ইন্দোনেশিয়া |
লাইবেরিয়া |
---|
ইন্দোনেশিয়া-লাইবেরিয়া সম্পর্ক ইন্দোনেশিয়া এবং লাইবেরিয়ার মাঝে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক বৈদেশিক সম্পর্ককে নির্দেশ করে। ইন্দোনেশিয়াতে লাইবেরিয়ার কোন স্থায়ী দূতাবাস নেই আবার লাইবেরিয়াতেও ইন্দোনেশিয়ার কোন স্থায়ী দূতাবাস নেই। ভারত এর রাজধানী নয়াদিল্লীতে অবস্থিত, লাইবেরিয়ার দূতাবাসের মাধ্যমেই, ইন্দোনেশিয়া সম্পর্কিত বিষয়াবলী এবং অন্যান্য কূটনৈতিক কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়। আবার একইভাবে নাইজেরিয়ার রাজধানী আবুজাতে অবস্থিতইন্দোনেশিয়ার দূতাবাসের মাধ্যমেই, লাইবেরিয়া সম্পর্কিত বিষয়াবলী এবং অন্যান্য কূটনৈতিক কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়।
ইন্দোনেশিয়া এবং লাইবেরিয়া, এই দুই দেশের মধ্যে আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয় ১৯৬৫ সালে।[১] তবে এই দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক আন্তরিক হতে আরও অনেক সময় লাগে। ২০১৩ সালে উভয় দেশের নেতার সফর এর মাধ্যমে এই দুই দেশের সম্পর্ক গভীর হতে থাকে।
১৯৬৫ সালে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হলেও, এর ভিত তৈরি হয় আরও পূর্বে। ১৯৫৫ সালে ইন্দোনেশিয়ার বান্দুং -এ অনুষ্ঠিত এশিয়ান-আফ্রিকান সম্মেলনে লাইবেরিয়ার একটি প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করে। সেই সময় এই দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের ভিত তৈরি হয়।[২] এরপর ১৯৬৫ সালে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়। তবে দুই দেশের মধ্যে আন্তরিক কোন সম্পর্ক ছিল না, তাই ২০১৩ সালে পর্যন্ত এই দুই দেশের সম্পর্ক একরকম উপেক্ষিতই ছিল। তবে, লাইবেরিয়ার রাজধানী মনরোভিয়াতে, ২০১৩ সালের ৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত, ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতি সুসিলো বামবাং ইয়ুধনোর এক রাষ্ট্রীয় সফরের পর পরিস্থিতির পরিবর্তন আসতে থাকে। ওই একই বছরেরই ২৪-২৭ মার্চ, পালটা সফরে লাইবেরিয়ার রাষ্ট্রপতি এলেন জনসন সিরলিফ ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় যান। ওই সফরে লাইবেরিয়ার রাষ্ট্রপতি বালিতে অনুষ্ঠিত ২০১৫ পরবর্তী উন্নয়ন পরিকল্পনার উপর জাতিসংঘের উচ্চপর্যায়ের কমিটির একটি সম্মেলনেও অংশগ্রহণ করেন।[১]
দুই দেশের মধ্যকার সমন্বয়ের প্রধান লক্ষ্য হল, উন্নয়নমূলক কার্যক্রম। সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার মাধ্যমে দুই দেশ তাদের সমন্বয় কার্যক্রম এগিয়ে নিতে বেশি আগ্রহী। ইন্দোনেশিয়া, শিল্প, কৃষি, মৎস্য চাষ, শিক্ষা, মানবসম্পদ উন্নয়ন প্রভৃতি ক্ষেত্রে, লাইবেরিয়ার সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং তাদের কারিগরি সহায়তা প্রদানে সম্মত হয়েছে। এর পাশাপাশি লাইবেরিয়ায় চালের উৎপাদন বৃদ্ধিতে কারিগরি সহায়তা প্রদানে ইন্দোনেশিয়া সম্মত হয়েছে। এছাড়াও উভয় দেশই বাণিজ্যের প্রসার বৃদ্ধিতে সম্মত হয়েছে[১][৩]
পূর্বের তুলনায়, ইন্দোনেশিয়া ও ও লাইবেরিয়া এর মধ্যকার বাণিজ্যের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং প্রতি বছর তা আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০১১ সালে এই দুই দেশের মধ্যকার বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৩০.৯ মিলিয়ন (৩.০৯ কোটি) মার্কিন ডলার। পরবর্তীতে ২০১২ সালে, তা বেড়ে গিয়ে হয়, ৩৯.৫ মিলিয়ন (৩.৯৫ কোটি) মার্কিন ডলার।[৪]