মুহাম্মদ ইবনে তুমার্ত | |||||
---|---|---|---|---|---|
![]() আলমোহাদের প্রতিষ্ঠাতা ও মাহদী ইবনে তুমার্তের স্পেনীয় খোদাই। | |||||
খলিফা | ১১২০–১১৩০ খ্রিস্টাব্দ | ||||
স্থলাভিষিক্ত | আব্দুল মুমিন বিন আলী আল কৌমি | ||||
জন্ম | ১০৭৭ খ্রি. সুস নগর, মরক্কো | ||||
মৃত্যু | ২০ আগস্ট, ১১৩০ তিনমিল, মরক্কো | ||||
| |||||
ধর্ম | ইসলাম (আশআরি) | ||||
পেশা | ধর্মপ্রচার, রাজনীতি |
ইবনে তুমার্ত ( ৪৭১/ ৪৭৪ হিজরি, [১] ১০৭৭ খ্রিস্টাব্দ [২]–১৩ রমজান, ৫২৪ হি./ ১১৩০) [৩] ছিলেন একজন মুসলিম রাজনীতিবিদ ও ধর্মপ্রচারক, যিনি খ্রিস্টীয় ১১ শতাব্দীর শেষ থেকে দ্বাদশ শতাব্দীর মধ্য সময় পর্যন্ত মরক্কোতে বসবাস করতেন এবং তাকেই মুওয়াহহিদিন রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তার পুরো নাম নিয়ে ঐতিহাসিকদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে।ইবনে খালদুনের মতে, তাঁর পুরো নাম হল মুহাম্মদ বিন আব্দুল্লাহ বিন ওয়াজলিদ বিন ইয়ামসাল বিন হামজা বিন ইস। অন্য ঐতিহাসিকরা ( ইবনে রাশিক ও ইবনুল কাত্তান ) বিশ্বাস করেন যে, তিনি মুহাম্মদ বিন তুমারত বিন তিতাউইন বিন সাফলা বিন মাসিফুন বিন ইকদিস বিন খালেদ। [৪]
মরক্কোতে আশআরি মতবাদ প্রসারে তাঁর লেখা একটি অপরিহার্য কারণ হিসেবে ভূমিকা পালন করেছিল। [৫] তিনি তাঁর লেখায় ইবনে হাজমের জাহিরি মতবাদের ধারণাগুলিকে মিশ্রিত করেন এবং এতে তাঁর মূল লক্ষ্য ছিল মালিকি আইনবিদদের প্রভাব হ্রাস করা, যা এর আগেকার যুগে মুরাবিতুন রাজবংশের সময় ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছিল।
তৎকালীন মুয়াহহিদিনরা তার নেতৃত্ব স্বীকার করে, যা মুয়াহহিদিন দাওয়াতের অন্যতম স্তম্ভ গঠন করে। তিনি ১১২১ খ্রিস্টাব্দে তার মিশন শুরু করেছিলেন, যা আল -মাহদি ইবনে তুমার্তের ধারণার উপর ভিত্তি করে ছিল। তিনি স্থিতিশীল উপজাতিদের তাঁর প্রতি আনুগত্যের প্রতিশ্রুতি দেওয়ার আহ্বান জানান এবং তাদের মধ্য থেকে একটি শক্তিশালী বাহিনী গঠন করেন, যার ফলে তিনি মুরাবিতুনদের নির্মূল করতে সক্ষম হয়েছিলেন। তিনি আব্দুল মুমিন ইবনে আলীকে তার প্রধান করেন। তিনি এভাবে একটি নতুন রাষ্ট্রের ভিত্তি স্থাপন করেন, যা মুওয়াহহিদিন রাজ্য নামে পরিচিত লাভ করে। [৬] [৭]
তিনি হলেন মুহাম্মাদ বিন তুমারত্ বিন আবদুল্লাহ বিন ইয়ামাসাল বিন তুমার্ত। তিনি হারজা অঞ্চল থেকে, যা মরোক্কোর সুসু আকসা অঞ্চলে আটলাসের বিপরীতে বসতি স্থাপনকারী মাসমুদা গোত্রের অন্তর্ভুক্ত,যা বার্বার উপজাতির একটি অন্যতম শাখা।[৮] শিশুকাল থেকেই তিনি তাকওয়া ও খোদাভীরুতায় প্রসিদ্ধ ছিলেন। তিনি সমাজ তার অধ্যয়ন এবং নামাজে অধ্যবসায়ের জন্যে আলাদাভাবে পরিচিত ছিলেন, এই পরিমাণে যে তিনি তার উপজাতির কাছে "আসফু" নামে পরিচিত ছিলেন, যার অর্থ মশাল। তিনি শামে তার অধ্যয়ন শেষ করতে এবং সেখানকার গুরুত্বপূর্ণ ইলমিকেন্দ্রগুলিতে নিজের জ্ঞানকে গভীর করার উদ্দেশে গিয়েছিলেন।
