ইভা মারি সেন্ট | |
---|---|
Eva Marie Saint | |
![]() ১৯৯০ সালে ইভা মারি সেন্ট | |
জন্ম | নেওয়ার্ক, নিউ জার্সি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র | ৪ জুলাই ১৯২৪
জাতীয়তা | মার্কিন |
শিক্ষা | অভিনয় |
মাতৃশিক্ষায়তন | বোলিং গ্রিন স্টেট বিশ্ববিদ্যালয় |
পেশা | অভিনেত্রী |
কর্মজীবন | ১৯৪৬-বর্তমান |
দাম্পত্য সঙ্গী | জেফ্রি হেইডেন (বি. ১৯৫১; মৃ. ২০১৬) |
সন্তান | ২ |
ইভা মারি সেন্ট (ইংরেজি: Eva Marie Saint; জন্ম: ৪ জুলাই ১৯২৪)[১] হলেন একজন মার্কিন অভিনেত্রী। ৭০ বছর দীর্ঘ তার কর্মজীবনে তিনি তার কাজের স্বীকৃতি হিসেবে একটি একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন, পাঁচটি এমি পুরস্কারের মনোনয়ন হতে একটি পুরস্কার লাভ করেন, এবং দুটি বাফটা পুরস্কার ও একটি গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।
মারি সেন্ট এলিয়া কাজান পরিচালিত অন দ্য ওয়াটারফ্রন্ট (১৯৫৪) ও নর্থ বাই নর্থওয়েস্ট (১৯৫৯) চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য প্রসিদ্ধ। অন দ্য ওয়াটারফ্রন্ট চলচ্চিত্রে তার অভিনয়ের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কার অর্জন করেন। তিনি ১৯৫৭ সালে আ হ্যাটফুল অব রেইন চলচ্চিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ বিদেশি অভিনেত্রী বিভাগে বাফটা পুরস্কার ও শ্রেষ্ঠ নাট্য চলচ্চিত্র অভিনেত্রী বিভাগে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। তার অভিনীত অন্যান্য উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রগুলো হল রেইনট্রি কান্ট্রি (১৯৫৭), এক্সোডুস (১৯৬০), দ্য রাশিয়ান্স আর কামিং, দ্য রাশিয়ান্স আর কামিং (১৯৬৫), গ্র্যান্ড প্রিক্স (১৯৬৬), নাথিং ইন কমন (১৯৮৬), বিকজ অব উইন-ডিক্সি (২০০৫), সুপারম্যান রিটার্নস (২০০৬), ও উইন্টার্স টেল (২০১৪)।
টেলিভিশনে তিনি দ্য ফিলকো টেলিভিশন প্লেহাউজ ধারাবাহিকের "মিডল অব দ্য নাইট" পর্ব (১৯৫৫), প্রডিউসার্স শোকেজ অনুষ্ঠানের "আওয়ার টাউন" পর্ব (১৯৫৬), হাউ দ্য ওয়েস্ট ওয়াজ ওন (১৯৭৭), ট্যাক্সি (১৯৭৮)-এর জন্য এমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন এবং পিপল লাইক আস (১৯৯০) ধারাবাহিকে তার কাজের জন্য মিনি ধারাবাহিক বা বিশেষ অনুষ্ঠানে সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে এমি পুরস্কার লাভ করেন।
ইভা মারি সেন্ট ১৯২৪ সালের ৪ঠা জুলাই নিউ জার্সির নিওয়ার্কে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা জন মার্লে সেন্ট (১৮৯১-১৯৬৫) ও মাতা ইভা মারি (জন্ম: রাইস, ১৮৯৬-১৯৮৭)।[২] তিনি নিউ ইয়র্কের ডেলমারের বেথেলহেম সেন্ট্রাল হাই স্কুলে পড়াশোনা করেন এবং ১৯৪২ সালে সেখান থেকে পড়াশোনা সমাপ্ত করেন। ২০০৬ সালে এই বিদ্যালয়ের হল অব ফেমে তার নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তিনি বোলিং গ্রিন স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিনয়ের পাঠ গ্রহণ করেন এবং ডেল্টা গামা সররিটিতে যোগ দেন। তার নামানুসারে বোলিং গ্রিনের একটি মঞ্চের নামকরণ করা হয়। তিনি মঞ্চ দল থেটা আলফা পাইয়ের সক্রিয় সদস্য ছিলেন এবং ১৯৪৪ সালে বোলিং গ্রিন শিক্ষার্থী সরকারের সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করেন।
সেন্টের চলচ্চিত্র অভিষেক ঘটে অন দ্য ওয়াটারফ্রন্ট (১৯৫৪) চলচ্চিত্র দিয়ে। এলিয়া কাজান পরিচালিত ছবিটিতে তিনি মার্লোন ব্রান্ডোর বিপরীতে অভিনয় করেন। এই ছবিতে এডি ডয়েল চরিত্রে তার অভিনয়ের জন্য তিনি ক্লেয়ার ট্রেভর, নিনা ফাশ, ক্যাটি জুরাডো ও জ্যান স্টার্লিংদের অভিনেত্রীদের ছাপিয়ে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কার অর্জন করেন। পুরস্কার গ্রহণকালে তিনি নয়মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন।[৩] এছাড়া তিনি তার এই কাজের জন্য সেরা সম্ভাবনাময় নবাগত বিভাগে বাফটা পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস-এর চলচ্চিত্র সমালোচক এ. এইচ. ওয়েলার লিখেন, "টিভি ও ব্রডওয়ে থেকে চলচ্চিত্র আগত নবাগত ইভা মারি সেন্টকে নেওয়ার ব্যাপারে কাজান সাহেব সুন্দর ও দীপ্তিময় শিল্পের পরিচয় দিয়েছেন, যিনি এই সকল বৈশিষ্টের উপর নির্ভরশীল ছিলেন না। তার সীমাবদ্ধ বিদ্যালয়ের প্রশিক্ষণ সম্পূর্ণ অপরিচিত ব্যক্তির সাথে প্রণয়ে লিপ্ত হতে বাধা দেয়নি। যুদ্ধক্ষেত্রের দৃশ্যের মধ্যেও তিনি কোমল ও অনুভূতিসম্পন্ন প্রণয়ের অভিনয় করে গেছেন।"[৪]
সেন্ট ১৯৫১ সালের ২৮শে অক্টোবর প্রযোজক ও পরিচালক জেফ্রি হেইডেনকে বিয়ে করেন। তাদের দুই সন্তান রয়েছে, পুত্র ড্যারেল হেইডেন ও কন্যা লরেট হেইডেন।[৫] তার পুত্র ড্যারেলের জন্ম হয় অন দ্য ওয়াটারফ্রন্ট-এর জন্য একাডেমি পুরস্কার গ্রহণের দুই দিন পর।[৬] সেন্ট ও হেইডেনের চার নাতি-নাতনী রয়েছে। হেইডেন ২০১৬ সালের ২৪শে ডিসেম্বর ৯০ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।[৭] ২০২৪ সালের ৪ঠা জুলাই সেন্ট শতবর্ষে পদার্পণ করেন।[৮][৯]