ইয়ং মেইলেই | |
---|---|
জন্ম | ক্রিস্টোফার বেলার্ড ১৭ জুন ১৯৭৯ |
অন্যান্য নাম | ইয়ং মেইলেই |
পেশা |
|
কর্মজীবন | ২০০০–বর্তমান |
আত্মীয় | শন ফন্টেনো (কাজিন) |
সঙ্গীত কর্মজীবন | |
ধরন | |
বাদ্যযন্ত্র | কণ্ঠ |
লেবেল |
|
ক্রিস্টোফার বেলার্ড[১][২] (জন্ম ১৭ জুন ১৯৭৯), যিনি তার মঞ্চনাম ইয়ং মেইলেই নামেও পরিচিত, হলেন ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলস থেকে আগত একজন মার্কিন র্যাপার, কণ্ঠ ধারক এবং অভিনেতা। ২০০৪ সালের ভিডিও গেম গ্র্যান্ড থেফট অটো: স্যান অ্যান্ড্রিয়াস-এ মূল চরিত্র ও নায়ক কার্ল "সিজে" জনসনের চরিত্রায়নের জন্য তিনি সর্বাধিক পরিচিতি লাভ করেন।
ক্রিস্টোফার বেলার্ড লস অ্যাঞ্জেলসের একটি দরিদ্র ও অপরাধপ্রবণ এলাকায় বেড়ে ওঠেন। পারিপার্শ্বিক গ্যাং সংস্কৃতি ও গ্যাংস্টা র্যাপ ধাঁচের সঙ্গীতের তখনকার জনপ্রিয়তা র্যাপার হিসেবে তার কর্মজীবনকে অনুপ্রেরণা দেয়। বেলার্ড অভিনেতা/কণ্ঠাভিনেতা শন ফন্টেনোর নিকটসম্পর্কের ভাই। ফন্টেনো গ্র্যান্ড থেফট অটো ৫-এর অন্যতম প্রধান চরিত্র ফ্রাংকলিন ক্লিনটন হিসেবে চরিত্রায়ন করেন।[৩]
২০০০ সালে অবশেষে তার সঙ্গীতজীবনের সূচনা ঘটে। কিং টিয়ের সহযোগিতায় মেইলেই ২০০০ সালে কিলা টেইয়ের থাগ থিসল-এ #১ হটেস্ট কোস্ট (কিলা ক্যালি)-এর সাথে প্রথম আবির্ভূত হন। পরবর্তীতে ২০০২ সালে তিনি রডনি ও অ্যান্ড জো কুলির সামার হিটে আবির্ভূত হন। তখন থেকে তিনি ওয়েস্ট কোস্টের উন্মুক্ত বেশ কিছু গানের দৃশ্যে আবির্ভূত হন। মেইলেই কিং টিয়ের অ্যালবাম রুথলেস ক্রনিকল-এর অধিকাংশ গানই রচনা করেছিলেন।[৪] ২০০৫ সালে তিনি জিটিএ স্যান অ্যান্ড্রিয়াসের থেকে টাকা নিয়ে স্বতন্ত্র লেবেল প্রতিষ্ঠা করেন এবং সেই বছরেই তার মিক্সটেপের অভিষেকমূলক গান প্রকাশিত হয়।
২০০৬ সালে মেইলেই দিয়া খানের হোয়াট উইল ইট বি-এর গানের দৃশ্যে তাকে ফিচার করা হয়। একই বছর তিনি ডিজে ক্র্যাজি টুনসের সিটি এক্সপেরিয়েন্সে আবির্ভূত হন। এটিই হলো ডিজে ক্র্যাজি টুনস, ডব্লিউসি অ্যান্ড ইয়ং মেইলেই ত্রৈতের প্রথম সহযোগী গান। ২০০৭ সালে তিনজন একসাথে মেইলেইয়ের দ্য রিয়েল কোস্ট গার্ড অ্যালবামে কাজ করতে শুরু করেন। ২০০৮ সালে অ্যালবামটি মুক্তি পায় এবং পরবর্তীতে সেই বছরই ডব্লিউসি বিগ সোয়াং/লেঞ্চ মবের জন্য মেইলেইয়ের সাথে যান।
২০০৬ সালে আইস কিউব ও ডব্লিউসির রেকর্ড বাইরে রেখে লেঞ্চ মব রেকর্ডস প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তীতে অন্যান্যরাও এতে যোগ দেন, বিশেষ করে ইয়ং মেইলেই, যিনি আইস কিউবে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত ছিলেন।[৫] ডিজে ক্র্যাজি টুনস মেইলেইয়ের জন্য দুইটি ব্লগ খুলেছিল, যার প্রথমটি হলো হু'জ ইয়ং মেইলেই? মিক্স ব্লগ[৬] এবং দ্বিতীয়টি হলো ইয়ং মেইলেই, ডব্লিউসি অ্যান্ড ব্যাড লুক মিক্স ব্লগ।[৭] ইয়ং মেইলেই, ডব্লিউ সি ও ক্র্যাজি টুনস তিনটি অ্যালবামে কাজ করেন। আই অ্যাম দ্য ওয়েস্ট অ্যালবামে আইস কিউবের ই'অল নো হু আই অ্যাম এবং টু ওয়েস্ট কোস্ট নামক দুইটি ট্র্যাকে ইয়ং মেইলেইকে ফিচার করা হয়। ২০১০ সালে ইয়ং মেইলেই ডিজে প্রিমিয়ার প্রেজেন্টস ইয়ার রাউন্ড রেকর্ডস - গেট ইউজড টু আস নামক অ্যালবামের দুইটি ট্র্যাকে ফিচারকৃত হন। দুইটি ট্র্যাকের মধ্যে "টেম্পটেশন" নামক ট্র্যাকটি ইয়ং মেইলেইয়ের একক পরিবেশনা ছিল, যেখানে অন্য ট্র্যাকটি "আই'ন্ট নাটিন' চ্যাঞ্জড (রিমিক্স)" ছিল ব্ল্যাক পোয়েট এবং এমসি আইহটের সাথে মিশ্র পরিবেশনা।
