এই নিবন্ধটির রচনা সংশোধনের প্রয়োজন হতে পারে। কারণ ব্যাকরণ, রচনাশৈলী, বানান বা বর্ণনাভঙ্গিগত সমস্যা রয়েছে। |
এই নিবন্ধটি অন্য একটি ভাষা থেকে আনাড়িভাবে অনুবাদ করা হয়েছে। এটি কোনও কম্পিউটার কর্তৃক অথবা দ্বিভাষিক দক্ষতাহীন কোনো অনুবাদক কর্তৃক অনূদিত হয়ে থাকতে পারে। |
ইয়ান টিনবের্গেন | |
---|---|
জন্ম | হেগ, নেদারল্যান্ডস | ১২ এপ্রিল ১৯০৩
মৃত্যু | ৯ জুন ১৯৯৪ হেগ, নেদারল্যান্ডস |
জাতীয়তা | ওলন্দাজ |
মাতৃশিক্ষায়তন | লাইডেন বিশ্ববিদ্যালয় |
পরিচিতির কারণ | প্রথম জাতীয় সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিমান |
পুরস্কার | এরাসমুস পুরস্কার (১৯৬৭) অর্থনীতিতে নোবেল স্মারক পুরস্কার (১৯৬৯) |
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন | |
কর্মক্ষেত্র | অর্থনীতি, অর্থনীতি |
ডক্টরাল উপদেষ্টা | পল এরেনফেস্ট |
ডক্টরেট শিক্ষার্থী | Tjalling Koopmans হান্স ভ্যান ডেন দোয়েল সুপাচাই পানিচপাকদি অশোক মিত্র |
ইয়ান টিনবের্গেন (আ-ধ্ব-ব:[ˈtɪnˌbɛrɣə(n)]; ১২ই এপ্রিল ১৯০৩ - ৯ই জুন ১৯৯৪) ছিলেন একজন ওলন্দাজ অর্থনীতিবিদ। তিনি ১৯৬৯ সালে অর্থনীতিতে প্রথম নোবেল স্মারক পুরস্কার লাভ করেন। তিনি যৌথভাবে রাগনার ফ্রিশের সাথে বিশ্লেষণ, গতিশীল অর্থনীতি প্রক্রিয়া এবং অর্থনীতি প্রক্রিয়ার বিকাশের জন্য পুরস্কারটি লাভ করেন। তিনি বিংশ শতাব্দীর অন্যতম প্রভাবশালী অর্থনীতিবিদ এবং ওই সময়ের অন্যতম প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন।
অর্থনীতিতে তার গুরুত্বপূর্ণ অবদান গুলোর মধ্যে প্রথমটি হচ্ছে অর্থনীতি বিকাশ, অর্থনীতি সমস্যা সনাক্ত করে এর সমাধান এবং অর্থনীতিকে কি ভাবে গতিশীল করা যায় বোঝা। টিনবের্গেন অর্থনীতি ব্যবস্থা ও সুরক্ষার প্রতিষ্ঠাতা অর্থনীতিবিদ। তিনি ১৯৪৫ সালে অর্থনীতি বিশ্লেষণ ব্যুরো ( সিপিবি) এজেন্সি প্রতিষ্ঠা করেন, এবং তিনি এই এজেন্সির প্রথম পরিচালক ছিলেন। তিনি এই এজেন্সির মাধ্যমে অর্থনীতি উন্নতি সম্পর্কে সেবা দান করতেন।
জ্যানেট ভ্যান ইকের পাঁচ সন্তান ছিলো, তার মধ্যে জমজ ইয়ান টিনবের্গেন এবং ডার্ক কর্নেলিস টিনবের্গেন। তার ভাই নিকোলাস টিনভের্গেন শরীরতত্ত্ব কাজের জন্য ১৯৭৩ সালে নোবেল পুরস্কার বিজয় করেন এবং তার ছোট ভাই লুউক পক্ষীবিজ্ঞানী হিসেবে বিখ্যাত হয়ে উঠে। তার ভাইদের মধ্যে ইয়ান এবং নিকোলাস টিনবের্গেন হলো একমাত্র ভাই যারা উভয়ই নোবেল পুরস্কার পেয়েছিল।[১]
১৯২১ থেকে ১৯২৫ সালের মধ্যে টিনবের্গেন লাইডেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পল এরেনফেস্টে গণীত এবং পদার্থবিজ্ঞান নিয়ে লেখাপড়া করেন। লিডেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশুনার সময় তিনি এহরেনফেস্ট, কামেরলিং ওনেস, হেন্ড্রিক লরেন্টজ, পিটার জিমান এবং আলবার্ট আইনস্টাইন মতো বিখ্যাত ব্যক্তিদের সাথে তিনি অনেক আলোচনা করেছিলেন।[২][৩]
