ইয়ামাগাতা প্রশাসনিক অঞ্চল 山形県 | |
---|---|
প্রশাসনিক অঞ্চল | |
জাপানি প্রতিলিপি | |
• জাপানি | 山形県 |
• রোমাজি | Yamagata-ken |
![]() | |
দেশ | জাপান |
অঞ্চল | তোওহোকু |
দ্বীপ | হোনশু |
রাজধানী | ইয়ামাগাতা নগর |
সরকার | |
• গভর্নর | মিয়েকো য়োশিমুরা |
আয়তন | |
• মোট | ৯,৩২৩.৩৪ বর্গকিমি (৩,৫৯৯.৭৬ বর্গমাইল) |
এলাকার ক্রম | ৯ম |
জনসংখ্যা (February 1, 2011) | |
• মোট | ১১,৫২,০০০ |
• ক্রম | ৩৫তম |
• জনঘনত্ব | ১২৫.১০/বর্গকিমি (৩২৪.০/বর্গমাইল) |
আইএসও ৩১৬৬ কোড | JP-06 |
জেলা | ৮ |
পৌরসভা | ৩৫ |
ফুল | স্যাফ্লাওয়ার (কার্থামুস টিংটোরিউস) |
গাছ | চেরি |
পাখি | ম্যান্ডারিন হাঁস (আইক্স গ্যালেরিকুলাটা) |
মাছ | চেরি স্যামন (অঙ্কোরিঙ্কাস মাসৌ) |
ওয়েবসাইট | www |
ইয়ামাগাতা প্রশাসনিক অঞ্চল (山形県? ইয়ামাগাতা কেন্) হল জাপানের মূল দ্বীপ হোনশুর তোওহোকু অঞ্চলে অবস্থিত একটি প্রশাসনিক অঞ্চল।[১] এর রাজধানী ইয়ামাগাতা নগর।[২]
এযো জনজাতি ছিল ইয়ামাগাতার ভূমিপুত্র। মেইজি পুনর্গঠনের আগে পর্যন্ত ইয়ামাগাতা ও আকিতা প্রশাসনিক অঞ্চল একত্রে দেওয়া প্রদেশ হিসেবে পরিচিত ছিল।[৩]
হেইয়ান যুগে (৭৯৪-১১৮৫ খ্রিঃ) অঞ্চলটির শাসক ছিল বিখ্যাত ফুজিওয়ারা পরিবার। ইয়ামাগাতা নগর সমৃদ্ধি লাভ করে এদো যুগে। এর কারণ ছিল দুর্গনগর ও প্রশাসনিক কার্যালয় হিসেবে এর গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান এবং বেনি নামক লাল সামুদ্রিক ফুল থেকে প্রস্তুত বস্ত্ররঞ্জক যা হাতে বোনা রেশম রঙ করায় কাজে লাগত। ১৬৮৯ খ্রিঃ বিখ্যাত হাইকু কবি মাৎসুও বাশো তার পাঁচ মাস ব্যাপী উত্তর জাপান সফরের সময় ইয়ামাগাতায় এসেছিলেন।
ইয়ামাগাতা প্রশাসনিক অঞ্চল তোওহোকু অঞ্চলের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে অবস্থিত। এর পশ্চিমে রয়েছে জাপান সাগর, দক্ষিণে নিইগাতা ও ফুকুশিমা, পূর্বে মিয়াগি ও উত্তরে আকিতা প্রশাসনিক অঞ্চল। এই সমস্ত স্থল সীমানাগুলি পর্বত দ্বারা চিহ্নিত। জনবসতি এক সংকীর্ণ কেন্দ্রীয় সমতলে সন্নিবিষ্ট।
২০১২ এর এপ্রিলের হিসেব অনুযায়ী ইয়ামাগাতা প্রশাসনিক অঞ্চলের মোট ভূমির ১৭ শতাংশ এলাকা সংরক্ষিত বনাঞ্চল। এর মধ্যে আছে বান্দাই-আসাহি জাতীয় উদ্যান; চোওকাই, কুরিকোমা ও যাও উপ-জাতীয় উদ্যান এবং ছয়টি প্রশাসনিক আঞ্চলিক উদ্যান।[৪]
ইয়ামাগাতা প্রশাসনিক অঞ্চলের জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য উষ্ণ ও আর্দ্র গ্রীষ্মকাল এবং তুষারমুখর শীতকাল। শরৎকাল উষ্ণ ও হ্রস্ব; বসন্তও হ্রস্ব, তবে শীতল। সমগ্র ইয়ামাগাতা এবং মিয়াগি ও ইওয়াতের উত্তরাংশ জাপানের আর্দ্র উপক্রান্তীয় জলবায়ু অঞ্চল থেকে আর্দ্র মহাদেশীয় জলবায়ু অঞ্চলের সীমানা নির্দেশ করে। শীতকালে জনবহুল অংশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা সাধারণত -১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরেই থাকে, এবং জুলাই ও আগস্টে প্রায়ই তা ৩০ ডিগ্রি ছাড়িয়ে যায়। সারা বছর বৃষ্টিপাত বা তুষারপাত হতে থাকে, এবং আগস্ট থেকে অক্টোবরের মধ্যে কখনও কখনও দু’একটি টাইফুন এখানে প্রবেশ করে। শীতকালে পার্বত্য অঞ্চলে তুষারপাত হলেও উপকূলভাগ সমভাবাপন্ন।[৫]
ইয়ামাগাতা প্রশাসনিক অঞ্চল জাপানের চেরি ফল ও নাসপাতির বৃহত্তম উৎপাদক। আঙুর, আপেল, পীচ, তরমুজ, পার্সিমন প্রভৃতি ফলও প্রচুর উৎপন্ন হয়।
এছাড়া পর্যটনশিল্প স্থানীয় অর্থনীতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ইয়ামাগাতা নগরের কাছে পাহাড়ে খোদাই করা য়ামা-দেরা মন্দির একটি প্রধান পর্যটনকেন্দ্র। শিন্তো ধর্মের শুগেন্দোও শাখার অন্যতম তীর্থস্থল হল দেওয়া সান্যান বা তিন পবিত্র পর্বত। তিনটি পর্বতের নিম্নতম হাগুরো পর্বতের নিচে অবস্থিত বিখ্যাত পাঁচতলা প্যাগোডা গোজুদো। যাও পর্বত তার শীতকালীন ক্রীড়ানুষ্ঠানের জন্য বিখ্যাত। ওকামা বিবর হ্রদ আবহাওয়ার সাথে রঙ বদলায়, তাই একে “গোশিকি নুমা” বা “পাঁচ রঙের হ্রদ”-ও বলা হয়।