৫০১ হিজরিতে, তিনি কর্ডোবায় ভ্রমণ করেন, যেখানে তিনি সেখানকার আলিমদের কাছ থেকে শিক্ষা নেন। এরপর সমুদ্রপথে তিনি মিশর যান। তারপর মক্কা যান এবং হজ পালন করে ইরাকে চলে যান। ৫১০ হিজরি সালে তিনি উত্তর আফ্রিকা ফিরে যাওয়ার ইচ্ছা করেন এবং তার এই প্রত্যাবর্তন যাত্রা ৪ বছর স্থায়ী হয়েছিল। যাত্রা পথে তিনি মুসলিম দেশগুলিতে অবস্থান করেন, যাদের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল আলেকজান্দ্রিয়া, যেখানে তিনি নিজোর জ্ঞান ছড়িয়েছিলেন এবং ভালো কাজের আদেশ ও মন্দ কাজের নিষেধ করেন। এরপর তিনি পশ্চিমে ত্রিপোলিতে যান এবং আশয়ারী মতবাদ প্রচার করেন। তারপরে তিনি তিউনিসিয়ার মাহদিয়ায় চলে যান এবং সেখানে অধ্যয়নের জন্য তিনি একটি মসজিদ ব্যবহার করেন। সেখানে তিনি জ্ঞান ও নীতির প্রচারের প্রতি মনোনিবেশ করেন এবং এ কারণে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয় এবং তিনি এলাকা ত্যাগ করেন।[৪]
যাত্রাপথে কিছু ছাত্র তার সাথে যোগ দেয় এবং এরপর তিনি বেজায়ায় চলে যান। সেখানে তিনি আব্দুল মুমিন বিন আলী আল-কৌমির সাথে সাক্ষাৎ করেন। আব্দুল মুমিন বিন আলী জানতেন যে, তিনি খিলাফতের জন্য কী কাজ করছেন। ৫১৪ হিজরি সালে তিনি মারাকেশে যান এবং শহরে তিনি যে দুর্নীতি দেখেন সেসব কারণে তিনি নিজের ছাত্রদের সাথে রাস্তায় ও বাজারে ভালো কাজের আদেশ দিতে এবং মন্দ কাজের নিষেধ করার জন্য গিয়েছিলেন। এরফলে মুসলিমদের আমির তাকে মারাকেশ থেকে বহিষ্কার করেন এবং তারপরেই তিনি আগমাতে কাছে যান এবং আব্দুল মুমিন বিন আলী ও তাঁর দশজন সহচর ইবনে তুমারতকে প্রতীক্ষিত মাহদি হিসাবে তার কাছে আনুগত্যের প্রতিশ্রুতি দেন। কারণ তিনি নিজেকে নবী মুহাম্মদ সা. এর নাতি হুসেইন বিন আলীর বংশধর বলে দাবি করেছিলেন।[৪]
এর কিছুদিন পরেই তিনি তেমসেন এবং তারপর ফেজ ভ্রমণ করেন এবং সেখানে তিনি একটি মসজিদে তাঁর আসন স্থাপন করেন এবং তার ছাত্ররা বাদ্যযন্ত্র বিক্রির দোকানগুলিতে আক্রমণ করতে শুরু করে। যখন তার খবর শহরের গভর্নরের কাছে পৌঁছায়, তিনি একত্রিত হয়ে আইনজ্ঞদের মাধ্যমে তার সাথে তর্ক বিতর্ক করার আহ্বান জানান। যেহেতু এ লোকেরা নীতির সাথে নয়; বরং শাখাগত বিষয়ে পারদর্শী ছিল, তাই তারা সকলে ইবনে তুমারতের কাছে পরাজিত হয়। গভর্নরের কাছে তাকে ফেজ থেকে বহিষ্কার করা ছাড়া কোনো উপায় ছিল না। এরপর তিনি দেশের রাজধানী মারাকেশ যান এবং ফকীহগণ তার সাথে আবার বিতর্ক করেন; কিন্তু তিনি আবার তাদের পরাজিত করেন। এছাড়াও তিনি শহর থেকে বহিষ্কৃত হন এবং আগমাতে যান। তারপর সুস আল-আকসায় তার গ্রামে গিয়ে সেখানেই বসতি স্থাপন করেন।[৪]
তিনি এ দাবি করেছিলেন যে, তিনি আবু হামিদ আল-গাজালির সাথে দেখা করেন এবং তারপর মরক্কোতে ফিরে আসেন।