স্নাতক শেষ করার পর টিনবের্গেন রটেরডামের একটি কারাগারে প্রশাসনে সদস্য এবং হেগের কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান ব্যুরো (সিবিএস) এর সম্প্রদায় বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি আবার লিডেন বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে আসেন এবং পদার্থবিজ্ঞান, অর্থনীতিতে হ্রাস সমস্যা এবং "মিনিমামপ্রোবলেন ইন ডি নাটুরকুন্ডে এন ডি ইকোনমি" ১৯২৯ সালে শীর্ষ অবস্থানে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।[8] লিডেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা এহরেনফেস্ট টিনবের্গেনকে গণিত, পদার্থ বিজ্ঞান, অর্থনীতি এবং রাজনীতি এই বিষয় গুলো এক সাথে অধ্যায়নের অনুমতি দেন। সেই সময় সিবিএস ব্যাবসায়িক জরিপ এবং গনিততিক পরিসংখ্যান বিভাগ প্রতিষ্ঠা করা হয় এবং টিনবের্গেনকে তার প্রথম চেয়ারম্যান করা হয়। তিনি ওই প্রতিষ্ঠানে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত কাজ করেন। বিশাল সিবিএস ডেটা অ্যাক্সেস এজেন্সি টিনবের্গেনকে তারপর তাত্ত্বিক গবেষণায় অনেক বড় সহায়তা করেন। ১৯৩১ সাল থেকে শুরু করে তিনি আমস্টারডাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন, এবং ১৯৩৩ সালে তিনি নেদারল্যান্ডস স্কুল অফ ইকোনমিক্স গণিত ও পরিসংখ্যান সহযোগী অধ্যাপক নিযুক্ত হন। তিনি ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত এই দায়িত্বটি পালন করেন। [৪][৫]
১৯২৯ সাল থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত ওলন্দাজ পরিসংখ্যান অফিস এবং পরামর্শক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। ১৯৪৫ সালে তিনি নেদারল্যান্ডস ব্যুরো অর্থনৈতিক বিশ্লেষণের পরিচালক নিয়োগ হন। পরবর্তীতে তিনি পড়াশোনার দিকে মনোযোগ বারিয়ে ১৯৫৫ সালে চাকরিটি ছেড়ে চলে আসেন। তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে এক বছর ভিজিটিং প্রফেসর হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন, তিনি আবার ওলন্দাজ ইকোনমিক ইনস্টিটিউটে ফিরে আসেন। তিনি সংযুক্ত আরব, তুরস্ক, ভেনিজুয়েলা, সুরিনাম, ইন্দোনেশিয়া এবং পাকিস্তান আরো বিভিন্ন দেশের আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং সরকারের রাষ্ট্রে উন্নয়নের পরামর্শক হিসেবে কাজ করেন।[৬][৭]
টিনবের্গেন ১৯৪৬ সালে রয়্যাল নেদারল্যান্ডস একাডেমী অফ আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেস এর সদস্য হয়েছিলেন।[৮] তিনি মিউনিখের আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান একাডেমির সদস্য ছিলেন। ১৯৫৬ সালে তিনি ইরাসমাস ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি রটারডামের ইকোনোমেট্রিক ইনস্টিটিউট এবং হেনরি এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন। ১৯৬০ সালে তিনি পরিসংখ্যান সমিতি পরিচালক এবং আমেরিকান একাডেমি অফ আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেস গবেষক নির্বাচিত হন।[৯] ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৬ জুন ২০১৬ তারিখে[১০] টিনবের্গেন ইনস্টিটিউট তার সম্মানে নামকরণ করা হয়েছিল। ১৯৬২ সালে ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ সোশ্যাল স্টাডিজ (ISS) টিনবের্গেনকে সম্মানসূচক ফেলোশিপ প্রদান করেন।[১১][১২] তিনি ১৯৬৩ সালে আমেরিকান দার্শনিক নির্বাচিত হয়েছিলেন।[১৩] তিনি ১৯৬৮ সালে স্যার জর্জ উইলিয়াম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট উপাধি লাভ করেন।[১৪][স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ] তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচিত হয়েছিলেন ন্যাশনাল একাডেমি অফ সায়েন্সেস 1974 সালে। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ন্যাশনাল একডেমি অফ সায়েন্সেস নির্বাচিত হয়েছিলেন। [১৫]
