ইয়াহইয়া ইবনে মা'ঈন | |
---|---|
জন্ম | ১৫৮ হিজরি |
মৃত্যু | ২৩৩ হিজরি[১] |
যুগ | ইসলামী স্বর্ণযুগ |
ধারা | আহলুল হাদিস |
ভাবগুরু | |
ভাবশিষ্য
|
ইয়াহইয়া ইবনে মা'ঈন (আরবি: يحيى بن معين) ছিলেন প্রাথমিক যুগের একজন বিশিষ্ট ইসলামী পণ্ডিত।[১] তিনি ছিলেন পারস্য বংশোদ্ভূত[২]।
তিনি ইমাম আহমাদ বিন হাম্বলের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন। এবং তার মতই ইলমুর রিজালের বিশেষজ্ঞ ছিলেন।[৩] ইবনে হাম্বল রহঃ, আলী ইবনুল মাদিনী, ইবনে আবি শায়বাহ এবং ইবনে মা'ঈন; এই চারজনকে হাদীছ শাস্ত্রের শ্রেষ্ঠ লেখক হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে।[৪]
তার শিক্ষকদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকজন হচ্ছেন; ইবনুল মুবারক , ইসমাইল ইবনে ইয়াশ, আবাদ ইবনে আবাদ, ইবনে উয়াইনাহ , আবু মুয়াবিয়া, হাতিম ইবনে ইসমাইল, ইমাম ওয়াকি, আব্দুর রাজ্জাক, হাফস ইবনে গিয়াশ প্রমুখ বিশ্ববিখ্যাত বিদ্বান মনিষীগণ।[৫]
তার বিশিষ্ট কয়েকজন ছাত্র হচ্ছেঃ ইমাম আহমদ বিন হাম্বল, মুহাম্মাদ বিন সা'দ, আবু খায়সামাহ, ইমাম বুখারী, ইমাম মুসলিম, আবু হাতিম, আবু দাউদ প্রমুখ।[৬]
জ্ঞানার্জনের প্রতি তার ছিল অশেষ আগ্রহ। তার পিতা মৃত্যুর সময় তার জন্য ১০ লক্ষ ৫০ হাজার দিরহাম রেখে যান, ইলমের ভালোবাসায় ইবনে মা'ঈন তার সমুদয় সম্পত্তি ব্যয় করে ফেলেন। শেষ পর্যন্ত এক জোড়া জুতা বাদে আর কিছুই তার অবশিষ্ট ছিল না।[৭]
তিনি হাদীছ শিক্ষার জন্য বিভিন্ন অঞ্চলে, নগরে, গ্রামে পণ্ডিতদের কাছে যেতেন; এভাবে তিনি ভ্রমণ করেন, বসরা, বাগদাদ, হারান, দামেস্ক, আল-রাসাফাহ, আর-রায়, সান'আ, কুফা, মিশর এবং মক্কাসহ বহু অঞ্চল।[৮]
হাদীছ শাস্ত্রে বিশেষ করে ইলমুর রিজালে তার বিশেষ অবদান রয়েছে।[৯] যদিও তিনি বহু গ্রন্থ লিখেছিলেন, সঙ্কলন করেছিলেন কিন্তু বেশিরভাগ-ই আজ পাওয়া যায় না।[১০] তিনি মাত্র মাত্র ২০ বছর বয়স থেকে লিখতে শুরু করেন।[১১] বর্তমানে যে গ্রন্থগুলোর অস্তিত্ব আছে এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হচ্ছে, মা'রিফাতুল আল-রিজাল,[১২] তারিখ উসমান বিন সা'ঈদ আদ-দারিমী, ইয়াহইয়া ইবনে মা'ঈন ওয়া কিতাবুল তারিখ এবং মিন কালাম আবি জাকারিয়্যা ইয়াহইয়া ইবনে মা'ঈন ফিল রিজাল।