তিনি তার জ্ঞান ও ধার্মিকতার জন্য প্রশংসা পান এবং অনেক লোক তার সাথে এবং তার ধারণাগুলির সাথে সংযুক্ত হয়ে পড়ে, যাদের নেতৃত্বে ছিলেন আব্দুল মুমিন বিন আলী কৌমি, যিনি মালালা গ্রামে ইবনে তুমার্তের সাথে দেখা করেছিলেন এবং তার সাথে থাকতে পছন্দ করেছিলেন এবং তার পন্থা ও পথ অনুসরণ করুন। [৪]
তার ধর্মীয় ধারণার মূলকেন্দ্রবিন্দু ছিল একেশ্বরবাদের আহ্বানের উপর ভিত্তি করে অর্থাৎ এটা প্রমাণ করা যে আল্লাহ এক; তার কোন শরিক নেই। ইমাম আবু বকর আল সানহাজির 'আখবারু ইবনে তুমার্ত ওয়া ইবতিয়া দাওলাতুল মুওয়াহহিদিন' বইতে নিম্নলিখিতটি উল্লেখ করা হয়েছে:
...একেশ্বরবাদের সাথে নিজেদের ব্যস্ত রাখুন...। কারণ এটি আপনার ধর্মের ভিত্তি, যাতে আপনি স্রষ্টার সাদৃশ্য , বহুদেবতা, ত্রুটি, দিগন্ত, সীমানা দূর করে দেন এবং আল্লার জন্য কোনো দিক বা স্থান নির্ধারণ না করেন। তিনি স্থান ও নির্দেশের পূর্বেই বিদ্যমান, তাই যে ব্যক্তি তাকে একটি দিক ও স্থানে স্থাপন করে সে তার দেহ এবং তার দেহ থেকে তাকে একটি সৃষ্ট সত্ত্বাতে পরিণত করে এবং যে তাকে সৃষ্ট সত্তা হিসাবে স্থাপন করে সে একজন মূর্তিপূজারীর মত এবং সে চিরকাল দোযখে থাকবে। যে একেশ্বরবাদ শিখবে, সে তার গুনাহ থেকে এমনভাবে মুক্ত হবে, যেন তার মা তাকে আজই জন্ম দিয়েছেন এবং যদি সে এই অবস্থায় মারা যায় তবে সে জান্নাতীদের অন্তর্ভুক্ত হবে।[৯]
নিম্নলিখিতটি "আ'য়াজ্জু মা ইউতলাবু"-এ বর্ণনা করা হয়েছে:
ইবনে তুমার্ত লোকদের মাহদীর আহ্বান জানানো শুরু করেন এবং মানুষদের তার জন্যে আকাঙ্ক্ষিত করতে থাকেন। যখন তার সঙ্গীরা মাহদীর মর্যাদা বুঝতে পারে ; তখন তিনি নিজেকে মাহদি দাবি করেন এবং বলেন: “আমিই অদম্য মাহদী। আমি আল্লাহ ও রাসুল সম্পর্কে জানার ক্ষেত্রে সর্বোত্তম মানুষ। তিনি তাঁর আমাজিঘ বংশকে নবী মুহাম্মদ সা এর নাতি হুসাইন বিন আলীর বংশে পরিবর্তন করেন এবং তাই তাকে অনুকরণ করা প্রয়োজন এবং পার্থিব বিধি-বিধানসহ সবকিছু তাকে অর্পণ করা প্রয়োজন বলে প্রচার করা হয়।
ইবনে তুমার এ নীতি ও ধারণাগুলোকে ব্যাপক ব্যাখ্যা করা খুতবা ও বই আকারে প্রকাশ করেন। তিনি তাঁর অনুসারীদের প্রতিদিন ফজরের নামাযের পর সেসবের কিছু অংশ পড়তে বাধ্য করেন। তিনি আমাজি ভাষায় জুমার খুতবা প্রদানের প্রচলন করেছিলেন, যাতে এটি সম্ভব হতে পারে। [৪]
ইবনে তুমার্ত ভাল কাজের আদেশ এবং অসৎ কাজের নিষেধ করার আহ্বান জানিয়েছিলেন এবং তা করতে গিয়ে তিনি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের নির্দেশ বাস্তবায়ন করেছিলেন। বর্ণিত হয়েছে যে নবী বলেন:
"তোমাদের কেউ যদি কোনো খারাপ কিছু হতে দেখে তাহলে সমর্থ থাকলে সে যেন হাত দিয়ে প্রতিহত করে। এতে অপরাগ হলে সে যেন মুখ দিয়ে বাধাপ্রদান করে। এতেও অপরাগ হলে সে যেন অন্তর দিয়ে তা ঘৃণা করে এবং এটি ঈমানের সর্বনিম্ন স্তর"।[১০]
