ইন্দোনেশিয়া |
পেরু |
---|
ইন্দোনেশিয়া-পেরু সম্পর্ক, ইন্দোনেশিয়া এবং পেরু এর মাঝে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে নির্দেশ করে। উভয় দেশই একে অপরকে, নিজেদের পণ্যের জন্য আকর্ষণীয় এবং সম্ভাবনাময় বাজার হিসেবে দেখে। এর সাথেই, উভয় দেশই নিজেদের মধ্যকার সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করতে আগ্রহী, এবং বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার করে বাণিজ্যের পরিমাণ বৃদ্ধির ব্যাপারেও দেশদুটি আগ্রহী।[১][২][৩] পেরুর রাজধানী লিমাতে ইন্দোনেশিয়ার স্থায়ী দূতাবাস রয়েছে। অপরদিকে, ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় পেরুর স্থায়ী দূতাবাস রয়েছে। ইন্দোনেশিয়া এবং পেরু, উভয় দেশই এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশন, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও), জোট-নিরপেক্ষ আন্দোলন (ন্যাম) এবং ফোরাম অব ইস্ট এশিয়া-লাতিন আমেরিকা কো-অপারেশন এর সদস্য।
১৯৭৫ সালের ১২ আগস্ট আনুষ্ঠানিকভাবে ইন্দোনেশিয়া এবং পেরু এর মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়। সেই সময়, ব্রাজিলে অবস্থিত ইন্দোনেশীয় দূতাবাস, পেরু সম্পর্কিত বিষয়াবলী এবং কার্যক্রম দেখাশোনা করত। যদিও পরে, ইন্দোনেশিয়া পেরুতে নিজেদের দূতাবাস স্থাপন করে।
১৯৯২ সালের ১ নভেম্বর, পেরু সরকার, ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় তাদের দূতাবাস স্থাপন করে। কার্যকারিতা বৃদ্ধি এবং পেরুর সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক দৃঢ় করা এবং দুই দেশের মধ্যকার সমন্বয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০০২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি, পেরুর রাজধানী লিমায় ইন্দোনেশিয়া তাদের দূতাবাস স্থাপন করে। [৪]
পেরুর বিনিয়োগকারীরা কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর সর্বদাই ইন্দোনেশিয়ায় বিনিয়োগের সুযোগ চেয়েছে। বিশেষ করে কোমল পানীয় বিপণনের খাতে। বিগ কোলা নামক পেরুর কোম্পানি, ইন্দোনেশিয়ার বাজারে তাদের পণ্য ছাড়ে এবং ইন্দোনেশিয়ার বাজারে তারা উল্লেখযোগ্য ব্যবসায়িক সাফল্য লাভ করে। বিগ কোলা কোম্পানির এ সাফল্যে অন্য বিভিন্ন পেরুর কোম্পানি ইন্দোনেশিয়ায় বিনিয়োগে আগ্রহী হয়েছে।
ইন্দোনেশিয়ান সেন্ট্রাল স্ট্যাটিস্টিকস এজেন্সি (বিপিএস) এর উপাত্ত থেকে পাওয়া যায়, ২০১১ সালে, ইন্দোনেশিয়া এবং পেরু এর মধ্যকার বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ২১৩.৩৭ মিলিয়ন (২১.৩৩ কোটি) মার্কিন ডলারের।[১] এই দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে, ব্যাপক বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে, এবং এই বাণিজ্য ঘাটতি পেরুর ক্ষেত্রে রয়েছে। পেরুতে, ইন্দোনেশিয়ার প্রধান রপ্তানি পণ্য হল, রাবার, কাঠজাত পণ্য, ক্রীড়া জুতা, কাগজ, পোশাক, মোটরসাইকেলের যন্ত্রাংশ, অ্যালুমিনিয়াম, কাঁচ, সিরামিক, প্লাস্টিক এবং ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি। অপরদিকে ইন্দোনেশিয়াতে, পেরুর প্রধান রপ্তানি পণ্য হল, মৎস্য খাদ্য, পশু খাদ্য, ঔষধ, আঙ্গুর, আটা এবং সার।[২] ২০১৩ সালের অক্টোবর মাসে, কৃষিখাতে সমন্বয়ের জন্য ইন্দোনেশিয়া এবং পেরু একটি সমঝোতা স্মারক সাক্ষর করে।[৫]