ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | ইয়ান মাইকেল চ্যাপেল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | আনলি, দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া, অস্ট্রেলিয়া | ২৬ সেপ্টেম্বর ১৯৪৩|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ডাকনাম | চ্যাপেলি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উচ্চতা | ১.৮০ মিটার (৫ ফুট ১১ ইঞ্চি) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি লেগ স্পিন | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | শীর্ষসারির ব্যাটসম্যান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সম্পর্ক | জিএস চ্যাপেল (ভাই) টিএম চ্যাপেল (ভাই) ভিওয়াই রিচার্ডসন (দাদা) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ২৩১) | ৪ ডিসেম্বর ১৯৬৪ বনাম পাকিস্তান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৮০ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ২) | ৫ জানুয়ারি ১৯৭১ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ১৪ জানুয়ারি ১৯৮০ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৬২-১৯৮০ | দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৬৩ | ল্যাঙ্কাশায়ার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ক্রিকইনফো, ৫ এপ্রিল ২০১৭ |
ইয়ান মাইকেল চ্যাপেল (ইংরেজি: Ian Chappell; জন্ম: ২৬ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৩) দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার আনলি এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক ও বিখ্যাত অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট তারকা। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। এছাড়াও বিশ্ব সিরিজ ক্রিকেট সংস্থায় কেন্দ্রীয় ভূমিকায় অবতীর্ণ হবার পূর্বে ১৯৭১ থেকে ১৯৭৫ মেয়াদে জাতীয় দলের অধিনায়কের দায়িত্বে ছিলেন। দলে তিনি মূলতঃ শীর্ষসারির ডানহাতি ব্যাটসম্যান ও ডানহাতি লেগ স্পিনাররূপে অংশ নেন। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া ও কাউন্টি ক্রিকেটে ল্যাঙ্কাশায়ারের প্রতিনিধিত্ব করেছেন চ্যাপেলি ডাকনামে পরিচিত ইয়ান চ্যাপেল।[১]
বিখ্যাত ক্রিকেট পরিবারে জন্ম তার। তার দাদা ভিক রিচার্ডসন[২] এবং ভাই গ্রেগ চ্যাপেলও জাতীয় দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও তার আরেক ভাই ট্রেভর চ্যাপেল অস্ট্রেলিয়া দলের পক্ষে টেস্ট ও একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশ নিয়েছিলেন।[৩]
ডানহাতি মাঝারিসারির ব্যাটসম্যান ও স্পিন বোলার হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সূচনালগ্নে তাকে বেশ ইতঃস্ততার মধ্যে পড়তে হয়। ভিক্টোরিয়ার বিপক্ষে সেঞ্চুরি হাঁকানোয় ডিসেম্বর, ১৯৬৪ সালে মেলবোর্নে অনুষ্ঠিত সফরকারী পাকিস্তানের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত একমাত্র টেস্টে খেলার জন্য তাকে অস্ট্রেলিয়া দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। খেলায় তিনি মাত্র ১১ রান করলেও চারটি ক্যাচ নিয়েছিলেন।[৪] কিন্তু ১৯৬৫-৬৬ মৌসুমের অ্যাশেজ সিরিজের চতুর্থ টেস্টের পূর্ব-পর্যন্ত দল থেকে বাদ পড়েন। চ্যাপেল তার আক্রমণাত্মক ব্যাটিং ও স্লিপে চমকপ্রদ ফিল্ডিং করে সকলকে আশ্চর্যান্বিত করেন। এছাড়াও প্রতিশ্রুতিশীল লেগ স্পিনার হিসেবেও নিজের পরিচয় তুলে ধরেন। এ সকল কারণে দল নির্বাচকমণ্ডলী ও অধিনায়ক বব সিম্পসন তাকে অল-রাউন্ডার হিসেবে বিবেচনা করতে থাকেন।[৫] ঐ টেস্টে তিনি সাত নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামেন ও আট-বলে গড়া ২৬ ওভার বোলিং করেন।[৬] কিন্তু ব্যাটিং অর্ডারে তিন নম্বরে নিয়ে আসার ফলে তিনি নিজের ছন্দ খুঁজে পান।
চ্যাপেলি ডাকনামে পরিচিত ইয়ান চ্যাপেল পরবর্তীকালে টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে অন্যতম সেরা অধিনায়কের মর্যাদা লাভ করেছিলেন।[৭][৮][৯][১০] তার অধিনায়কত্বকালীন ১৯৭০-এর দশকে অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে পেশাদারিত্ব আনয়ণে চালকের আসনে অধিষ্ঠিত ছিলেন।[১১]
স্লিপে দণ্ডায়মান থেকে টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে চতুর্থ ক্রিকেটার হিসেবে শতাধিক টেস্ট ক্যাচ নেন। ১৯৭৬ সালে রিচি বেনো'র ইন্টারন্যাশনাল ওয়ান্ডেরার্স দলকে নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর করেন, আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ 'চ্যাপেলি' প্রকাশ করেন।
১৯৮০ সালে ক্রিকেট থেকে অবসর নেন। এরপর ক্রীড়া সাংবাদিকতায় ব্যাপক সফলতা পান ও চ্যানেল নাইনে ক্রিকেট খেলায় ধারাভাষ্যকারের দায়িত্ব পালন করেন।[১০] অদ্যাবধি অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে দূর্দাণ্ড প্রতাপে রাজত্ব কায়েম করছেন তিনি। ২০০৬ সালে এক স্বাক্ষাৎকারে বিখ্যাত লেগ স্পিনার শেন ওয়ার্ন বলেছেন, চ্যাপেল তার খেলোয়াড়ী জীবনে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছেন।[১২]
১৯৬৮-৬৯ মৌসুমে বড় ধরনের রান সংগ্রহ ও রেকর্ডসংখ্যক ক্যাচ নেয়ায় তিনি বর্ষসেরা অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার পুরস্কার লাভ করেন।[১৩] ১৯৭৫-৭৬ মৌসুমের শেফিল্ড শিল্ডে বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার লাভ করেন তিনি।[১৪] ১৯৭৬ সালে উইজডেন কর্তৃক বর্ষসেরা পাঁচ ক্রিকেটারের একজনরূপে মনোনীত হন।[১৫] ১৯৮৬ সালে স্পোর্ট অস্ট্রেলিয়া হল অব ফেমে অন্তর্ভুক্ত হন।[১০] এরপর ২০০০ সালে ফিকা ক্রিকেট হল অব ফেম ও ২০০৩ সালে অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট হল অব ফেমে স্থান পান।[১৬] ৯ জুলাই, ২০০৯ তারিখে পিটার মে ও টম গ্রেভেনি'র সাথে তাকে আইসিসি ক্রিকেট হল অব ফেমে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।[১৭] ব্যক্তিগত জীবনে তিনি দুইবার পাণিগ্রহণ করেন।
গ্রন্থসমূহ
|
অনলাইনভিত্তিক
|