ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | ইয়ান আলেকজান্ডার রস পিবলস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | অ্যাবরদিন, স্কটল্যান্ড | ২০ জানুয়ারি ১৯০৮|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ২৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৮০ স্পিন, বাকিংহ্যামশায়ার, ইংল্যান্ড | (বয়স ৭২)|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | লেগব্রেক গুগলি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ২২৯) | ২৪ ডিসেম্বর ১৯২৭ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১৫ আগস্ট ১৯৩১ বনাম নিউজিল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭ |
ইয়ান আলেকজান্ডার রস পিবলস (ইংরেজি: Ian Peebles; জন্ম: ২০ জানুয়ারি, ১৯০৮ - মৃত্যু: ২৮ ফেব্রুয়ারি, ১৯৮০) স্কটল্যান্ডের অ্যাবরদিনে জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা ছিলেন। ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলে খেলার পাশাপাশি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, কাউন্টি ক্রিকেটে মিডলসেক্স[১] ও স্কটল্যান্ডের পক্ষে খেলেছেন ইয়ান পিবলস। ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর নেয়ার পর ক্রিকেট লেখক হিসেবে আবির্ভূত হন। দ্য সানডে টাইমস সংবাদপত্রে সাংবাদিকতার কাজ করেন ও ক্রিকেট বিষয়ে অসংখ্য পুস্তক রচনা করেন তিনি।
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে যে-কোন খেলোয়াড়ের তুলনায় পিবলসের সূচনা ঘটেছে অদ্ভুতভাবে। অ্যাবরদিনে জন্মগ্রহণকারী পিবলস কিশোর অবস্থায় দক্ষিণে অবস্থিত লন্ডনে চলে আসেন। দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক টেস্ট ক্রিকেটার অব্রে ফকনারের পরিচালনায় ক্রিকেট স্কুলে সাচিবিক দায়িত্বে নিয়োজিত হন। ওভালে জেন্টলম্যান বনাম প্লেয়ার্সের মধ্যকার বার্ষিকী খেলায় দলে শৌখিন খেলোয়াড় কম থাকায় তাকে মনোনীত করা হয়। তার লেগ ব্রেক ও গুগলি বোলিং ফকনার ও স্যার পেলহাম ওয়ার্নারসহ অন্যান্য পর্যবেক্ষকদের কাছে বিস্ময়ের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তবে, খেলায় তিনি মাত্র একটি উইকেট পেয়েছিলেন ও স্বল্পসংখ্যক রান তুলতে সক্ষম হন। স্কারবোরা ও ফোকস্টোনের মধ্যকার মৌসুম শেষের উৎসব খেলায়ও এর ব্যতয় ঘটেনি।
১৯২৭ থেকে ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত তার প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশগ্রহণ ছিল। ১৯২৭-২৮ মৌসুমে এমসিসি দলের সদস্যরূপে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যান। তখন তাকে সচিব থেকে অধিনায়কের ন্যায় আচরণ লক্ষ্য করা যায়। দক্ষিণ আফ্রিকায় তিনি প্রথম চার টেস্টে অংশগ্রহণ করেন।
১৯২৮ সালে মিডলসেক্সের পক্ষে প্রথম কাউন্টি খেলায় অংশ নেন পিবলস। পরের মৌসুমে দলের নিয়মিত খেলোয়াড় হিসেবে তাকে দেখা যায়। উইকেট পিছু ২০ রানের কম খরচায় ১২০ উইকেট লাভ করেন তিনি। ১৯৩০ সালে এক মৌসুমের জন্য অক্সফোর্ডের পক্ষে খেলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে ৭০ উইকেট পান। তন্মধ্যে, কেমব্রিজের বিপক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলায় ১৩ উইকেট পেয়েছিলেন।
