দেওবন্দি আন্দোলন |
---|
সিরিজের অংশ |
হাজি ইমদাদউল্লাহ মুহাজির মাক্কি (৩১ ডিসেম্বর ১৮১৭ – ১৮ অক্টোবর ১৮৯৯)[১] ছিলেন ভারতের একজন মুসলিম পণ্ডিত ও চিশতি তরিকার সুফি। তার নেতৃত্বে শামলীর যুদ্ধ হয়।[২][৩] তিনি মিয়াজি নূর মুহাম্মদের খলিফা এবং নজিব আলী চৌধুরীর ওস্তাদ ছিলেন।[৪]
হাজি ইমদাদউল্লাহ মুহাজির মাক্কি ভারতের উত্তর প্রদেশের সাহারানপুর জেলার নানূতা অঞ্চলে আরবি ২২শে সফর ১২৩৩ হিজরী মোতাবেক ১৮১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। বংশের দিক থেকে তিনি ছিলেন ফারুকি অর্থাৎ উমর ফারুকের বংশধর। তার তিনজন ভাই ছিলেন, তন্মধ্যে জুলফিকার ও ফিদা হুসাইন তার বড় এবং বাহাদুর আলি শাহ তার ছোট ছিলেন এবং বী ওয়াযিরুন্নিসা নামে তার এক ছোট বোনও ছিল।জন্মের পর তার আব্বাজান তার নাম রাখেন ইমদাদ হুসাইন এবং তার ঐতিহাসিক নাম রাখা হয়েছিল জাফর আহমদ (1233)। কিন্তু তৎকালীন মুহাদ্দিস শাহ মুহাম্মদ ইসহাক এটি শোনার পর অসন্তুষ্ট হন এবং নাম বদলিয়ে ”ইমদাদউল্লাহ” রাখতে বলেন। তাকে “খোদা বখশ” ও “আবদুল করিম” বলেও ডাকা হত। তিন বছর বয়সে তাকে সাইয়েদ আহমদ শহীদের কাছে পাঠানো হয়। সাইয়েদ আহমদ শহীদ তার জন্য দোয়া করেন।
ইমদাদউল্লাহর সাত বছর বয়সে তার মা বিবি হূসাইনি বিনতে শায়েখ আলী মূহাম্মদ সিদ্দীকি নানুতুবী মৃত্যুবরণ করেন। তার আম্মাজান তাকে এতটাই স্নেহ করতেন যে তার শেষ অসিয়তে উল্লেখ ছিল, “আমার এই ইচ্ছাকে সম্মান কর, আমার সন্তানকে যেন কেউ স্পর্শ না করে”। এর তাৎপর্য এই যে কেউ যেন তার দিকে ক্ষতির বা বদনজরে না তাকায়। পরে তার অসিয়ত কঠোরভাবে মান্য করা হয় ফলস্বরূপ ইমদাদউল্লাহর শিক্ষা খুব একটা গুরুত্ব পায়নি।
তবে কারো উৎসাহ ছাড়া তিনি ২৩ বছর বয়সে কুরআন মুখস্থ করেন। নয় বছর বয়সে তিনি মাওলানা মামলুক আলির সাথে দিল্লি যান। সেখানে তিনি আরবি ও ফারসি ব্যাকরণ শিক্ষালাভ করেন। এরপর তিনি মুহাম্মদ কালান্দার মুহাদ্দিস জালালাবাদির তত্ত্বাবধানে মিশকাতুল মাসাবিহ ও মাওলানা আবদুর রহিম নানুতুবির তত্ত্বাবধানে ফিকহুল আকবর অধ্যয়ন করেন। এছাড়াও তিনি জালাল উদ্দিন মুহাম্মদ রুমির মসনবি অধ্যয়ন করেন।