা ৯৭টি যার অনেক গুলি এ্যায়ারবাস ৩২০ পরিবারের অন্তর্গত। ইণ্ডিগো একাই ২০১৪ সালে মোট ২১.৪ মিলিয়ন যাত্রী আভ্যন্তরীন পথে পরিবহন করেছিল।[৬]
ইণ্ডিগো মূলত ২০০৬ সালের প্রথম দিকে ইন্টার গ্লোব এন্টারপ্রাইজ এর রাহুল ভাটিয়া এবং একজন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী অনিবাসী ভারতীয় নাগরিক রাকেশ গ্যাংয়াল কর্তৃক প্রতিষ্ঠা লাভ করে। ইন্টারগ্লোব ইণ্ডিগোর ৫১.২% শেয়ার অধিগ্রহণ করে এবং গ্যাংয়ালের ভার্জিনিয়া-ভিত্তিক কোম্পানী কেইলাম ইন্ভেস্টমেন্ট কর্তৃক এটার ৪৮% শেয়ার অধিগ্রহণকৃত হয়। ২০০৬ সালের মাঝামাঝি উড্ডয়নের কার্যক্রম আরম্ভ করার লক্ষ্যমাত্র নির্ধারণের ফলে জুন ২০০৫ সালে ইন্ডিগো ১০০ টি এ্যায়ারবাস এ৩২০-২০০ বিমান ক্রয়ের জন্য একটি বিশাল অর্ডার প্রদান করে।ক্রয়াদেশ প্রদানের প্রায় এক বছরের মাথায় ২০০৬ সালের ২৮ শে জুন ইণ্ডিগো তাদের প্রথম এ্যায়রবাস এ৩২০-২০০ বিমান গ্রহণ করে এবং ২০০৬ সালের ৪ঠা আগস্ট পরিবহন[৭] আরম্ভ করে নতুন দীল্লি থেকে ইম্ফল হয়ে গৌহাটি যাত্রা করার মাধ্যমে।২০০৬ সালের অন্তে, বিমান সংস্থাটির বহরে বিমান সংখ্যা দাড়ায় ছয়ে।২০০৭ সালে আরো ৯ টি বিমান যোগ হলে সংখ্যা দাড়ায় ১৫টিতে। ২০১০ সালের ডিসেম্বর নাগাদ সরকার নিয়ন্ত্রিত বিমান সংস্থা এ্যায়ার ইন্ডিয়াকে সরিয়ে দেশের শীর্ষ ৩ টি বিমান সংস্থায় পরিনত হয়।তখন কিংফিশার এ্যায়ারলাইন্স এবং জেট এ্যায়ারয়েজ এর পেছনে থেকে মার্কেটের ১৭.৩% শতাংশ ব্যবসার দখল তারা নিয়ে নেয়।২০১২ সাল নাগাদ, ইন্ডিগো মাত্র ৬ বছরের মধ্যে ৫০ তম বিমানটি গ্রহণ করে।২০১১ সালে, ইন্ডিগো ১৮০ টি এ্যায়ারবাস এ৩২০ ১৫বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচে ক্রয়াদেশ প্রদান করে যা ভারতের মোট এ্যায়ারবাস বিমানের ৭৩% শতাংশে পরিনত করে। ২০১২ সাল নাগাদ ইন্ডিগো ভারতের দ্রুত সম্প্রসারনশীল এবং ভারতের একমাত্র লাভজনক বিমান সংস্থাতে পরিনত হয়। কিংফিসার ভারতকে অতিক্রম করে দ্বীতিয় বৃহৎ বিমান সংস্থাতে পরিনত হয় ব্যবসার পরিমাণের দিক দিয়ে।২০১২ সালের ১৭ই আগস্টে এটা জেট এ্যায়ারয়েজকে অতিক্রম করে ভারতের সর্ববৃহৎ বিমান সংস্থাতে পরিনত হয় মার্কেটের ২৭% বাজার ধরার মাধ্যমে।
ইণ্ডিগো ৩৮ টি গন্তব্যে যাতায়াত করে যার ভেতরে ৩৩ টি ভারতে এবং ৫ টি বিদেশে, দৈনিক[৮] ৬৪৭ টি বিমান উড্ডয়ন করার মাধ্যমে। ২০১১ সালে ৫ বছর দেশের ভেতরে বিমান চালানোর পরে এই সংস্থাটি আন্তর্জাতিক পথে উড্ডয়নের লাইসেন্স পায়। এটার প্রথম আন্তর্জাকিক ফ্লাইট পরিচালিত হয় নতুন দীল্লি হতে মুম্বাইতে ২০১১ সালের ১লা সেপ্টেম্বর। পরবর্তী সপ্তাহের ভেতরে আন্তর্জাতিক সেবা ব্যাংকক, সিংগাপুর, মাসকট এবং কাঠমন্ডু পর্যন্ত সম্প্রসারিত হয় যার যাত্রা শুরু হতো নয়া দীল্লি এবং মুম্বাই হতে।এখন এই সেবাটি ব্যাঙ্গালোর, চেন্নাই, হায়দ্রাবাদ, কোচি, কলকাতা, কোলিকোড এবং তিরুবনন্তপুরম থেকে যাত্রা করে।
জুলাই ২০২০-এর হিসাব অনুযায়ী[হালনাগাদ], ইণ্ডিগো নিম্নলিখিত বিমান পরিচালনা করছেঃ[৯]
বিমান | সেবায় সক্রিয়[৯] | অর্ডার | যাত্রী[১০] | টীকা |
---|---|---|---|---|
এয়ারবাস এ৩২০-২০০ | ১২৩ | — | ১৮০ | |
Airbus A320neo | 35 | 370[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] | ১৮০ | |
১৮৬ | ||||
Airbus A321neoLR | — | ২৫ | ঘোষণা করা হবে | ২০১৯ থেকে শুরু[১১] |
ATR 72-600 | ৮ | ৪২[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] | ৭৪[১২] | ডিসেম্বর ২০১৮ সালের মধ্যে ২০ টি বিতরণ করা হবে[১৩] |
মোট | ১৬৭ | ৪৩৭ |
ইণ্ডিগো নিম্নে উল্লেখিত পদক সমূহ পেয়েছেঃ