ইমরান হাশমী | |
---|---|
জন্ম | সৈয়দ ইমরান আনোয়ার হাশমী ২৪ মার্চ ১৯৭৯ বম্বে, মহারাষ্ট্র, ভারত |
শিক্ষা | জমনাবাঈ নরসী স্কুল |
মাতৃশিক্ষায়তন | সিডেনহাম কলেজ মুম্বই বিশ্ববিদ্যালয় |
পেশা | অভিনেতা |
কর্মজীবন | ২০০৯–বর্তমান |
দাম্পত্য সঙ্গী | পারভীন শাহানী (বি. ২০০৬) |
সন্তান | ১ |
আত্মীয় | দেখুন ভট্ট পরিবার |
সৈয়দ ইমরান আনোয়ার হাশমী (উচ্চারিত [ɪmraːn ˈɦaːʃmi]; জন্ম ২৪ মার্চ ১৯৭৯) একজন ভারতীয় অভিনেতা যিনি মূলত হিন্দি সিনেমাতে আবির্ভূত হন। হাশমী তিনটি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার মনোনয়ন লাভ করেছেন।[১][২]
ইমরান হাশমির বাবা আনোয়ার হাশমী এবং মা মাহেররা হাশমী। ইমরান হাশমীর বাবা মুসলিম এবং মা একজন রোমান ক্যাথলিক।[৩] তিনি তার নামের প্রথম অংশ ফারহান বাদ দিয়ে আসল নাম ইমরান হাশমী রাখেন। তিনি মুম্বায়ের স্যদেনহাম কলেজ থেকে গ্রাফিক এবং এনিমেটেডের উপর পড়া লেখা করেছেন।
ইমরান হাশমীর অভিনয় জীবনের শুরু হয় ফুটপাথ (২০০৩) ছবির মাধ্যমে, তবে বক্স অফিসে খুব একটা সাড়া ফেলেনি । পরের বছর সহ অভিনেত্রী মল্লিকা শেরওয়াত এর সাথে মার্ডার (২০০৪) ছবিটা বক্স অফিসে তুমুল আলোড়ন সৃষ্টি করে। ২০০৫ সালে আদিত্য দত্ত পরিচালিত আশিক বানায়া আপনে এবং পরিচালক মোহিত সুরীর কলিযুগ ছবিতে অভিনয় করেন । তবে এ গুলি মাঝারি মানের ব্যবসা করে। ২০০৬ সালে গ্যাংস্টার সেমি হিট হয় এবং আকছার ও কিলার ছবি গুলো ফ্লপ হয়। ২০০৭ সালে তিনটি ছবি করেন তার মধ্যে আওয়ারাপান মোটামুটি ব্যবসা করে এবং গুড বয় ব্যাড বয়, দ্যা ট্রেন ছবি গুলো বক্স অফিসে সাফল্য অর্জনে ব্যর্থ হয়। ২০০৮ সালে জান্নাত ছবিটা ব্যবসায়ীক এবং সমলোচনার দিক দিয়ে ১০০ ভাগ সফল হয় । তার অভিনয়েও আছে ভিন্ন রকম ভঙ্গীমা যা বিরল । তার পরবর্তী ছবি ওয়ান্স আপন আ টাইম ইন মুম্বাই (২০১০) তার অভিনয় দক্ষতার পরিচায়ক। পরবরতিতে তার ছবি মার্ডার ২(২০১১), জান্নাত ২ (২০১২) ব্যাপক সফলতা পায়। তার ছবি সাংহাই (২০১২) তার অভিনয় প্রতিভাকে বিকশিত করেছে। তিনি বলিউডে সিরিয়াল কিসার ও চুম্বন দেবতা নামে পরিচিত।
বছর | চলচ্চিত্রের নাম | চরিত্র | টীকা |
---|---|---|---|
২০০৩ | ফুটপাথ | রাগু শ্রিবাস্তাব | |
২০০৪ | মার্ডার | সানি | |
তুমসে নেহি দেখা | দাখাস মিতাল | ||
২০০৫ | জেহের | সিদ্ধার্থ মেহরা | |
আশিক বানায়া আপনে | বিক্রম মাথুর | ||
চকলেট | দেবা | ||
কলিযুগ | আলী ভাই | ||
২০০৬ | জাওয়ানী দিওয়ানী | মন কাপুর | |
আকসার | রিকি শর্মা | ||
গ্যাংস্টার | আকাশ | মনোনয়ন, সেরা নেতিবাচক চরিত্রে অভিনয়ের জন্য ফিল্মফেয়ার পুরস্কার | |
দা কিলার | নিখিল জোশি | ||
দিল দিয়া হ্যাঁয় | সাহিল খান্না | ||
২০০৭ | গুড বয় ব্যাড বয় | রাজু মালহুত্রা | |
আওয়ারপন | সিবাম | ||
দা ট্রেন | বিশাল দিক্সিট | ||
২০০৮ | জান্নাত | অর্জুন | |
২০০৯ | রাজ দা মিস্ট্রি কোন্টিনিউ | প্রিথবী সিং | |
তুম মিলে | অক্ষয় | ||
২০১০ | ওয়ান্স আপওন এ টাইম ইন মুম্বাই | শোয়েব খান | মনোনয়ন, সেরা পাশ্ব অভিনেতা হিসেবে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার |
ক্রুক | জয় দিক্সিট/সুরাজ বাহাদ্বায | ||
২০১১ | দিল ত বাচ্চা হে জি | অভয় সুরি | |
মার্ডার ২ | অর্জুন ভাগয়াত | ||
দা ডার্টি পিকচার | আব্রাহাম | ||
২০১২ | জান্নাত ২ | সনু দিল্লি কেকেসি(কুত্তী কামিনি চিজ) | |
সাংহাই | জোগিন্দার পারমার | ||
রুশ | সামার গ্রুবার | ||
রাজ ৩ডি | আদিত্য | ||
২০১৩ | গাহানচাকার | সাঞ্জয় আত্রে | |
এক থি দায়ান | বোবো | ||
২০১৪ | উংলি | নিখিল | |
রাজা নাটয়ারলাল | মিথিলেশ 'রাজা' কুমার | ||
২০১৫ | টাইগারস | আয়ান | পোস্ট-প্রোডাকশন |
মি. এক্স | ডঃ বিক্রম সিং/মি.এক্স | ||
হামারি আধুরি কাহানী | আরাভ রূপরেল | ||
২০১৬ | _ | ||
২০১৭ | বাদশাহো | ||
২০১৮ | _ | ||
২০১৯ | হোয়াই চিট ইন্ডিয়া
দ্য বার্ড অফ ব্লাড দ্য বডি |
রাকেশ কুমার সিং
কবির আনন্দ/অ্যাডোনিস
|
ইমরান হাশমী ক্যান্সার হতে আরোগ্য লাভকারী তার ছেলে আয়ানকে নিয়ে একটি বই লেখেন।বইটির নাম "The Kiss of Life: How a Superhero and My Son Defeated Cancer".
বইটিতে সহকারী লেখক হিসেবে কাজ করেছেন বিলাল সিদ্দিকী।
পেংগুইন প্রকাশনী হতে গ্রন্থটি ২০১৬ সালে এপ্রিল মাসে প্রকাশিত হয়।