তার এ অনন্য সুন্দর ক্রীড়াশৈলীর প্রেক্ষিতে দল নির্বাচকমণ্ডলী তাকে ইংল্যান্ড দলের সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে। জুলাই, ১৯৩০ সালে ওল্ড ট্রাফোর্ডে সফরকারী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের চতুর্থ টেস্টে তার অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়। খেলায় তিনি অস্ট্রেলিয়ার শীর্ষসারির ব্যাটসম্যানদের ত্রাসে পরিণত হন। বিল উডফুল বল ছেড়ে দিলে তা মাঝের স্ট্যাম্প ফেলে দেয়। বিখ্যাত অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার ডোনাল্ড ব্র্যাডম্যান পিবলের প্রথম বলে বোল্ড হওয়া থেকে রক্ষা পান। স্লিপে ক্যাচ হাতছাড়া হলে অবশেষে ১৪ রানে কটে পরিণত হয়ে তাকে বিদায় নিতে হয়। পিবলসের প্রথম তিন বলে অ্যালান কিপাক্সের বিপক্ষে লেগ বিফোর উইকেটের আবেদন আসে। প্রতিবেদনে জানা যায়, পিবলস হয়তোবা ইংল্যান্ডকে জয়লাভে সহায়তা করতে পারতেন। তিনি বারংবার ব্র্যাডম্যান ও তার দলীয় সঙ্গীদের বিরুদ্ধে আউটের আবেদন জানিয়ে আসছিলেন।
কয়েক মাস পর পিবলকে উদ্দেশ্য করে ব্র্যাডম্যান এক পত্র লেখেন:
‘যখন আমি ক্রিজে যাই, তখন পিবলসের অসাধারণ বোলিং লক্ষ্য করি। আমি কৃতজ্ঞচিত্তে স্বীকার করছি যে, জীবনে প্রথমবার আমি কোন বোলারের লেগ ব্রেক থেকে ‘বোসি’ (গুগলি) নির্ধারণে ব্যর্থ হয়েছি। যতটুকু সম্ভব আমি গভীরভাবে পিবলসকে লক্ষ্য করছিলাম। তাস্বত্ত্বেও তার বোলিংশৈলী নির্ধারণ করতে পারছিলাম না। তার হাত বা বল কোনটিই আমি লক্ষ্য কিংবা শনাক্ত করতে পারিনি। নিশ্চিতভাবেই ঐদিন তার বোলিং আমাকে মুগ্ধ করেছিল। তবে, আমার জন্য বেশ বিব্রতকর মুহুর্ত ছিল।’[২]
ওভালে গ্রীষ্মের চূড়ান্ত টেস্টেও একই ধারাবাহিকতা বজায় রাখেন। ৭১ ওভারে ২০৪ রান দিয়ে ছয় উইকেট দখল করেন। তাস্বত্ত্বেও অস্ট্রেলিয়ার দলীয় সংগ্রহ ৬৯৫ হয়।
১৯৩০-৩১ মৌসুমে এমসিসি দলের সদস্যরূপেদক্ষিণ আফ্রিকা সফরে সফলতা পান। এরপর ১৯৩১ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেন। কিন্তু ক্রমাগত বোলিংয়ের প্রেক্ষিতে তার লেগ ব্রেক বোলিং অকার্যকর হয়ে পড়তে শুরু করে। ১৯৩৪ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। আঘাতের কারণে তাকে আর দলে রাখা হয়নি।
১৯৩০-এর দশকে দূরবর্তী এলাকায় শৌখিন দলের সদস্যরূপে ভ্রমণ করতে দেখা যায়। ১৯৩৯ সাল পর্যন্ত অনিয়মিতভাবে মিডলসেক্সের পক্ষে খেলতে থাকেন। দলের অধিনায়কের দায়িত্বভার প্রদান করা হলে তিনি পূর্ণাঙ্গভাবে অংশগ্রহণ করেন। এরপর তার বোলিংয়ের ধার অনেকটাই কমে যায়। ঐ মৌসুমে তিনি মাত্র ৪৯ উইকেট দখল করতে সক্ষম হন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে বিমান আক্রমণে তার এক চোখ নষ্ট হয়ে যায়। ১৯৪৬ থেকে ১৯৪৮ সময়কালে অংশগ্রহণকৃত খেলায় এর প্রভাব পড়ে।
১৯৩১ সালে উইজডেন কর্তৃক অন্যতম বর্ষসেরা ক্রিকেটার মনোনীত হন তিনি।[৩]
আমোদপ্রবণ ও গল্পপ্রিয় আড্ডাবাজ পিবলস অবসর গ্রহণের পর পানীয় ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন। এরপর লেখক ও সাংবাদিকতার দিকে ঝুঁকে পড়েন। হেয়ারউড ডাউন্স গল্ফ ক্লাবে গল্ফ খেলতেন তিনি। ৭২ বছর বয়সে ২৮ ফেব্রুয়ারি, ১৯৮০ তারিখে বাকিংহামশায়ারের স্পিনে তার দেহাবসান ঘটে।
ক্রীড়া অবস্থান | ||
---|---|---|
পূর্বসূরী ওয়াল্টার রবিন্স |
মিডলসেক্স ক্রিকেট অধিনায়ক ১৯৩৯ |
উত্তরসূরী (১৯৪০-৪৫ পর্যন্ত খেলা হয়নি) ওয়াল্টার রবিন্স |