ইয়াকভ আই পেরেলম্যান | |
---|---|
![]() ইয়াকভ পেরেলম্যান (১৯১০ খ্রি.) | |
জন্ম | বিয়ালিস্টক, কংগ্রেস পোল্যান্ড | ৪ ডিসেম্বর ১৮৮২
মৃত্যু | ১৬ মার্চ ১৯৪২ লেনিনগার্ড, সোভিয়েত ইউনিয়ন | (বয়স ৫৯)
পেশা | লেখক |
ভাষা | রাশিয়ান |
জাতীয়তা | সোভিয়েত |
নাগরিকত্ব | সোভিয়েত ইউনিয়ন |
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান | ইম্পিরিয়াল ফরেস্ট্রি ইনস্টিটিউট (বর্তমানে সেন্ট পিটার্সবার্গ স্টেট ফরেস্ট টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি) |
বিষয় | বিজ্ঞান |
উল্লেখযোগ্য রচনাবলি |
|
ইয়াকভ পেরেলম্যান (English: Yakov Isidorovich Perelman, Russian: Яков Исидорович Перельман; ৪ ডিসেম্বর ১৮৮২ - ১৬ মার্চ ১৯৪২) সোভিয়েত রাশিয়ার একজন বিশিষ্ট বিজ্ঞান বিষয়ক লেখক। তার উল্লেখযোগ্য বই গুলির মধ্যে পদার্থবিদ্যার মজার কথা খুবই পরিচিত। এটি ছড়াও তিনি আরো বিজ্ঞান বিষয়ক বই লিখেছেন। মূল লেখা রাশিয়ান ভাষায় লেখা হলেও পরবর্তীতে তার লিখিত বই গুলি মির প্রকাশনী ইংরেজি ও বাংলায় প্রকাশ করে।[১]
ইয়াকভ পেরেলম্যান ১৮৮২ সালের ৪ ডিসেম্বর তৎকালীন রাশিয়ান পোল্যান্ডের (কংগ্রেস পোল্যান্ড) অন্তর্গত বিয়ালিস্টক শহরে জন্ম গ্রহণ করেন। এরপর তিনি ১৯০৯ সালে ইম্পিরিয়াল ফরেস্ট্রি ইনস্টিটিউট (বর্তমানে সেন্ট পিটার্সবার্গ স্টেট ফরেস্ট টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি) থেকে ফরেস্ট্রি বিষয়ে ডিপ্লোমা ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি আর্নেস্ট ম্যাচর ভাবধারায় উদ্বুদ্ধ হয়ে বিজ্ঞান বিষয়ক বই লেখা শুরু করেন। লেখার বিষয়ে আরেকজন স্বনামধন্য রুশ শিক্ষাবিদ আলেকজান্ডার বগানভ এর চিন্তাধারায় বিজ্ঞানকে আরো জনপ্রিয় করতে ব্রতী হন।
পদার্থবিদ্যার মজার কথা বইটির অভূতপূর্ব সাফল্যের পর তিনি আরো বিজ্ঞান বিষয়ক বই লিখতে ব্রতী হন। সেই সময় তিনি নিজেকে স্বয়ং সম্পূর্ণ প্রখর কল্পনা শক্তির লেখক হিসেবে নিজেকে পরিচিতি দিতে পেরেছিলেন। তার পরবর্তী সুচিন্তিত বিজ্ঞান বিষয়ক বই গুলির মধ্যে "Arithmetic for entertainment", "Mechanics for entertainment", "Geometry for Entertainment", "Astronomy for entertainment", "Lively Mathematics", " Physics Everywhere", এবং "Tricks and Amusements" খুবই উল্লেখযোগ্য।[২]
এছাড়াও তিনি মহাকাশে যাত্রার উপর কিছু বই লিখেছেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-
পেরেলম্যান শেষ জীবনে অনাহারে কাটিয়ে অবশেষে ১৯৪২ সালে পরলোকগমন করেন। সেই সময় রাশিয়াতে জার্মানি খাদ্যদ্রব্যের উপর নিয়ন্ত্রণ শুরু করে। ৯ সেপ্টেম্বর ১৯৪১ থেকে শুরুকরে ২৭ জানুয়ারি ১৯৪৪ পর্যন্ত ৮৭২ দিন ব্যাপী ভয়ংকর ভাবে জার্মানি লেনিনগার্ড এর উপর খাদ্য দ্রব্যের উপর নিয়ন্ত্রণ করে। এটি ছিল আধুনিক যুগের নিকৃষ্টতম ও দীর্ঘদিনের নিয়ন্ত্রণ। এর ফলে প্রায় এগারো লক্ষ সতেরো হাজার মানুষের মৃত্যু হয়।[৩]