ইবনে তুমার্ত নিজ হাতে মন্দ কাজে বাধাপ্রদান করেন। আব্দুল ওয়াহেদ আল-মারাকেশী তার “আল-মুযযাব” বইতে উল্লেখ করেন যে,
(একদা ) যাত্রাপথে তিনি মুসলিম সেনাপতির বোন ও (আলি বিন ইউসুফ বিন তাশফিন) তার সাথে অনেক সুন্দরী নারী দাসীদের দেখতে পেলেন, তারা মুখমণ্ডল খোলা রেখেছিলেন। এটা মুরাবিতুনদের প্রথা ছিল যে, তাদের নারীদের মুখ অনাবৃত থাকত এবং পুরুষরা সব মুখোশ পরিহিত হয়ে থাকত। তিনি তাদের দেখে নিন্দা করেন এবং তাদের নিজেদেরকে ঢেকে রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
ইবনে তুমার্ত বৃহত্তর পশ্চিম আতলাস পাহাড় ও সুদূর মরক্কোর দক্ষিণে আতলাস পাহাড়ের বিপরীতে বসতি স্থাপনকারী মাসমুদা উপজাতিদের উপর নির্ভর করে নিজের কার্যক্রম পরিচালনা করেছিলেন। সেই সময়ে সানহাজা মরুভূমি গোষ্ঠীর মধ্যে বিদ্যমান উপজাতীয় দ্বন্দ্বের কাঠামোর মধ্যে অন্য উপজাতি গোষ্ঠীগুলির মধ্যে তারা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল।[৪]
৫১৮ হি /১১২৪ খ্রিস্টাব্দে ইবনে তুমার্ত উচ্চ আতলাসে অবস্থিত আগমত থেকে সরে এসে "তিনমেলে" বসতি স্থাপন করেন।তখন তিনি মুরাবিতদের আনুগত্য থেকে সরে এসে তার মাসমুদি উপজাতি এবং দুর্গম ভূখণ্ডে আশ্রয় নেওয়ার ঘোষণা দেন। মুওয়াহহিদিন সূত্রে তার এই পদক্ষেপকে মদিনায় মুহাম্মাদ সা. এর হিজরতের সাথে তুলনা করা হয়েছে। তিনি মাসমুদা উপজাতিদের আধ্যাত্মিক নেতা হয়ে ওঠেন।[৪]
ইবনে তুমার্ত রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলির নাম নবী সা. এর জীবনী থেকে চয়ন করেন:
এই সংগঠনগুলি উপজাতিদের তীব্র সাম্প্রদায়িক ও রাজনৈতিক প্রবৃত্তির জন্য অনুমতি দেয়। এর মাধ্যমে মুওয়াহহিদিন আন্দোলনের রাজনৈতিক লক্ষ্যসমূহ স্পষ্ট হয়ে ওঠে অর্থাৎ মুরাবিতুন শাসনের উৎখাত হয়।
ইতিহাসবিদ 'আব্দুল ওয়াহিদ মারাকেশী' তার আল-মুজাব ফি তালখিসি আখবারি মাগরিব গ্রন্থে বলেন :
মৃত্যুর আগে ইবনে তুমার্ত তার দলটির মুসলিম পুরুষদের ডেকে পাঠালেন, যাদের মধ্যে ওমর আরতাজ, ওমর, আবদুল্লাহ ইবনে সুলাইমান ছিলেন। তিনি তাদের বলেন: হে সম্প্রদায়, আল্লাহ তোমাদের সমর্থন দান করেছেন এবং তাঁর জন্য একত্ববাদের সত্যতা স্বীকার করা তোমাদের জন্য নির্দিষ্ট করেছেন।...তাই আল্লাহ তোমাদের উত্তম পথ দেখিয়েছেন; তোমাদের বিজয় দান করেছেন এবং বিভক্তির পর তোমাদের একত্র করেছেন। তোমাদের থেকে এই ধর্মত্যাগীদের কর্তৃত্ব সরিয়ে দিয়েছেন। তিনি তোমাদের তাদের জমি ও বাড়ি-ঘর দান করেছেন, যা তাদের হাতের অর্জন ছিল। তারা বলল, হ্যাঁ। তিনি বললেন, যতদিন আব্দুল মুমিন তোমাদের মধ্যে থাকবে ততদিন তোমাদের ব্যাপারে সে দায়িত্বে থাকবে। তারপর তিনি নিজ গৃহে প্রবেশ করলেন এবং তারপর থেকে কেউ তাকে দেখেনি অর্থাৎ তিনি মৃত্যুবরণ করেন।[১১] |
নিচের এই তালিকাটি ইবনে তুমার্তের গ্রন্থ আয়াজ্জু মা ইউতলাবু'র গবেষক ড. আব্দুল গণি আবুল আযমের গণনা মতে প্রস্তৃত করা হয়েছে :