ইবরাহিম ইসমাইল চুন্দ্রিগড় ابراہیم اسماعیل چندریگر | |
---|---|
![]() | |
পাকিস্তানের ৬ষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ১৭ অক্টোবর ১৯৫৭ – ১৬ ডিসেম্বর ১৯৫৭ | |
রাষ্ট্রপতি | ইস্কান্দার মীর্জা |
পূর্বসূরী | হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী |
উত্তরসূরী | ফিরোজ খান নুন |
পশ্চিম পাঞ্জাবের ৩য় গভর্নর | |
কাজের মেয়াদ ২৪ নভেম্বর ১৯৫১ – ২ মে ১৯৫৩ | |
সার্বভৌম শাসক | ষষ্ঠ জর্জ দ্বিতীয় এলিজাবেথ |
গভর্নর-জেনারেল | মালিক গোলাম মুহাম্মদ |
পূর্বসূরী | আবদুর রব নিশতার |
উত্তরসূরী | মিয়া আমিনউদ্দিন |
উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশের ৪র্থ গভর্নর | |
কাজের মেয়াদ ২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৫০ – ২৩ নভেম্বর ১৯৫১ | |
সার্বভৌম শাসক | ষষ্ঠ জর্জ |
গভর্নর-জেনারেল | খাজা নাজিমউদ্দিন মালিক গোলাম মুহাম্মদ |
পূর্বসূরী | সাহেবজাদা মুহাম্মদ খুরশিদ |
উত্তরসূরী | খাজা শাহাবউদ্দিন |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | আহমেদাবাদ, বোম্বে প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত | ১৫ এপ্রিল ১৮৯৮
মৃত্যু | ১৩ মার্চ ১৯৬৮ লাহোর, পাকিস্তান | (বয়স ৬৯)
রাজনৈতিক দল | মুসলিম লীগ |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | বোম্বে বিশ্ববিদ্যলয় |
ইবরাহিম ইসমাইল চুন্দ্রিগড় (উর্দু: ابراہیم اسماعیل چندریگر; আই. আই. চুন্দ্রিগড় নামে পরিচিত) (১৫ এপ্রিল ১৮৯৮ - ১৩ মার্চ ১৯৬৮) ছিলেন পাকিস্তানের ৬ষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী।
তিনি ১৮৯৮ সালের ১৫ এপ্রিল ব্রিটিশ ভারতের বোম্বে প্রেসিডেন্সির আহমেদাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বোম্বে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষালাভ করেছেন।[১]
বোম্বে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্জন করার পর তিনি আহমেদাবাদে আইনজীবী হিসেবে কাজ শুরু করেন। ১৯১৪ সালে তিনি আহমেদাবাদ পৌরসভার সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৩৭ সালে তিনি বোম্বে আইন পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। একই বছর তিনি বোম্বে হাইকোর্টে আইনজীবী হিসেবে যোগ দেন।[১]
১৯৩৮ সালে তিনি মুসলিম লীগ পার্লামেন্টারি পার্টির ডেপুটি লিডার নির্বাচিত হন। ১৯৪০ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত তিনি বম্বে প্রাদেশিক মুসলিম লীগের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। ব্রিটিশদের নিকট থেকে ক্ষমতা হস্তান্তরের পূর্বে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে তিনি বাণিজ্য মন্ত্রীর দায়িত্বপালন করেছেন।[১]
পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর গঠিত প্রথম মন্ত্রিসভায় তিনি বাণিজ্য মন্ত্রী ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি আফগানিস্তানে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত, উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ ও পশ্চিম পাঞ্জাবের গভর্নর এবং পাকিস্তানের আইনমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।[১]
১৯৫৭ সালে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী পদত্যাগ করার পর রাষ্ট্রপতি ইস্কান্দার মীর্জা কর্তৃক চুন্দ্রিগড় অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হন। কৃষক শ্রমিক পার্টি, নেজামে ইসলাম, মুসলিম লীগ ও রিপাবলিকান পার্টির সমন্বয়ে তার জোট সরকার গঠিত হয়েছিল। নির্বাচনী আইন সংশোধন করে দেশে স্বতন্ত্র নির্বাচন প্রয়োগ করতে হবে এই শর্তে মুসলিম লীগ রিপাবলিকান পার্টির সাথে জোটে যোগ দিয়েছিল। কিন্তু জোটের শরিক দলগুলির মধ্যে মতপার্থক্য দেখা দেয়। এরপর ইস্কান্দার মীর্জা তাকে পদচ্যুত করেন।[১]
করাচির একটি সড়কের নাম তার স্মরণে আই. আই. চুন্দ্রিগড় রোড রাখা হয়েছে।
রাজনৈতিক দপ্তর | ||
---|---|---|
পূর্বসূরী মুহাম্মদ ইবরাহিম খান ঝাগরা ভারপ্রাপ্ত |
উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশের গভর্নর ১৯৫০–১৯৫১ |
উত্তরসূরী খাজা নাজিমউদ্দিন |
পূর্বসূরী আবদুর রব নিশতার |
পাকিস্তানের পাঞ্জাবের গভর্নর ১৯৫১–১৯৫৩ |
উত্তরসূরী মিয়া আমিনউদ্দিন |
পূর্বসূরী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী |
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ১৯৫৭ |
উত্তরসূরী ফিরোজ খান নুন |