একটি সাক্ষাৎকারে নতুন অ্যালবাম সম্পর্কে মেইলেই বলেন:
“ | Yeah, I'm working on an album. But I will not tell the title again! (laughs) And we gonna know when we're gonna drop it. But I got something that I wanna put out. I was gonna call it "Brushfires and Earthquakes", cause that's California all day. On the brushfire side I come with just straight heat spittin' . And then on the earthquake side I'm coming for that like to get out there in traffic and show you they got some sounds. But that's gonna be more or less like a mixtape. The album is in the works. I'm not trying to just take songs that I didn't use off my mixtape and put it on a CD and call it my album. I can't really put no timeline on it, we're working everyday. So it ain't the fact about getting songs done or nothing like that, timing is everything man.[৮] | ” |
ওবিজি রাইডার ক্লিক হলো ইয়ং মেইলেইয়ের ত্রৈত র্যাপ (ইয়ং ড্রে দ্য ট্রুথ এবং কিলা পোল্ক-এর সাথে)। এই তিনজন একসাথে ইয়ং ড্রেয়ের রেভোলিউশন ইন প্রগ্রেস দ্য মুভমেন্ট-এ এবং লেট'স গেট দ্য গেম ব্যাক রাইটে সর্বপ্রথম আবির্ভূত হয়। এছাড়া পরবর্তীতে কম্পটন ক্যাভি, ড্রেস্টা এবং বিজি নক আউটের সাথে ক্যালি লুভ মিক্সটেপ ওয়াজ ইনডিড-এ আবির্ভূত হন।
রকস্টার গেমসের কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনারত অবস্থায় ডিজে পুহ মেইলেইকে টেলিফোন করেন, যখন মেইলেই নিউ ইয়র্কে তার কাজে ব্যস্ত ছিলেন। তারা টেলিফোনের স্পিকারে শোনা একটি গানের ব্যাপারে আলোচনা করেন, যা মেইলেইয়ের নিকট অপরিচিত ছিল। আলোচনা শোনার পর রকস্টার কর্মকর্তারা মেইলেইকে অডিশনে আনার জন্য পুহকে উৎসাহিত করে। কয়েক সপ্তাহ পর রকস্টার কর্তৃপক্ষ অডিশনের ধারণকৃত কণ্ঠ পর্যবেক্ষণ এবং মেইলেইকে গ্র্যান্ড থেফট অটো: স্যান অ্যান্ড্রিয়াস-এর প্রধান চরিত্র, কার্ল "সিজে" জনসন চরিত্রে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।[৯]
গেমে মেইলেই স্যামুয়েল এল. জ্যাকসন, জেমস উডস, পিটার ফন্ডা, ক্লিফটন পাওয়েল, ফাইজন লাভ, বিগ বয়, ডেভিড ক্রস, অ্যান্ডি ডিক, ক্রিস পেন, ড্যানি ডায়ার, ফ্র্যাঙ্ক ভিনসেন্ট, সারা তানাকা, চার্লি মার্ফি, উইলিয়াম ফিচনার প্রমুখ অভিনেতা, আইস-টি, এমসি আইহট, চাক ডি, দ্য গেম, কিড ফ্রস্ট ও ইয়ো-ইয়ো প্রমুখ র্যাপশিল্পী এবং জর্জ ক্লিনটন, অ্যাক্সল রোজ ও শোন রাইডার প্রমুখ সঙ্গীতশিল্পীদের মতো জনপ্রিয় ব্যক্তিদের সাথে প্রধান ভূমিকায় কাজ করেন।
মেইলেইনিয়াম মিউজিক হলো ক্যালিফোর্নিয়ার স্টুডিও সিটিভিত্তিক ইয়ং মেইলেইয়ের নিজস্ব স্বতন্ত্র রেকর্ড লেবেল। তার মিক্সটেপগুলো এই লেবেল থেকে প্রকাশিত হয়।
বছর | শিরোনাম | চরিত্র | টীকা |
---|---|---|---|
২০০৪ | দ্য ইন্ট্রোডাকশন | কার্ল জনসন | গ্র্যান্ড থেফট অটো: স্যান অ্যান্ড্রিয়াসের গেম ইঞ্জিনের ওপর ভিত্তি করে নির্মিত এই স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে গেমটির পটভূমি ব্যাখ্যা করা হয়। |
বছর | শিরোনাম | ভূমিকা | টীকা |
---|---|---|---|
২০০৪ | গ্র্যান্ড থেফট অটো: স্যান অ্যান্ড্রিয়াস | কার্ল জনসন | |
২০২১ | গ্র্যান্ড থেফট অটো ৬ | পুনর্নির্মাণ |
বছর | শিরোনাম | ভূমিকা | টীকা |
---|---|---|---|
২০১৪ | দ্য ব্রোডিজ | মারিও | অজানা সংখ্যক পর্ব |
২০১৮ | ডগস্টার: হাই স্কুল ২ |