অনেকের কাছে ইয়ান টিনবের্গেন তার মৃত্যুর অনেক পরে প্রায়ই আলোচিত হয়েছিল, তথাকথিত 'টিনবের্গেন নর্ম' এর জন্য পরিচিত হয়েছিলেন। টিনবের্গেন তার কর্ম সম্পর্কে কোন আনুষ্ঠানিক ভাবে কাউকে কিছু বলেনি। [১৬] যদিও টিনবের্গেন তার কাজ সম্পর্কে কাউকে কিছু না বলা এটি সাধারণত নীতি বলে মনে করা হয়। কোন দেশের মাথাপিছু আয় যদি শতকরা ৫% নিচে চলে যায় তাহলে এটি জনগণের জন্য উদ্বেগজনক। টিনবের্গেন ১৯৮১ সালে প্রকাশিত তাঁর একটি বইয়ে এক থেকে পাঁচ আয়ের বিতরণ অনুপাতের প্রযুক্তিগততা তুলে ধরেছেন। [১৭] এক থেকে পাঁচ আয়ের অনুপাত সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য ছাড়াও টিনবের্গেন সমাজ এবং রাষ্ট্রের অর্থনীতি ক্ষুদ্র সমস্যা গুলোও খুঁজে বের করেছিলেন।
টিনবের্গেন প্রথম রাষ্ট্রেরকে অর্থনীতি মডেলে পরিণত করা জন্য কাজ করেছিলেন। প্রথমে নেদারল্যান্ড, পরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য তার অর্থনীতি প্রক্রিয়া নিয়ে তিনি কাজ করেন।[১৮]
টিনবের্গেন কিছু অর্থনৈতিক লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ করেছিলেন যা প্রয়োগ করলেই অর্থনীতিতে উন্নতি করা সম্ভব।[১৯] তার লক্ষ্যবস্তু হচ্ছে অর্থনৈতিক পরিবর্তনশীল নিয়ম কানুন যা জনপ্রতিনিধিরা নিয়ন্ত্রণ করে। এই পরিবর্তনশীল কানুনকে গুলোকে একটি নিয়মে নিয়ে আসা। টিনবের্গেন জোর দিয়েছিলেন যে নির্দিষ্ট সংখ্যক লক্ষ্যমাত্রার কাঙ্ক্ষিত মান অর্জনের জন্য নীতি নির্ধারককে সমান সংখ্যক যন্ত্র নিয়ন্ত্রণ করা দরকার। টিনর্বাগেন লক্ষ্য করেছিলেন যে অর্থনীতিতে যে নির্দিষ্ট সংখ্যক লক্ষ্যমাত্রার কাঙ্ক্ষিত মান অর্জনের জন্য জনপ্রতিনিধিদের কিছু নিয়ম অনুসরণ করতে হবে। এটা টিনর্বাগেন রুল হিসেবে পরিচিতি।
টিনর্বাগেন অর্থনৈতিক নিয়মাবলী আজ ও রয়ে গেছে যা বর্তমানে অনেক কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ব্যবহার হয়। অনেক কেন্দ্রীয় ব্যাংক আজ বিবেচনা করে মূল্যস্ফীতির হার তাদের লক্ষ্য হিসাবে; মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে তারা যে নীতি উপকরণ ব্যবহার করে তা হ'ল স্বল্পমেয়াদী সুদের হার।[২০]
টিনর্বাগেন পর সামষ্টিক অর্থনৈতিক মডেলগুলি নিয়ে লরেন্স ক্লেইন কাজ করা অব্যাহত রেখেছিলেন এবং তিনি অর্থনীতি বিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পান। তার সাংস্কৃতিক অবদানের জন্য, ১৯৮৫ সালে তাকে গোল্ডেন গানজেনভী (Gouden Ganzenveer) পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল।[২১]
টিনবের্গেনের অর্থনীতিকে মডেলিং সহ বেশ কয়েকটি পরিচিত অংশগ্রহণকারীদের সাথে বিতর্ক হয়েছিল, টিনবের্গেন যাদের মধ্যে বিতর্ক প্রতিযোগিতা হয়েছিল জে.এম. কেইনস, রাগনার ফ্রিশ এবং মিল্টন ফ্রিডম্যান। বিতর্কটি কখনও কখনও টিনবের্গেন বিতর্ক হিসাবে উল্লেখ করা হয়। (See Keynes–Tinbergen debate)[২২][২৩]
পুরস্কার | ||
---|---|---|
নতুন সৃষ্টি | Laureate of the Nobel Memorial Prize in Economics 1969 যৌথভাবে: Ragnar Frisch |
উত্তরসূরী Paul A. Samuelson |